দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : মেসির শেষ বিশ্বকাপে এমন যাত্রা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন সমর্থকরা তো নয়ই। সৌদি আররে কাছে হেরে তাই আর্জেন্টিনা আর দলটির সমর্থকরা তাই স্তব্ধ। সব সময় হাসি-খুশি, প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর আর্জেন্টাইন সমর্থকরা হঠাৎ যেন নিস্তেজ। চুপচাপ হেঁটে স্টেডিয়াম ছাড়ছেন। মেসির শহর রোজারিও থেকে এসেছিলেন রিচার্ডসন। অনেক শখ করে এত পথ পাড়ি দিয়ে কাতারে এসে হৃদয় ভাঙার মতো অবস্থা তার, ‘খুব বাজে শুরু হলো। এক পয়েন্ট পেলেও মোটামুটি হতো। গ্রুপের অন্য দুই প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড ও মেক্সিকো আরো শক্তিশালী।’ রিচার্ডসন খানিকটা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও অন্য অনেকে গণমাধ্যমের অনুরোধ এড়িয়ে গেলেন। বুয়েন্স আয়ার্সের আরেক তরুণ অবশ্য আর্জেন্টিনার প্রসঙ্গে কথা না বলে সৌদির গোলরক্ষকের প্রশংসা করেছেন, ‘দ্রুত দুই গোল হজম করলেও ম্যাচে আমাদের ফেরার সুযোগ ছিল। সৌদি আরবের গোলরক্ষকের অসাধারণ কয়েকটি সেভ আমাদের আর খেলায় ফিরতে দেয়নি।’
অন্য দিকে সৌদি আরব থেকে আসা সমর্থকদের আজ আনন্দের উপলক্ষ্য। সৌদি থেকে কাতারের দোহায় আসার ফ্লাইট মাত্র এক ঘণ্টা দীর্ঘ। সকালের ফ্লাইটে দোহায় এসে আবার বিকেলের ফ্লাইটে সৌদির বিমান ধরবেন অনেকেই। তেমনই একজন সৌদি তরুণী নাজলা। নিজ দলের এমন পারফর্ম্যান্স দেখে নাজলা খুবই উচ্ছ্বসিত, ‘আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারবে সৌদি আরব এটা কখনো ভাবিনি। অসাধারণ খেলেছে সৌদি আরব। বিশেষ করে আমাদের গোলরক্ষক । তার কারণেই আমরা আজ জিততে পেরেছি।’ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করায় দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আশা দেখছেন এই তরুণী, ‘বিশ্বকাপে আমাদের শুরুটা দারুণ হয়েছে। বাকি দুই ম্যাচের মধ্যে তিন পয়েন্ট পেলে অবশ্যই পরের রাউন্ডে খেলা সম্ভব।’ এশিয়ায় বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জন্য ব্যর্থতার গল্পই। ২০০২ সালে কোরিয়া ও জাপানের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্বেই। এবারও শুরুতে সৌদি আরবের বিপক্ষে হার। ২০০২ সালের পুনরাবৃত্তির শঙ্কা তাই ভালোভাবেই তাড়া করে ফিরবে মেসিদের, আর্জেন্টাইনদেরও।
দেশকন্ঠ/অআ