• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২২:২৯

কিশোর-কিশোরীরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশকন্ঠ ডেস্ক : কিশোর-কিশোরীরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন; কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়নে এবং বয়স-ভিত্তিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য সম্ভবপর সবকিছু আমাদের করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে বাংলাদেশে কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের প্রতিফলন। এ দিন দুটি অনলাইন পোর্টালের উদ্বোধন করা হয়। এ পোর্টালগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবা পেতে সক্ষম হবে।

ইউনিসেফ ও সুইডিশ দূতাবাসের সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চালু করা কৈশোর স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের লক্ষ্য হচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের জন্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবার সহজপ্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি। কিন্তু তারা তাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বাধার সম্মুখীন হয়। কেননা, মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে একদিকে যেমন রয়েছে সচেতনতার অভাব, অন্যদিকে কমিউনিটিতে ব্যাপক মাত্রায় প্রচলিত রয়েছে এবিষয়ক নানা নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার। আর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে, মেয়ে ও ছেলে উভয়ের জন্যই বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও অত্যাবশ্যক সেবা খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “বয়ঃসন্ধিকাল হলো একটি রূপান্তরের সময় যখন কিশোর-কিশোরীরা বিস্তৃত পরিসরে পৃথিবীর মুখোমুখি হয়, মুখোমুখি হয় নতুন চ্যালেঞ্জের। এই অ্যাপটি তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবে, যেসব তথ্য তারা বাবা-মা, বন্ধু এমনকি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে সাধারণত লজ্জা পেয়ে থাকে।” কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, পুষ্টি, সহিংসতা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষামূলক ও জেন্ডার-ভিত্তিক - নির্দেশিকা ও কোর্সের পাশাপাশি কৈশর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে ও কোথায় পাওয়া যায় সে বিষয়ক তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির কথা প্রচার করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব, পিয়ার-গ্রুপ (বন্ধু-দল) এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, “এই কৈশোর স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ মেয়ে ও ছেলের জীবন উন্নত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আনন্দিত।”
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।