• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪৭

প্রয়োজন ছাড়াই অস্ত্রোপচার রোগ বাড়ছে নবজাতকের

দেশকন্ঠ ডেস্ক : বাড়ছে সিজারিয়ান শিশুর সংখ্যা। প্রয়োজন ছাড়াই অস্ত্রোপচারও করেন অনেক ডাক্তার। তাতে অ্যাজমা, কাশি, জ্বরসহ বহু ধরণের রোগ বেড়েছে নবজাতকের।লিমা খাতুন, তিন মাসের নবজাতককে নিয়ে ভর্তি আছেন রাজধানীর শিশু হাসপাতালে। নড়াইলের লোহাগড়া থেকে আসা লিমা খাতুনের মুক্তি মিলবে কবে তা তার অজানা। সি সিকশনের মাধ্যমে জন্ম নেয়া লিমার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই ভুগছে শ্বাসকষ্টে।হাসপাতালের এইচডি আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ শিশুই সিজারিয়ান। এদের প্রত্যেকেই আক্রান্ত কোনো না কোনা সমস্যায়।শিশু হাসপাতালের এইচডি আইসোলেশন রেজিস্টার ডা. ফেরদৌসী বেগম বলেন, “অনেক সময় সিজারিয়ান সেকশন করার ফলে বাচ্চাদের অক্সিজেন সাপ্লাই ব্রেনে কমে যাচ্ছে। এর ফলে বাচ্চা নীল হয়ে যেতে পারে এবং বাচ্চার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।”সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে কম, অভিমত চিকিৎসকদের। ফুসফুস অপরিপক্ক থাকায় স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয় এদের।শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুজ্জামান বলেন, “বুকের দুধ খাওয়া থেকে বাচ্চার দেরি হয়ে যায় কিন্তু হাল দুধটা বাচ্চার ক্ষেত্রে টিকার কাজ করে। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বাচ্চার জন্মের পর পরই যদি মায়ের বুকের সঙ্গে বা মায়ের স্কিনের কন্ট্রাক্টে নিয়ে আসা যায় তাতে তার ভেতর কিছু এন্টিবডি জন্মায়।”বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ, দেশে সিজারিয়ান শিশুর সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। যদিও বাংলাদেশে এটির আধিক্য ৫১ শতাংশের ওপরে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা নিপোর্ট বলছে, বেসরকারি হাসপাতালে ৮৩ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। অস্ত্রোপচারের কারণ হিসেবে ক্লিনিক মালিকদের মুনাফা, অভিভাবকদের অতি উৎসাহ, গর্ভকালীন মায়ের পরিচর্যার অভাবকে দায়ী করছেন অনেকে।চিকিৎসক নেতাদের পরামর্শ, উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সংখ্যা বাড়ালে অস্ত্রোপচার অনেকাংশে কমতো।বিএমএ সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, “আন-ট্রেইন্ড দাই অথবা যারা ডেলিভারি করান গ্রামগঞ্জে তাদেরকে সরকারিভাবে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা যদি প্রশিক্ষিত হন এবং তাদেরকে যদি ব্যবহার করতে পারি তবে এই সংখ্যাটা দিনে দিনে আমাদের দেশে কমে আসবে।”সিজার কমাতে জনসচেতনতার বড় বেশি প্রয়োজন বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎকেরা।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।