• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:৪২

ডায়াবেটিস হলে কোন ফল খাবেন কোন ফল এড়িয়ে চলবেন

দেশকন্ঠ  ডেস্ক : ডায়াবেটিস ধরা পড়লে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে রাশ টানতে হয় খাওয়া দাওয়ায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ইচ্ছামতো সব খাবার খাওয়া যায় না। মিষ্টি তো বটেই, সেই সঙ্গে বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ। খাওয়া দাওয়ায় নিয়ম মেনে না চললে ডায়াবেটিস বশে রাখা সহজ নয়। তবে যে কোনও অসুস্থতাই হোক, নিয়ম করে ফল খেতে বলেন চিকিৎসকরা। ফলে রয়েছে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নানা উপাদান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে পেটের যত্ন নেওয়া— সবেতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফল।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে ফল খাওয়াতেও সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে সব ফল খাওয়া যায় না। কারণ, ফলে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ কম নয়। যা শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জি.আই) উপরের দিকে, ডায়াবেটিস হলে সে সব খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। কিছু ফলের জি.আই অনেক বেশি। তাই ডায়াবেটিস থাকলে সেই ফলগুলি একেবারে খাওয়া যাবে না। কয়েকটি ফলে জি.আই কম। সেগুলি কিন্তু নির্দ্বিধায় খেতে পারেন ডায়াবেটিকরা।

ডায়াবিটিস থাকলে ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। ফল খাওয়ার পাশাপাশি কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন, সেটাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম বলে একসঙ্গে অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে নিলেও চলবে না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিস থাকলে প্রতি দিন ১০০-১৫০ গ্রাম ফলের বেশি খাওয়া ঠিক হবে না। জি.আই বেশি হোক বা না হোক, ফল খেলে কম করে খাওয়াই ভাল। কয়েকটি ফল রয়েছে, যেগুলি ডায়াবিটিস রোগীরা খেতে পারেন। আবার কিছু ফল রয়েছে ডায়াবেটিকদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীরা কোন ফলগুলি খেতে পারেন? আপেল, পেয়ারা, কমলালেবু, পেঁপে, তরমুজ— এই পাঁচটি ফল ডায়াবেটিকরা খেতে পারেন। এই ফলে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম। সেই সঙ্গে ক্যালোরি, সোডিয়ামও অনেক কম পরিমাণে থাকে।অন্য দিকে, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। যা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।কোন ফলগুলি এড়িয়ে চলবেন? আম, আতা, কাঁঠাল, কলা, সবেদা, আঙুর— এই ফলগুলি শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ, এগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনায় অনেক বেশি। ডায়াবিটিস থাকলে ভুলেও খাবেন না এই ধরনের ফল। সূত্র: আনন্দবাজার
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।