• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৫৮

অনুর্ধ্ব-১৫ দল নিয়ে নতুন মিশনে ছোটন

  • ক্রীড়া -ফুটবল       
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২২       
  • ৯৪
  •       
  • ৩১-১০-২০২২, ১৯:৫১:২১

স্পোর্টস রিপোর্টার : মেয়েদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে খুব বেশিদিন হয়নি। কোচ হিসেবে গোলাম রব্বানী ছোটন এবার নতুন মিশনে নামতে যাচ্ছেন। অনুর্ধ্ব-১৫ কিশোরীদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে। তিন জাতির এই আসরটি অনুষ্ঠিত হবে কমলাপুরের বীলশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। এমনিতেই ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান নেই। খেলছে কেবল বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ পরিণত হয়েছে তিন জাতির আসরে। ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া প্রতিযোগিতায় একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। তিন দলের প্রতিযোগিতা বলে খেলা হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। দুই রাউন্ডে খেলার পর সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দল চ্যাম্পিয়ন হবে। ২৩ সদস্যের বাংলাদেশ স্কোয়াডে একমাত্র জয়নব বিবির আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বাকি ২২ জন আন্তর্জাতিক অভিষেকের প্রতীক্ষায়। এমন দল নিয়েই শিরোপা পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ দল। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা হারাতে হয়েছে। এবার সেটা ফিরে পেতে চায় লাল-সবুজরা। আবারো শিরোপা জিততে চায় বাংলাদেশ।
 
শিরোপা জেতার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানিয়েছেন, ‘একেবারে নতুন একটি দল নিয়ে আমি মাঠে নামব। দলটির অধিকাংশ সদস্যের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড় নিয়ে গড়া হয়েছে এ দল। আমি দল ও খেলোয়াড়দের নিয়ে আশাবাদী। আশা করছি, প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু হবে।’ গেল সেপ্টেম্বর মাসে কাঠমান্ডুতে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফ ফুটবলের শিরোপা জিতে সাবিনা, কৃষ্ণা, মাসুরা, সানজিদারা বাফুফে ভবনে ফিরলে তাদের বরণ করেছিলেন রুমা, সঙ্গীতা, তৃষ্ণা, বিথি, রিতু, জয়নবরা। গত জুন থেকে বড় বোনদের সঙ্গে থাকা ছোট্ট মেয়েদের হাতে এখন লাল-সবুজ পতাকা, ঘরের মাঠ কমলাপুর স্টেডিয়ামে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৫ নারী সাফের শিরোপা পুনরুদ্ধার মিশন শুরু করবে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তিনটি দল ডাবল লিগ পদ্ধতিতে খেলবে, শীর্ষ দল জিতবে শিরোপা। ১ ও ৭ নভেম্বর ভুটান এবং ৫ ও ১১ নভেম্বর নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২৩ জনের দলে একমাত্র জয়নবের রয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা, জামশেদপুরে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে। বাকিরা গড়ে ৫ থেকে ১৫টি ঘরোয়া ম্যাচ খেলেছেন।
 
তারপরও ভুটান ও নেপালকে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার সম্ভব মনে করেন কোচ। অধিনায়ক রুমা আক্তার ও ‘অভিজ্ঞ’ জয়নব। মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এন্ট্রি দেয়নি, ভারত এন্ট্রি দিলেও পরে সরে দাঁড়িয়েছে। তাতে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথ চওড়া হয়েছে, এমনটা অবশ্য মানতে নারাজ কোচ ছোটন, ‘সবাই আসলে টুর্নামেন্টটা জমজমাট হতো। ভারত না থাকায় টুর্নামেন্টের গুরুত্ব কম বলব না, থাকলে প্রতিদ্বন্ধিতা আরও বেশি হতো। ভুটান ও নেপাল শক্তিশালী দল। নেপালের মেয়েরা কোরিয়ান কোচের অধীনে সারা বছর একাডেমিতে প্র্যাকটিস করে।’ কিশোরগঞ্জের মেয়ে অধিনায়ক রুমা আক্তারের কথায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলার আক্ষেপ, তবে ক্যাম্পে থাকা সিনিয়রদের সঙ্গে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে মনে করেন। গত জুনে ৬৪ জেলা (দুইজন করে) ও বিকেএসপি থেকে খেলোয়াড়দের ঢাকা এনে ট্রায়াল নিয়ে প্রাথমিক স্কোয়াড গড়া হয়েছিল। গত চার মাস অনুশীলনের পর ২৩ জনের চূড়ান্ত দল গড়া হয়েছে। বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল থমাস স্মলির তত্ত্বাবধানে গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে মেয়েদের শারীরিক সক্ষমতা বেড়েছে, টেকনিক্যাল ও টেকটিক্যাল দিকে উন্নতি হয়েছে। এদের নিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব, মনে করেন কোচ। 
 
কোচের কাছে টুর্নামেন্টটা শিষ্যদের জন্য শুধু শিরোপা পুনরুদ্ধার নয়, দেশের নারী ফুটবলের পাইপলাইনে যে মেধাবী খেলোয়াড় রয়েছে, সেটা প্রমাণ দেওয়ারও। সেটা প্রমাণ দিতে হলে শিরোপা পুনরুদ্ধার করতেই হবে। আবার বড়রা শিরোপা জিতে পথ দেখিয়েছে, সেটাও মনে রয়েছে রুমা-জয়নবদের। তবে মারিয়া, মনিকা, রুপনাদের শিরোপাটা তাদের ওপর প্রত্যাশার চাপ বাড়িয়ে দেয়নি, বরং ভালো খেলার অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে জানিয়েছেন টিম ম্যানেজম্যান্টের কর্মকর্তারা। এখন মাঠে প্রমাণ দিতে চান লাল-সবুজ মেয়েরা। মারিয়া, মনিকা ও রুপনা তহুরাদের পর্ব শেষ করে একেবারেই নতুন এই অনূর্ধ্ব-১৫ দল। ২০১৯ অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে রানার্সআপ বাংলাদেশ দলের সদস্য রিতাও জানান, ‘ঘরের মাঠে খেলা বলে কিছুটা এগিয়ে থাকব। ভালো খেলেই আমরা এই ট্রফি ফিরে পেতে চাই।’ একের পর এক সফলতা আসছে নারী ফুটবলে। যার যাত্রা শুরু হয়েছিল বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট দিয়ে। ২০১৭ সালে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যদিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। সেই মেয়েরাই সিনিয়র দলের জার্সিতে জয় করেছে দক্ষিণ এশিয়া। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে সেপ্টেম্বরে। দেড় মাস যেতে না যেতেই মেয়েদের আরেকটি টুর্নামেন্ট। এবারও সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ, এবারও খেলা ঘরের মাঠে। বাংলাদেশের কিশোরীরা কী পারবে হারানো শ্রেষ্ঠত্ব উদ্ধার করতে? 
 
আগের তিনটি আসরে সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত, দুবার (২০১৮ ও ২০১৯)। আর একবার শিরোপা জিতেছে লাল-সবুজের দেশ বাংলাদেশ (২০১৭ সালে ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে)। ভারত যে দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যে দুবারই ফাইনালে তাদের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ (যথাক্রমে ১-০ ও টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে)। এছাড়া ভুটান ২০১৭ ও ২০১৮ সালে তৃতীয় এবং নেপাল ২০১৯ আসরে তৃতীয় হয়েছিল। বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অবিসংবাদিত ও কিংবদন্তিতুল্য কোচ হিসেবে ইতোমধ্যেই অমরত্ব পেয়ে গেছেন ছোটন। যদিও এসব অর্জন নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই তার। তার লক্ষ্য ৫ বছর পর এই আসরে আবারও শিরোপা পুনরুদ্ধার করা। ছোটনের অধীনে দুই মাস ধরে মেয়েরা অনুশীলন করছে। 
 
বাংলাদেশের ম্যাচগুলো
১ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম ভুটান
৫ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম নেপাল
৭ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম ভুটান
১১ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম নেপাল
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।