- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ ডেস্ক : বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি হার্ট অ্যাটাক। সায়েন্স ডেইলিতে প্রকাশিত ২৮০,০০০ জনেরও বেশি রোগীর ওপর চালানো ১৬ বছরের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়, যা ঠান্ডা তাপমাত্রা বা আচরণ পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। কেবল বয়স্কদের ক্ষেত্রেই নয়, কম বয়সীদেরও হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এজন্য সবারই উচিত সচেতন থাকা ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর। হার্ট সুস্থ রাখার যেমন কিছু নিয়ম কানুন আছে, ঠিক তেমনই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলোও চিনে রাখা প্রয়োজন। প্রায়শই হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক উপসর্গগুলো রোগীদের চোখ এড়িয়ে যায়। অথচ চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রাথমিক উপসর্গগুলো দেখে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
হার্ট অ্যাটাকের প্রধান ও সাধারণ লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা। এই ব্যথা বুকের মাঝখানে বা বাঁ পাশে শুরু হয়। এ সময় বুকে ভীষণ চাপ বা বুকটা বুকটা দুমড়েমুচড়ে যাওয়ার মতো অনুভূত হতে পারে। বুক থেকে ব্যথাটা ক্রমেই বাঁ হাত, গলা বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে শীতের মধ্যেও প্রচণ্ড ঘাম হতে পারে। পাশাপাশি মাথা ঘুরতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে বমি ভাব। শ্বাসকষ্ট হতে পারে।নারীদের মধ্যে বা যারা ডায়াবটিসের রোগী, তাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো অন্যভাবে আসতে পারে। বুকে খুব বেশি ব্যথা বা বুকে অস্বস্তিবোধ না হলেও অন্য কিছু লক্ষণ দেখা যায়। এক্ষেত্রে ঘাড়ে, চোয়ালে বা গলায় ব্যথা, হালকা থেকে বেশি শ্বাসকষ্ট, বমিভাব, বদহজম, উপরের পেটে বা পিঠে ব্যথা, অস্বাভাবিক দুর্বলতা ও ঘামানোর পর শরীর ঠান্ডা হতে পারে।
রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া। অনিয়মিত হার্ট বিট বা বুক ধড়ফড়ানিও হতে পারে। হঠাৎ করেই এসব উপসর্গ টের পেলে এড়িয়ে যাবেন না। এর প্রতিটিই হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যুক্তরাষ্ট্রের ওমেন’স হার্ট হেলথ ক্লিনিকের পরিচালক ডা. পুরবী পার্বনীর মতে, সাধারণত তরুণ ও বয়স্কদের হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গে তেমন পার্থক্য নেই। তবে বয়স্কদের ডায়াবেটিস থাকলে নীরবে (স্পষ্ট উপসর্গ ছাড়াই) হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. অনিল বানসালের মতে, উপসর্গ জানতে পারলে অনেকাংশে কমে যায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি। শ্বাস-প্রশ্বাসে দুর্বলতা, বুকে চাপ বা ব্যথা, অজ্ঞান হয়ে যাবার মতো ঘটনা সাধারণ হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগেই দেখা দেয়।
হার্ট অ্যাটাক হলে যা করণীয়
রোগী দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স আসার আগ পর্যন্ত সময়টায় রোগীকে শক্ত জায়গায় হাত-পা ছড়িয়ে শুইয়ে দিন এবং গায়ের জামা-কাপড় ঢিলেঢালা করে দিন। শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালুর চেষ্টা করুন। রোগী বমি করলে তাকে একদিকে কাত করে দিন, যাতে সহজেই বমি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা