• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৭

সঠিক জীবনদৃষ্টি হৃদরোগ নিরাময় করে

দেশকন্ঠ ডেস্ক : হৃদরোগের সাথে ভ্রান্ত জীবনদৃষ্টি ও ভুল জীবন-অভ্যাসের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ভ্রান্ত জীবনদৃষ্টির কারণে আমরা একদিকে যেমন জীবনের মূল লক্ষ্য থেকে সরে গেছি, তেমনি সংজ্ঞায়িত করতে পারছি না আমাদের চাওয়াকে। কী চাই, কতটুকু চাই- আমরা নিজেরাই জানি না।
যত পাচ্ছি তত বাড়ছে আরো পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। চাওয়াপাওয়ার এই দুর্বিষহ চক্র অভিশপ্ত করে তুলছে আমাদের জীবনকে। ভেতরে সৃষ্টি হচ্ছে অশান্তি অস্থিরতা টেনশন। এ-ছাড়াও আছে একাকিত্ববোধ ও বিষণ্নতা, যা আমাদেরকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে আরো স্ট্রেসের দিকে।আর এই টেনশন ও স্ট্রেস আমাদের মধ্যে ক্রমাগত জন্ম দিচ্ছে ‘ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স’। সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সবসময় উদ্দীপ্ত থাকছে, স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ ঘটছে। ফলে হৃৎপিন্ডের করোনারি ধমনী সংকুচিত হচ্ছে এবং সেখানে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।আবার সঠিক জীবনদৃষ্টির অভাবে আমরা শারীরিক পরিশ্রমহীনতা ও  আরাম-আয়েশকে প্রাধান্য দিচ্ছি। সেইসাথে ফাস্ট ফুডসহ অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত খাবারের কারণে শরীরে মেদ জমছে, বাড়ছে কোলেস্টেরলের মাত্রা। এই বাড়তি চর্বি একসময় করোনারি ধমনীতে ব্লকেজ তৈরি করছে। দেখা দিচ্ছে হৃদরোগ। শুরু থেকেই চিকিৎসকদের বিশ্বাস ছিল, ধমনী একবার ব্লক হতে শুরু করলে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ, এনজিওপ্লাস্টি কিংবা বাইপাস সার্জারি ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই।

চিকিৎসকদের এ রক্ষণশীল চিন্তার বাইরে এসে ১৯৪০-৫০ দশকে এ বিষয়ে প্রথম গবেষণা শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কার্ডিওলজিস্ট ডা. লেস্টার মরিসন এবং ডা. জন ডব্লিউ গফম্যান। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে এবং ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তারা অসাধারণ ফল পান। এরপর ১৯৬০-৭০ দশকে আরেকজন মার্কিন পুষ্টিবিদ ও দীর্ঘায়ু-গবেষক নাথান প্রিটিকিন হৃদরোগীদের নিয়ে একই ধরনের গবেষণা করেন।তিনি তার পরামর্শপ্রার্থীদের তেল ছাড়া নিরামিষ খাবার, পর্যাপ্ত ফল, সালাদ, শাকসবজি, ডাল, মটরশুঁটি, পূর্ণ শস্যদানা জাতীয় খাবার খেতে উদ্বুদ্ধ করেন। সেইসাথে গুরুত্ব দেন ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে। তিনিও অসাধারণ ফল পান।গত শতাব্দীর ৮০ ও ৯০-এর দশকে হৃদরোগ চিকিৎসা-গবেষণায় এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারি ছাড়াই শুধু জীবনদৃষ্টি ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্লকেজ কমাতে এমনকি ধমনীকে পূর্বাবস্থায় (ব্লকেজমুক্ত) ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন প্রখ্যাত চিকিৎসক- ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ডিন অরনিশ এবং ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের সার্জন ডা. কাল্ডওয়েল বি এসেলস্টাইন। তবে ডা. ডিন অরনিশের গবেষণাটি ছিল বিশদ, বহুমুখী এবং পূর্ণাঙ্গ।
লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই থেকে নেয়া।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।