• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:৩৬
বিপুল উপস্থিতিতে উৎসবমুখর আয়োজন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন

 

অনিন্দ্য আরিফ দিব্য : তখনও অনেকের চোখে-মুখেই ঘুমঘুম ভাব। ভোরের আলো স্পর্শ করেনি। কিছুটা কুয়াশাচ্ছন্ন চারদিক। ঘড়ির কাঁটায় ৫টা ছুঁই ছুঁই। ঠিক সে-সময়ে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার ম্যারাথনপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত। উদ্বোধন আয়োজনকে জম্পেশ করতে মঞ্চ থেকে বেলুন উড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঘোষণা হলো একটু পরেই শুরু ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২৩’। ঠিক এমন আবহে শুরু হয়েছে এবারের তৃতীয় আসরের। এবারের আসরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশি-বিদেশি ম্যারাথন দৌড়বিদ অংশ নিয়েছে।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২৩। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ ম্যারাথনে অংশ নিয়েছে দেশি-বিদেশি ২ হাজার ১৬৩ দৌড়বিদ। এবারের আসরের মূল লক্ষ্য ছিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে বাঙালি জাতিসত্তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বের সামনে উপস্থাপন এবং যুবসমাজকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারায় উদ্বুদ্ধ করা।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২৩ উদ্বেধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং ছিলেন আয়োজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অতিথিদ্বয় কাকডাকা ভোরে বেলুন উড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২৩-এর উদ্বোধন করেন।
 
মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ২০২১ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন’-এর সূচনা হয়। ২০২২ সালেও এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে আয়োজকরা। গত ২০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৫টায় বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার হতে শুরু হয়ে ৩০০ ফুট রাস্তা হয়ে কাঞ্চন ব্রিজের পূর্ব পর্যন্ত অতিক্রম করে এবং একই রাস্তায় দিয়ে পুনরায় ফেরত এসে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারেই শেষ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনের মূল দৈর্ঘ্য ছিল ৪২.১৯৫ কিলোমিটার। হাফ ম্যারাথন ২১.০৯৭ কিলোমিটার।
 
ম্যারাথনের তৃতীয় আসরে কেনিয়া, ইথিওপিয়া, মরক্কো, ইউক্রেন, রুয়ান্ডা, লিথুনিয়া এবং উগান্ডা থেকে ৩৮ এলিট দৌড়বিদ এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল ও মালদ্বীপ থেকে ৪৩ সাফ দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ থেকে ফুল ম্যারাথনে ৫৩২ এবং হাফ ম্যারাথনে ১ হাজার ৫৫০ দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন। ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, জাপান, নেদারল্যান্ডস এবং নরওয়ের দৌড়বিদরা।
 
ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী এলিট দৌড়বিদদের মধ্যে ফুল এবং হাফ ম্যারাথনে ২১ পুরুষ এবং ১৭ মহিলা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সাফ দৌড়বিদদের মধ্যে ফুল এবং হাফ ম্যারাথনে ২৩ পুরুষ এবং ২০ মহিলা অংশগ্রহণ করেন। ফুল ম্যারাথনে এলিট দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কেনিয়ার স্ট্যানলি কিপ্রোটিস বেট এবং মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ইথিওপিয়ার বাসাঙ্কি ইমোসি বিলো। ফুল ম্যারাথনে সাফ দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন ভারতের বাঙ্গরিয়া ভিক্রম বারাতসিন এবং নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন নেপালের পুষ্পা ভান্ডারি। হাফ ম্যারাথনে এলিট দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মরক্কোর আব্দিল আজিজ বাঘাজি এবং নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন উগান্ডার রিস্পা চিরোপ। হাফ ম্যারাথনে সাফ দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভারতের অভিষেক পাল এবং নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ভারতের রেশমা দত্ত কিভেত। ফুল ম্যারাথনে বাংলাদেশি দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. আল আমিন এবং নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন পাপিয়া খাতুন। হাফ ম্যারাথনে বাংলাদেশিদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এম এলাহি সরদার এবং নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন সুস্মিতা ঘোষ।
 
সমাপনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২৩-এর প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, দৈনিক বাংলার প্রকাশক ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
ম্যারাথন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২৩ আয়োজন এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তৃতীয় বঙ্গবন্ধু ম্যারাথনে যারা সফলভাবে দৌড় সম্পন্ন করেছেন, তাদের সবাইকে আমার শুভেচ্ছা।’ সবশেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কৃত করেছেন মঞ্চ সভাসদ। ততক্ষণে নীল আকাশে সূর্যের লাল রশ্মি ছড়িয়ে পড়েছে অনুষ্ঠান মঞ্চসহ আশপাশের সব অঞ্চলে। দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘণ্টা লম্বা ম্যারাথন শেষে বিজয়ীদের চোখে-মুখে আনন্দের হাসি, অনেকের চোখে তখন রাজ্যের ঘুম আর আয়োজকদের মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনের সফল 
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।