• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:২১

স্থুলতা নানা রোগের সূচনা

দেশকন্ঠ ডেস্ক : নগরজীবনে সময়মতো খাওয়া, বিশ্রাম কিংবা ঘুম কোনো কিছুই হয় না নিয়ম বা দেহঘড়িকে মেনে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শরীরে ভর করে অপ্রত্যাশিত স্থুলতা। দেখা দেয় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, বন্ধ্যাত্ব কিংবা কিডনি ড্যামেজ থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো রোগ।মোটা-তাজা-সুঠাম দেহ নয়, অতিরিক্ত চর্বি জমলে শরীর হয়ে ওঠে স্থুল। বাড়ে শারীরিক জটিলতাও।চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, স্থুলতা এখন নানা রোগের সূচনা। নগর জীবনের বাস্তবতায় অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া হয় বেশি। অফিস ও ডেস্কভিত্তিক কর্মক্ষেত্রে কায়িক পরিশ্রম করা হয়ে ওঠে না অনেকেরই।বংশগত কারণে হরমোন গ্রন্থির নানা জটিলতা বা অতিরিক্ত ওষুধ সেবনেও স্থুল হয়ে যেতে পারে শরীর।বারডেম হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ ফারুক পাঠান বলেন, “শরীরের মেটাবলিজমে পরিবর্তন নয়, হরমোনে পরিবর্তন আসছে। পরিপাকতন্ত্রে অনেক রস তৈরি হয়, বিভিন্ন হরমোনের গ্লান থেকে রস তৈরি হয়- এই রসের মধ্যে আমাদের সমস্ত সিস্টেমটা চলে। কিছু রস আছে ভালো কিছু রস আমাদের ক্ষতি করে।” পুরুষদের তুলনায় নারীদের স্থুলতার হার বেশি। অন্য রোগগুলোর পাশাপাশি তাদের শরীরে বাসা বাধে অনিয়মিত পিরিয়ড, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমও।

অধ্যাপক মোহাম্মদ ফারুক পাঠান বলেন, “এই পরিবর্তনের বহিঃপ্রকাশ হলো রোগ সৃষ্টি হওয়া। তার মধ্যে মেটাবলিজ ডিজেজ হিসেবে ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসার হাই, রক্তে চর্বি বেশি, সেক্স হরমোনের পরিমাণও কমে যাচ্ছে।” বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোহাম্মদ মাসুমুল হক বলেন, “স্থুলতা যেটা বলছি, এটার সঙ্গে ক্যান্সারের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সার, ওভারিয়েন ক্যান্সার, প্যান ক্রিয়েটিক ক্যান্সার এবং পরুষের ক্ষেত্রে লাঞ্চ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ওবেসিটির একটা সম্পর্ক রয়েছে।”স্থুলতা কমাতে প্রয়োজন নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম ও ব্যায়াম এবং চর্বিযুক্ত ও ফার্স্টফুড পরিহারসহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।চিকিৎসক ডাক্তার মোহাম্মদ মাসুমুল হক বলেন, “ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি এবং খাদ্যাভাস- এই দুটোর কেন্দ্রস্থল হচ্ছে স্থুলতা।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।