দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বিশ্বকাপের জার্সিটা অনেক দিন আগেই প্রকাশ করে ফেলেছিল আর্জেন্টিনা। হন্ডুরাসের বিপক্ষে সেই জার্সি পরে আজ প্রথমবারের মতো নেমেছিল দলটি। লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-০ গোলে জিতে সেই ম্যাচটা দারুণভাবেই রাঙিয়েছে কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা। পিএসজির জার্সি গায়ে লিওনেল মেসির মৌসুমটা কাটছে ভালোই। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১১ ম্যাচে খেলে তিনি করেছেন ৬ গোল, করিয়েছেন আরও ৮টি। তবে এখানে যেসব গোলের সুযোগ তিনি গড়ে দিয়েছেন, তার হিসেব নেই।
তেমনই এক সুযোগে আজ মিয়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা পায় প্রথম গোলটা। ম্যাচের বয়স তখন ১৬ মিনিট। মাঝমাঠ থেকে মেসির বাড়ানো বল বক্সে খুঁজে পায় আলেহান্দ্রো পাপু গোমেজকে। তার স্কয়ার করা বল সহজ এক ট্যাপ ইনে লাওতারো মার্টিনেজ জড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের জালে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৮০তম অবস্থানে থাকা হন্ডুরাসের বিপক্ষে আলবিসেলেস্তেরা ছড়ি ঘুরিয়েছে এর আগে থেকেই। গোলের পরও সে সুতোয় ঢিল পড়েনি একটু। তার মাসুলটাও গুণতে হয়েছে বৈকি! পুরো ম্যাচে ফাউল হজম করতে হয়েছে ১২টা। তারই একটা ৩৮ মিনিটে করা হয়েছিল মেসিকে। সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, পুরো আর্জেন্টিনা দলই রীতিমতো তেড়ে এসেছে ফাউল করা দেইবি ফ্লোরেসের দিকে!
সে ফাউল অবশ্য গুরুতর ছিল না, মেসি উঠে দাঁড়িয়েছেন, দৌড়েছেন একটু পরেই। পেলেন গোলের দেখাও। ৪৫ মিনিটে বক্সে লাওতারোকে ফাউল করার ফলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। বিরতিতে যায় ২-০ গোলে এগিয়ে। বিরতির কিছু পরেই মেসি পান দ্বিতীয় গোলের দেখা। মাঝমাঠ থেকে এনজো ফার্নান্দেজের বাড়ানো বল খুঁজে পায় তাকে। বক্সের বাইরে থেকে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে করা তার দারুণ এক চিপ চলে যায় হন্ডুরাসের জালে। কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি এরপর মনোযোগ দেন বেঞ্চের শক্তি বাজিয়ে দেখার দিকে। তাতে তিয়াগো আলমাদা পান প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বাদ, সময় পান ইউলিয়ান আলভারেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টাররা। আর্জেন্টিনা শেষমেশ ম্যাচটা শেষ করে ৩-০ ব্যবধান ধরে রেখেই। ফলে দলটির অপরাজিত যাত্রাটা উন্নীত হয় ৩৪-এ। নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর জ্যামাইকার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
দেশকন্ঠ/অআ