- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালে মিড লেভেল অফথালমিক পার্সনেল (এমএলও) অফথালমিক এ্যসিসট্যান্ট কোর্স শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ অধিভূক্ত কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রথম এ কোর্স চালু হল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামে নামাংকৃত এ হাসপাতালের শুরু হওয়া এ কোর্সে সরকার নির্ধারিত কোর্স ফি নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ফ্রি আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ কোর্সে ২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। কোর্সের মেয়াদ ১ বছর। এ কোর্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কোর্স শেষে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এ পরীক্ষার মধ্য দিয়েই তাদের মূল্যায়ন হবে। তারপর তাদের সনদপত্র দেওয়া হবে। এখান থেকে কোর্স শেষ করে শিক্ষার্থীরা চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ফেরদৌসী বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেসরকারি ৪/৫ টি প্রতিষ্ঠানে এ কোর্স চালু রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর ৮০ থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থী বের হচ্ছেন। তারা চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। এ সেক্টরে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। দেশের একটি জনগোষ্ঠীক এ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে চাই। তাই আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ প্রথম একোর্স শুরু করেছি। এখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৪০০ টাকা কোর্স ফি নিয়েছি। তাদের বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধা শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে। তাদের রেজিষ্ট্রেশন করা হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা বৃত্তির ব্যবস্থা করতে চেষ্টা চালাচ্ছি। এটা করতে পারলে শিক্ষার্থীদের কোর্স খরচ আরো কম হবে। এখানে তারা সব ধরণের চক্ষুরোগ সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি তারা চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা সম্পর্কে প্রাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করবে। তারা কোর্স শেষ করে চিকিৎসকের পূর্নাঙ্গ সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তবে তারা রোগীর প্রেসক্রিপশন করে দিতে পারবে না। ভবিষ্যতে এ কোর্স বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
অফথালমিক এ্যসিসট্যান্ট কোর্সের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার রিয়া বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফথালমিক এ্যসিসট্যান্ট কোর্স ভর্তি হলে ফি দিতে হয় ৭৫ হাজার টাকা। বাসস্থানের পেছরে ব্যয় করতে হয় সাসে ৩ হাজার টাকা। খাবার খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এ কোর্স শেষ করতে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়। সেখানে সরকারি এ প্রতিষ্ঠান থেকে একোর্স করতে আমাদের খরচ একবারেই নগন্য।অফথালমিক এ্যসিসট্যান্ট কোর্সের শিক্ষার্থী আখি মণি মিতানূর বলেন, এখানে এ কোর্সে খরচ খুবই কম। বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ক্লাস নেন। তাই শিক্ষার মান সর্বোৎকৃষ্ট। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোর্সে এ উৎকৃষ্টমানের রিসোর্স পার্সন নেই। তাই এখান থেকে কোর্স শেষ করে আমরা চিকৎসকের সহকারী হিসেবে সুচারুরূপে কাজ করতে পারব।শিক্ষার্থী যোবায়ের আহমেদ বলেন, এখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, সুসজ্জিত মনোরম পরিবেশ। এ পরিবেশে আমরা সুন্দরভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছি। হাসপাতালের পরিচালক খুবই আন্তরিক। এখানকার রিসোর্স পার্সনরা সব বিষয় আমাদের সামনে সহজভাবে উপস্থাপন করেন। কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে তারা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন। আমরা এখানে আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করছি। আগামীতে এখানে এ কোর্সে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা হবে। ওই কোর্সের রিসোর্স পার্সন ডা. আব্দুল কাদির বলেন, শিক্ষার্থীরা খুবই মনোযোগী। এ কোর্স তারা ভালো ভাবেই সম্পন্ন করতে পারবে। তারা এখান থেকে কোর্স সমাপ্ত করে ভাল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা