• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:৪৪

গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালে অফথালমিক এ্যসিসট্যান্ট কোর্স

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালে মিড লেভেল অফথালমিক পার্সনেল (এমএলও) অফথালমিক এ্যসিসট্যান্ট কোর্স শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা  মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ অধিভূক্ত কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানে  প্রথম এ কোর্স চালু হল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামে নামাংকৃত এ হাসপাতালের  শুরু হওয়া এ কোর্সে সরকার নির্ধারিত কোর্স ফি নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ফ্রি আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ কোর্সে ২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। কোর্সের মেয়াদ ১ বছর। এ কোর্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কোর্স শেষে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এ পরীক্ষার মধ্য দিয়েই তাদের মূল্যায়ন হবে। তারপর তাদের সনদপত্র দেওয়া হবে।   এখান থেকে  কোর্স শেষ করে শিক্ষার্থীরা চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ফেরদৌসী বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেসরকারি  ৪/৫ টি প্রতিষ্ঠানে এ কোর্স চালু রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর ৮০ থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থী বের হচ্ছেন। তারা চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। এ সেক্টরে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। দেশের একটি জনগোষ্ঠীক এ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে চাই। তাই আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ প্রথম একোর্স শুরু করেছি। এখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৪০০ টাকা কোর্স ফি নিয়েছি। তাদের বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধা শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে। তাদের রেজিষ্ট্রেশন করা হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা বৃত্তির ব্যবস্থা করতে চেষ্টা চালাচ্ছি। এটা করতে পারলে শিক্ষার্থীদের কোর্স খরচ আরো কম হবে। এখানে তারা সব ধরণের চক্ষুরোগ সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি তারা চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা সম্পর্কে প্রাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করবে। তারা কোর্স শেষ করে চিকিৎসকের পূর্নাঙ্গ সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তবে তারা রোগীর প্রেসক্রিপশন করে দিতে পারবে না। ভবিষ্যতে এ কোর্স  বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

অফথালমিক এ্যসিসট্যান্ট কোর্সের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার রিয়া বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফথালমিক এ্যসিসট্যান্ট কোর্স  ভর্তি হলে ফি দিতে হয় ৭৫ হাজার টাকা। বাসস্থানের পেছরে ব্যয় করতে হয় সাসে ৩ হাজার টাকা। খাবার খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এ কোর্স শেষ করতে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়। সেখানে সরকারি এ প্রতিষ্ঠান থেকে একোর্স করতে আমাদের খরচ একবারেই নগন্য।অফথালমিক এ্যসিসট্যান্ট কোর্সের শিক্ষার্থী আখি মণি মিতানূর বলেন, এখানে এ কোর্সে খরচ খুবই কম। বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ক্লাস নেন। তাই শিক্ষার মান সর্বোৎকৃষ্ট। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোর্সে এ উৎকৃষ্টমানের রিসোর্স পার্সন নেই। তাই এখান থেকে কোর্স শেষ করে আমরা  চিকৎসকের সহকারী হিসেবে সুচারুরূপে কাজ করতে পারব।শিক্ষার্থী যোবায়ের আহমেদ বলেন, এখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, সুসজ্জিত মনোরম পরিবেশ। এ পরিবেশে আমরা সুন্দরভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছি। হাসপাতালের পরিচালক খুবই আন্তরিক। এখানকার রিসোর্স পার্সনরা সব বিষয় আমাদের সামনে সহজভাবে উপস্থাপন করেন। কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে তারা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন। আমরা এখানে আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করছি। আগামীতে এখানে এ কোর্সে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা হবে। ওই কোর্সের রিসোর্স পার্সন ডা. আব্দুল কাদির বলেন, শিক্ষার্থীরা খুবই মনোযোগী। এ কোর্স তারা  ভালো ভাবেই সম্পন্ন করতে পারবে। তারা এখান থেকে কোর্স সমাপ্ত করে ভাল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।