• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৫

কিংবদন্তি পেলের ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তগুলো

  • ক্রীড়া -ফুটবল       
  • ০২ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৬৮
  •       
  • ০২-০১-২০২৩, ১৮:০৫:৫৪

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : শুরু হয়েছে পেলের দুইদিন ব্যপী শেষকৃত্যানুষ্ঠান। এখন থেকে এই ফুটবলারকে পরিসংখ্যানেই খুজতে হবে। তবে ফুটবল কতটা সুন্দর তার বাস্তব প্রমাণ পেলে। ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে তার চেয়ে বেশি অবদান নেই আর কারও। তিনটি বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র ফুটবলার তিনি। স্কোরিংয়ে ইতিহাস সেরা ফরোয়ার্ডদের নেতা। এমনই একজন কিংবদন্তিকে হারিয়ে শোকে আচ্ছন্ন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। জেনে নেওয়া যাক পেলের অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ারের সর্বশ্রেষ্ঠ কিছু মুহূর্ত। যা দিয়ে তাকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
 
দুই অভিষেকেই গোলের রেকর্ড
ফুটবলার হিসেবে পেশাদার ক্যারিয়ারে পেলের অভিষেক ১৯৫৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। মাত্র ১৫ বছর বয়সে লিজেন্ডারি ফরোয়ার্ড গায়ে জড়ান সান্তোসের জার্সি। চুক্তির কয়েকমাস পরেই করিন্থিয়ানস সান্তো আন্দ্রের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। ৭-১ গোলে জয়ের ম্যাচে জালের দেখা পান পেলে, ক্লাবে সূচনা হয় তার স্বর্ণযুগের যা ১৮ বছর দীর্ঘ হয়। ১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই ঐতিহ্যবাহী মারকানায় আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় পেলের। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটিতে ২-১ ব্যবধানে হারে ব্রাজিল। ওই ম্যাচেই প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের দেখা পান পেলে। সেসময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর ৯ মাস। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা পেলে।
 
উত্থান একজন সুপারস্টারের
এরপর থেকেই বিশ্ব দরবারে পেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ১৯৫৮ সুইডেন বিশ্বকাপে। গ্রুপপর্বে তাকে মাত্র একবার দেখা গেলেও কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকে তার বিস্ফোরক পারফরম্যান্সের সাক্ষী হয় বিশ্ব। ওয়েলসের বিপক্ষে পেলের গোলে ব্রাজিল জিতে ১-০ গোলে। সেমিফাইনালে পেলের হ্যাটট্রিক, ফ্রান্স বিধ্বস্ত হয় ৫-২ গোলে। ফাইনালে ফের পেলে জাদু। সুইডেনে তার জোড়া গোলে ব্রাজিল জিতে ৫-২ ব্যবধানে এবং প্রথমবারের মতো উঁচিয়ে ধরে বিশ্বকাপ শিরোপা। পেলেও প্রথম অংশগ্রহণে বাজিমাত করেন বিশ্বমঞ্চে। সেখানেই একজন সুপারস্টারের উত্থান। এরপর আর কখনোই পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি পেলেকে।
 
মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন নিয়ে হতাশা
পেলের সফরসূচি তাকে ব্রাজিলের হয়ে জিততে দেয়নি কোপা আমেরিকা। মাত্র একবারই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন তিনি। ১৯৫৯ সালে সেই সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন না হতে পারলেও গোল্ডেন বুট নিয়ে ফিরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। তবে ক্লাবপর্যায়ে মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন প্রয়াত এই ফরোয়ার্ড। ১৯৬২ সালে পেনারোলের বিপক্ষে কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালে দুই লেগ শেষ হয় সমতায়। পরে নিরপেক্ষ ভেন্যু এস্তাদিও মনুমেন্টালে প্লে-অফে সান্তোসকে জেতান পেলে। সান্তেÍাসকে প্রথমবার দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়ানোর মিশনে জোড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান গ্রেট। এক বছর পর, আলভিনেগ্রোরা মুকুট ধরে রাখে। বোকা জুনিয়র্সের বিপক্ষে ফাইনালে গোল করেন পেলে। এই দুই জয় ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সান্তোসকে জায়গা করে দেয়। উভয় বছরে জ্বলে উঠে ক্লাবটি, প্রথমে পরাজিত বেনফিকাকে- পেলে দুই পায়ে করেছিলেন পাঁচ গোল। তারপর আরেক প্লে-অফে তাদের চেয়ে ভালো করে এসি মিলান।
 
টানা পাঁচবারের শ্রেষ্ঠত্ব
১৯৬০ এর দশক জুড়ে পেলে সান্তোসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তখন তার ডাকনাম ছিল ‘ওস সান্তাস্টিকোস’। ক্লাবটির সোনালি প্রজন্মের কৃতিত্বের তালিকা বিশাল এবং তারা সব সময় সবকিছুর কেন্দ্রে ছিল। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত টানা ব্রাজিলিয়ান সিরি’আয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছিল সান্তোসের সেরা অর্জন। ওই পাঁচ আসরের তিনটিতে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার উঠে পেলের হাতে। ১৯৬২ সালে বিশ্বে প্রথম ট্রেবল শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তারা। ওই বছর পেলে ও তার বাহিনী জিতেছিল কোপা লিবা কাপা লিবার্তাদোরেস, ক্যাম্পেওনাতো পাওলিস্তা এবং টাসা ব্রাসিল।
 
পেলের কারণে একটি গৃহযুদ্ধ বন্ধ?
পেলের উত্থানের পরপরই সান্তোস ট্রফির লোভ ভুলে ‘লাভজনক’ ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করে। বিদেশ ভ্রমণগুলোর মধ্যে একটিতে, সান্তাস্টিকোস নাইজেরিয়ায় যায় যখন দেশটিতে চলছিল নৃশংস গৃহযুদ্ধ। পেলে এবং তার সতীর্থরা যখন লোগেস প্রবেশ করেন তখন সেখানে ৪৮ ঘণ্টার জন্য থেমেছিল বন্দুকযুদ্ধ। যুদ্ধে বিরতি পড়ায় সফরকারীদের সঙ্গে সুপার ঈগলের ম্যাচ উপভোগ করতে পেরেছিল সবাই, যা অমীমাংসিত থেকে যায় ২-২ গোলে। বলা বাহুল্য যে সান্তোসের হয়ে দুটো গোলই করেন পেলে। প্রায় ৬০ বছর পরে, এই গল্পের সত্যতা এখনো বির্তকিত। কেউ কেউ দাবি করেন, পেলেরা পৌঁছানোর একরাত আগেই থামানো হয় যুদ্ধ। অনেকে নাকি আবার ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের বাইরে গুলির শব্দ শুনেছেন। পেলে নিজেও মনে করতে পারেননি কী ঘটেছিল, কারণ প্রতিবছর ঘুরে-ফিরে ১০০টিরও বেশি ক্লাব ম্যাচ খেলতে হতো তাকে।
 
ক্যারিয়ারে এক হাজার গোল!
পেলের ব্যস্ত সফরসূচিতে ‘প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ’ নিয়ে বিতর্কের কারণে, পেলের সঠিক গোলসংখ্যা বিতর্কিত। যাই হোক, ১৯৬৯ সালে ১৯ নভেম্বর সান্তোস এবং ভাস্কো দ্য গামার ভক্তরা যৌথভাবে দাঁড়িয়ে পেলেকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন যখন তিনি ১০০০তম গোলের দেখা পেয়েছিলেন। অবিশ্বাস্যভাবে পেলের বয়স ৩০ বছর না হলেও তখন তিনি সেই মাইলফলকে পৌঁছান। ২০১৫ সালে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি নিজেই দাবি করেছিলেন যে তিনি ১ হাজার ২৮৩টি গোল করেছেন।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।