দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেন সাধারণত পেশীর সমস্যার কারণে হয়, যেমন - আঘাত লাগা, ভুল পদ্ধতিতে ঘুমানো অথবা এক টানা বসে বসে কাজ করা। তবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, গরম-ঠান্ডা থেরাপি বা হালকা স্ট্রেচিং করে ব্যাক পেনের সমস্যা নিরাময় করা যেতে পারে। ব্যাক পেন কেবলমাত্র এই সব সাধারণ কারণের জন্যই হয় না, এটি বিভিন্ন ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে।
বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের কারণে হতে পারে ব্যাক পেন। আমরা সাধারণ পিঠে ব্যথা মনে করে এই লক্ষণকে অতটাও গুরুত্ব দিই না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
বিভিন্ন ক্যান্সারের লক্ষণ :
মূত্রাশয় ক্যান্সার
আমাদের তলপেটের একটি অঙ্গ মূত্রাশয়, যার মধ্যে প্রস্রাব সঞ্চিত থাকে। পিঠের নিচের অংশে অসহ্য যন্ত্রণা বা ব্যথা হওয়া মূত্রাশয় ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। ইয়েল মেডিসিনের মতে, মূত্রাশয়ের গভীরতম টিস্যুতে টিউমার বেড়ে ওঠা খুবই সাধারণ। পিঠের নিচের অংশে ব্যথা সাধারণত মূত্রাশয় ক্যান্সারের অ্যাডভান্স রূপের লক্ষণ। যদি মূত্রাশয় ক্যান্সারের অন্যান্য লক্ষণগুলির পাশাপাশি পিঠের নিচের অংশেও ব্যথা হয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসা করানো উচিত।
মেরুদণ্ডের ক্যান্সার
মেরুদণ্ডের ক্যান্সার ব্যাক পেনের অন্যতম কারণ হতে পারে, যদিও এটি খুবই বিরল। এই ব্যথা মেরুদণ্ডের টিউমার এর কারণে হতে পারে, যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না। মেরুদণ্ডের ক্যান্সারের অন্য়তম প্রাথমিক লক্ষণ হল ব্যাক পেন। সময়ের সাথে সাথে এই ব্যথা আরও বাড়তে পারে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে যেমন হিপ, পা, পায়ের পাতা বা বাহুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ফুসফুসের ক্যান্সার
ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণেও ব্যাক পেন হতে পারে। ব্যাক পেনের সঙ্গে ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্য কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করে থাকলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান। ফুসফুসের ক্যান্সার সাধারণত দুই ধরনের হয় - নন স্মল সেল লাং ক্যান্সার এবং স্মল সেল লাং ক্যান্সার। প্রথমটা ফুসফুসের ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ রূপ এবং স্মল সেল লাং ক্যান্সারের তুলনায় এর বেঁচে থাকার হারও বেশি।
এই তিনটি ক্যান্সারের অন্যান্য লক্ষণগুলি হল -
-
মূত্রাশয় ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে - ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে রক্তএবং প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা যন্ত্রণা।
-
মেরুদণ্ডের ক্যান্সারের লক্ষণগুলি হল - অসাড়তা, দুর্বলতা, বাহু ও পায়ের অবস্থা খারাপ এবং প্যারালইসিস।
-
ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে - কাশিতে রক্তপড়া, ক্রমাগত শ্বাসকষ্ট, দীর্ঘস্থায়ী কাশি। কাশি দুই বা তার বেশি সপ্তাহ ধরেও থাকতে পারে।
দেশকন্ঠ/রাসু