• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:১৯

ক্যান্সার শনাক্ত এবং চিকিৎসায় নয়া প্রযুক্তি

দেশকন্ঠ ডেস্ক : ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি সিডনির (ইউটিএস)একদল গবেষক একটি নতুন ডিভাইস তৈরি করেছেন যা রক্তের নমুনা থেকে ক্যান্সার কোষ শনাক্ত এবং বিশ্লেষণ করতে পারে। এই প্রযুক্তি ডাক্তারদের আক্রমণাত্মক বায়োপসি সার্জারি এড়াতে এবং চিকিৎসার অগ্রগতি নিরীক্ষণ করতে সক্ষম করে।ক্যান্সার অসুস্থতায় অস্ট্রেলিয়ায় মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ। প্রতি বছর দেড় লাখেরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান মরণব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যাদের ক্যান্সারের সন্দেহ রয়েছে, বিশেষ করে লিভার, কোলন বা কিডনির মতো অঙ্গে, তাদের রোগ নির্ণয়ের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।ইউটিএস স্কুল অফ বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক মজিদ ওয়ারকিয়ানি বলেন, বায়োপসি করতে গেলে রোগীরা অস্বস্তি বোধ করেন। সেইসাথে অস্ত্রোপচার এবং মোটা অংকের খরচের কারণে জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। তবে যথাযথ চিকিৎসার জন্য সঠিক ক্যান্সার নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ।অধ্যাপক মজিদ বলেন, ‘রক্তের নমুনায় টিউমার কোষের মূল্যায়নের মাধ্যমে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিস্যু বায়োপসি করার চেয়ে এই প্রযুক্তি অনেক কম আক্রমণাত্মক। এটি ডাক্তারদের বার বার পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার প্রতি রোগীর প্রতিক্রিয়া জানা যায়।’
 
স্ট্যাটিক ড্রপলেট মাইক্রোফ্লুইডিক ডিভাইসটি দ্রুত সঞ্চালিত টিউমার কোষ শনাক্ত করতে সক্ষম। এটা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়া টিউমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে। ডিভাইসটি সাধারণ রক্তের কোষ থেকে টিউমার কোষকে আলাদা করতে ক্যান্সারের একটি বিপাকীয় স্বাক্ষর ব্যবহার করে।অধ্যাপক মজিদ সোমবার এক বিবৃতিতে জানান ‘১৯২০ এর দশকে অটো ওয়ারবার্গ আবিষ্কার করেছিলেন যে, ক্যান্সার কোষগুলো প্রচুর গ্লু­ুকোজ গ্রহণ করে এবং এরফলে আরও ল্যাকটেট উৎপাদন করে। আমাদের ডিভাইস পিএইচ সংবেদনশীল ফ্লুরোসেন্ট রঞ্জক ব্যবহার করে বর্ধিত ল্যাকটেটের জন্য একক কোষ নিরীক্ষণ করে যা কোষের চারপাশে অ্যাসিডিফিকেশন শনাক্ত করে।’‘মাত্র এক মিলিলিটার রক্তে কোটি কোটি রক্ত কোষের মধ্যে একটি একক টিউমার কোষ থাকতে পারে। এটি খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। নতুন শনাক্ত করণ প্রযুক্তিতে ৩৮,৪০০টি চেম্বার রয়েছে যা বিপাকীয়ভাবে সক্রিয় টিউমার কোষের সংখ্যা বিচ্ছিন্ন এবং শ্রেণীবদ্ধ করতে সক্ষম,’ তিনি বলেছেন।
 
একবার টিউমার কোষগুলোকে ডিভাইসের সাথে শনাক্ত করা হলে তারা জেনেটিক এবং আণবিক বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। যা ক্যান্সার নির্ণয় এবং শ্রেণী বিন্যাসে সহায়তা করতে এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসার পরিকল্পনাগুলো জানাতে পারে।সঞ্চালনকারী টিউমার কোষগুলোও মেটাস্টেসিসের অগ্রদূত-যেখানে ক্যান্সার দূরবর্তী অঙ্গগুলোতে স্থানান্তরিত হয় - যা ক্যান্সার-সম্পর্কিত মৃত্যুর কারণ ৯০ শতাংশ। এই কোষগুলো  ক্যান্সার মেটাস্ট্যাসিসের জীব বিজ্ঞানের অন্তর্দৃষ্টি     প্রদান করতে পারে। যা নতুন চিকিৎসার বিকাশকে জানাতে পারে।বিদ্যমান তরল বায়োপসি প্রযুক্তিগুলো সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং দক্ষ অপারেটরদের উপর নির্ভর করে। ক্লিনিকাল সেটিংসে তাদের প্রয়োগও সীমিত করে।এই নতুন প্রযুক্তিটি উচ্চ-সম্পদ সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষিত অপারেটরদের উপর নির্ভর না করে গবেষণা এবং ক্লিনিকাল ল্যাবগুলোতে একীভূতকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ডাক্তারদের একটি ব্যবহারিক এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে ক্যান্সার রোগ নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম করবে।
দেশকন্ঠ/এআর 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।