• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪২

ক্রিকেটে নতুন কোচ : ফিরছেন হাতুরুসিংহে

স্পোর্টস রিপোর্টার : জাতীয় দল এখন কোচশুন্য। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়েই সবাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কখনোই কোন জাতীয় দলকে কোচিং না করা স্টিভ রোডস, চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে বাংলাদেশে এসে সফলতা পেয়েছিলেন। এরপর রাসেল ডোমিঙ্গোও এসেছিলেন একই অভিজ্ঞতা নিয়ে। কিন্তু তার নিয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই নানা কথা ছিল। যতদিন গেছে ততই স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে না নেওয়ার নানান যুক্তি। নিয়মিত পারফরমারদের বাদ দিয়ে নিজের মতো করে দল গঠন এরপর সাফল্য পেলেও কাটেনি হতাশা। তারপর তো পরিস্থিতি বুঝে নিজে থেকেই পদত্যাগ করতে হয়েছে। এরপরই নতুন কোচ নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। 
 
একটা সময় এসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে পরিস্কার করা হয়েছে, তারা তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দেবেন না। এক কোচের অধীনেই পরিচালিত হবে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। এখন বেশ কয়েকবছর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে এক ‘প্রধান’ কোচ নীতিতে ফিরতে যাচ্ছে বিসিবি। ২০২৩ সালটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কাটবে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের। সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে। রঙ্গিন পোষাক-সাদা বলের বিশ্বকাপের বছরে হেড কোচ শূন্য এখন জাতীয় দল! 
 
প্রধান কোচের পদ থেকে সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে সিরিজেই পদত্যাগ করেছেন কোচ ডমিঙ্গো। এরপরই নতুন কোচের সন্ধান করা হচ্ছে। নতুন কোচ খুজতে গিয়ে জানা গেছে, তালিকায় বড় কিছু নামও আছে। আবার কোচিং নীতি নিয়েও চলছে নানা ধরনের কথা। সামনের সময়ে ব্যস্ত হওয়ার আভাষটা পাওয়া গেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এফটিপি প্রকাশের পরই। ২০২২ সালে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য বলেছিলেন, তারা ভিন্ন ফরম্যাটে আলাদা কোচ নিয়োগের কথা ভাবছেন। কারণ এতো বেশি খেলা যে, একজন হেড কোচের পক্ষে সব সিরিজে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা সম্ভব হবে না। এরপরই বিসিবি কোচিং প্যানেলে বিভক্তি চাইছেনা। এখন আর দলে একাধিক হেড কোচ নিয়োগ নীতি থেকেও সরে আসার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিসিবি সুত্রে জানা গেছে, একজন হেড কোচ নিয়োগ দিয়ে তার একজন ডেপুটি কোচ রাখা যেতে পারে। যিনি হেড কোচের ছুটিতে দল সামলানোর সময় দায়িত্ব পালন করবেন। 
 
নতুন করে করা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিরিজের মাঝে যে কোন একটা ফরম্যাটে হেড কোচের ভূমিকা পালন করবেন সহকারীদের কেউ কেউ। বিসিবি থেকে জানা গেছে, সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীধরন শ্রীরাম হেড কোচের দায়িত্বে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিলেও অতটা কার্যকর ছিল না। চলমান বিপিএলের পরেই বাংলাদেশের ইংল্যান্ড সিরিজ। ওই সিরিজের আগেই হেড কোচ ও কোচিং প্যানেল চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। বিপিএল চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দায়িত্ব পালন করা শ্রীরাম। অনেকে বলাবলি করছেন, কোচ হিসেবে নিজের মেয়াদ বাড়াতেই নাকি তার এ আগমন। এই ভারতীয়কে টি টোয়েন্টি দলের স্থায়ী হেড কোচ করা হবে বলে মনে করা হলের সহকারী কোচ করা সম্ভাবনাই এখন বেশি। বাংলাদেশ দলের পরবর্তী হেড কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক কোচ শ্রীলঙ্কার চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। এছাড়া মাইক হাসি, মোহাম্মদ কাইফ, রবিন সিং, ল্যান্স ক্লুজনাররা রয়েছেন আলোচনায়। এর বাইরে বিসিবি নতুন করে হেড অব প্রোগ্রাম (ডিরেক্টর অব কোচিং) পদ সৃষ্টির কথা ভাবছে। ওই তালিকায় অভিজ্ঞ টম মুডি এবং রিচার্ড পাইবাসের নাম আছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। সে হিসেবে বড় পরিকল্পনার পথেই হাটছে দেশের ক্রিকেট পরিচালনাকারী সংস্থাটি। 
 
টাইগারদের কোচ হওয়ার লড়াইয়ে এখন অনেকেই নিজেকে সামিল করেছেন। এদিকে কোচের হটসিটে এখন নাকি ত্রিমুখী লড়াই চলছে! হাথুরুসিংহে, শ্রীরাম ছাড়া নতুন করে আলোচনায় রয়েছে জুলিয়ান উড। জাতীয় দলের জন্য একজন পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে ইংলিশ এই কোচের নাম শোনা যাচ্ছিল বেশ জোরেশোরে। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও নাকি উডের দিকে ঝুঁকতে চেয়েছিল বিসিবি, এমনটাই জানা গিয়েছিল। তবে তখন পাকিস্তানে দায়িত্ব পালন করায় সাড়া দিতে পারেননি উড। ইংলিশ কোচ জানালেন, এখন তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন বাংলাদেশের কোচ হতে। এবারের নবম বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উড। পাওয়ার হিটিং বিশেষজ্ঞ কোচ হিসেবে ক্রিকেট দুনিয়ায় দারুণ জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। আইপিএলে কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে ইংলিশ কোচের। উডের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও তাকে নিয়ে ভাবছিল বিসিবি। পাওয়ার হিটিং স্পেশালাইজড বটে কিন্তু তিনি ব্যাটিং কোচও। উডকে নিয়োগ দিলে সহকারী কোচ করা হতে পারে। তবে শ্রীরাম থাকায় টি-টোয়েন্টির জন্য নিয়োগ পাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধ কাজ করছে। তবে প্রধান কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহে নাকি একরকম নিশ্চিত। তার নিয়োগের বিষয়টি নাকি ৯০ শতাংশ।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।