পথরেখা অনলাইন : বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে কাজ করবে চীন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এর সাথে সচিবালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ সমাপ্তির পথে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৫ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৫ এর সকল কম্পোনেন্টে চীনের সহযোগিতা সম্প্রসারণে অনুরোধ করেন তিনি।
চীনা রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন প্রকল্পে বিশেষ করে সাউথ সাউথ কো-অপারেশন এর আওতায় অথবা ইআরডির মাধ্যমে সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখা ও নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সাথে গণচীনের পারস্পরিক দ্বিপক্ষীয় হৃদ্যতাপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ঐতিহ্যের বিষয়গুলো বিশদভাবে তুলে ধরেন।
তিনি আরো জানান, এর ধারাবাহিকতায় চীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর জুলাই-আগস্ট ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে, সেপ্টেম্বরে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিনিময়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় চীনের ভাষা অন্তর্ভূক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে চীন ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ করে দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষার উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রাইমারি শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল ট্রেনিং এর মাধ্যমে মানবসম্পদ তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এতে করে বেকারত্বের হার হ্রাস পাবে ও নিত্যনতুন কর্মসংস্থান সৃজন হবে। প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি খাতে দক্ষ হয়ে কর্মক্ষেত্রে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারবে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, অতিরিক্ত সচিব এম সাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ড. আবু শাহীন মোঃ আসাদুজ্জামান, চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর কালচারাল লি সাওপেঙ উপস্থিত ছিলেন।
পথরেখা/এআর