• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৬

বাংলাদেশেই আসছেন হাতুরুসিংহে

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : জাতীয় দলের কোচ নিয়োগের নাটকীয়তা শেষ পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্ভাবনা থাকায় সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাতুরুসিংহের নিয়োগ নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। এরপর গতকাল সকালে যখন নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী কোচের চাকুরি ছেড়ে দেন। এরপরই আবার বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয় এই লংকান কোচের। যদিও বিসিবি ও হাতুরুসিংহে, কারও দিক থেকেই কোন কিছু জানা যায়নি। তবে অসমর্থিত কয়েকটি সুত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে আসতেই অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য দলের কোচের চাকুরি ছেড়েছেন হাতুরু। বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর উত্তরসূরি এখনও নিশ্চিত হয়নি। গুঞ্জন আছে, সাকিব-মুশফিকদের কোচ হয়ে আবার বাংলাদেশে আসছেন হাতুরুসিংহে। উড়ো খবরের মাঝেই নিউ সাউথ ওয়েলসের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন লংকান কোচ। তবে কি আরেকবার টাইগার ক্রিকেটের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন হাতুরুসিংহে, জমছে এই মুখরোচক আলোচনা। 
 
জন্মভিটা শ্রীলংকার কোচ হিসেবে চাকুরি হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করতেন হাতুরুসিংহে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সাবেক টাইগার কোচের চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দ্য ব্লুজ। ২০২০ সালে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দুই বছর অস্ট্রেলিয়ায় কাটিয়েছেন লংকান জার্সিতে ২৬ টেস্ট খেলা হাতুরুসিংহে। তার জায়গায় ব্যাটিং কোচ হিসেবে বাকি মৌসুমে দলের দায়িত্ব নেবেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্যামেরন হোয়াইট। নিউ সাউথ ওয়েলসের এলিট মেল ক্রিকেটের প্রধান মাইকেল ক্লিঙ্গার হাতুরুসিংহকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘ক্রিকেট এনএসডব্লুু, ব্লুজ ও সিডনি থান্ডারে চন্ডি গত দু’বছর দারুণ অবদান রেখেছেন। তার চলে যাওয়াতে আমরা দুঃখিত। কিন্তু তার আন্তর্জাতিক কোনো দলের কোচিং করানোর ইচ্ছার বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। কোচিং ক্যারিয়ারের পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য শুভকামনা রাখছি।’ 
ডমিঙ্গোর চাকুরি যাবার পর বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, বাংলাদেশের টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের দায়িত্ব নিতে হাতুরুসিংহকে নিয়োগ দিতে পারে বিসিবি। এরআগে, ২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত প্রধান কোচ হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে কাজ করেছেন এই লংকান। সে সময় তার নামের পাশে কড়া হেডমাস্টার নাম যুক্ত হয়েছিল। দায়িত্ব ছেড়ে দুই বছর নিজ দেশের হয়েও কাজ করেছেন। এরপর ২০২০ সালে আবার নিউ সাউথ ওয়েলসের ফিরে যান। এবার মৌসুমের মাঝে চাকরি ছাড়লেন। তবে কি বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে অজি মুলুকের কোচিং ছেড়েছেন হাতুরুসিংহে, এই প্রশ্ন এখন বেশ জোড়েসোরেই উঠেছে। তবে সব ঠিকঠাক থাকলে সাকিব-মুশফিকদের দায়িত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল কোচের হাতে আরেকবার ওঠা যেন বিসিবির ঘোষণার ব্যাপার মাত্র বলেই কয়েকটি সুত্র জানিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কেউ কোন কথা বলছেন না। কোচিংয়ের দায়িত্ব ছাড়লেন হাতুরুসিংহে, আসছেন কি বাংলাদেশেই? বিদায়ী বছরের (২০২২) ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের চেয়ারটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কেননা রাসেল ডমিঙ্গোর বিদায়ের পর এখন পর্যন্ত কোনো কোচকেই দায়িত্ব দেয়নি বিসিবি। নতুন কোচ হিসেবে অনেকেরই নাম উঠছে।
 
এদিকে গুঞ্জন রয়েছে আবারো চন্ডিকা হাতুরুসিংহই ফিরছেন সাকিব আল হাসানদের কোচ হয়ে। মঙ্গলবার সারাদিনই এ বিষয়ে অনেক ধরনের কথা শোনা গেছে। জানা গেছে, চন্ডিকা হাতুরুসিংহে তার ক্লাব নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এরপরই হাতুরুর বাংলাদেশে ফেরার গুঞ্জন আরো জোরাল হলো। প্রশ্ন এখন দাঁড়িয়েছে তাহলে কি বাংলাদেশেই আসছেন তিনি? এর আগে গত সোমবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রধান কোচ চলে আসবে। নিউ সাউথ ওয়েলসের সঙ্গে দুই মেয়াদে কাজ করেছেন হাতুরুসিংহে। প্রথমে ২০১১-১৪ পর্যন্ত ছিলেন ক্লাবটির দায়িত্বে। এরপর ২০২০ সালে আবারো যোগ দেন সাউথ ওয়েলসে। হাতুরুর বিদায়ে ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলসের এলিট মেল ক্রিকেটের প্রধান মাইকেল ক্লিঞ্জার অবশ্য তাকে শুভ কামনা জানিয়েছেন। 
 
এদিকে ফেব্রুয়ারিতেই আসছে নতুন কোচ, নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের চেয়ারটা ফাঁকা পড়ে আছে। রাসেল ডমিঙ্গোর বিদায়ের পর এখন পর্যন্ত নতুন কোনো কোচ নিয়োগ দেয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেট পরিচালনাকারী সংস্থাটি। তবে বসে নেই বিসিবি, চালিয়ে যাচ্ছে সব ধরনের চেষ্টা। সিলেট সফরের সময় সোমবার কোচ নিয়োগের অগ্রগতির কথা জানালেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সোমবার দুপুরে হঠাৎ করেই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেখা যায় বিসিবি বস পাপনকে। বিপিএলের দিনের প্রথম ম্যাচ মাঠে বসে দেখেছেন তিনি। সন্ধ্যায় কথা বলেছেন গণমাধ্যমে। জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই আসছেন টাইগারদের প্রধান কোচ। কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাতুরুসিংহেই আসছেন কি না সে বিষয়ে মুখ খোলেননি পাপন। নির্দিষ্ট করে কোনো কোচের নামও বলেননি তিনি। 
 
তবে দিনকয়েক আগেই গণমাধ্যমে খবর এসেছে, হাতুরু আসছেন না কোচ হয়ে। এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘১৮-২০ ফেব্রুয়ারি নতুন কোচ আসবে। কে আসবে এখনই বলব না। হাতুরু আসবে না সেটা তো আমি বলিনি, কোথায় নিউজ পেয়েছেন আপনারা? কোচ পেয়ে যাব ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের অপশনে যারা রয়েছে এর মধ্যেই পেয়ে যাব।’ তবে অন্য কাউকে নিয়ে কোন আলোচনা কিংবা বাইরের কোন কোচের সাক্ষাৎকার না নেওয়ায় হাতুরুর বাংলাদেশে আসার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে ঘোষনা না আসা পর্যন্ত একটা ধোয়াশা থাকছেই। 
দেশকণ্ঠ/ আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।