• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩৬
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে

জয়ে শুরুর প্রত্যাশা বাংলাদেশের

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : মাঠের বাইরের নানা ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে আজকে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। সাকিব-তামিম দ্বন্ধের পর ম্যাচের টিকিটে ভুল পতাকা দিয়ে আবারো সমালোচনার মুখে পড়েছে স্বাগতিকরা। এর বাইরে ডিআরএসও ছিল আলোচনায়। এছাড়া কোচ হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রথম সিরিজ বলে কথা। একটা সিরিজের আগে এত ধরনের আলোচনা খুব কমই হয়েছে। এতকিছুর পরও জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। ১ মার্চ ১২টায় মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় আসার পরই অনুশীলন নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন হাথুরুসিংহে। মূল ম্যাচে টাইগাদের পরিকল্পনা কিরকম হবে তার ধারণা দিতে তিনি ২৮ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে আসেন। জানিয়েছেন, এবারের সিরিজে টাইগাররা কেমন ক্রিকেট খেলবে সে বিষয়ে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে তিনি শিষ্যদের কাছ থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট প্রত্যাশা করেছেন। 
 
রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা আগে থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে অভ্যস্ত উল্লেখ করে হাথুরু বলছেন, ‘আমি শেষবার যখন এখানে ছিলাম তখনও বাংলাদেশ দল আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে। আমি এটা বিশ্বাস করি না যে, ছেলেরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে না। আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলি, আপনি শুধু ব্যাটারদের দিয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটকে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন না।’ কেবল ব্যাট-বলেই নয়, ফিল্ডিংয়েও আক্রমণাত্মক থাকার কথা বলছেন এই লঙ্কান কোচ, ‘আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সেট করাও এর একটা অংশ। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার অনেক উপায় আছে। শুধু মাঠের বাইরে বল পাঠানোই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট নয়। খেলোয়াড়দের মাঝে এই মনোভাবটাও আনার চেষ্টা করছি। সেটি হোক ফিল্ডিং, বোলিং কিংবা ব্যাটিংয়েও। এই পরিকল্পনাতেই সামনে এগোতে চাই।’ এদিকে লিটনের সঙ্গেও বিশেষভাবে মাঠে হাথুরুর কাজ করতে দেখা যায়। তাকে নিয়ে বিশেষ কোন কাজ করছিলেন কি-না তার জবাবে হাথুরু শুধু আলোচনার কথা বলেছেন। 
 
এদিকে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জের মঞ্চে জশ বাটলারের ইংল্যান্ড। সিরিজটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন ইংলিশ অধিনায়ক। আর এই চ্যালেঞ্জকে তিনি নিচ্ছেন অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় একদিবসীয় বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে। বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার পর টেস্ট ব্যাটিংয়ে ওয়ানডের বিপ্লব ঘটিয়েছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডের চ্যাম্পিয়ন তারা। টি-টোয়েন্টির মুকুটও জিতেছে গত বছর। সব মিলিয়ে একদার একঘেয়ে ইংল্যান্ড বর্তমানে সবচেয়ে আকর্ষক দল। সাদা বলের সাম্রাজ্য তাদের। তবু মার্চে তিনটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে হবে বাংলাদেশে, এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার। আর এই চ্যালেঞ্জকে তিনি নিচ্ছেন অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় একদিবসীয় বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে। জস বাটলার জানেন, ‘এখানে ধীর আর নিচু বাউন্সের উইকেট হবে বলে মনে করছি। এই কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন হবে।’ কঠিন পরিস্থিতির পূর্বাভাস জেনে ঘাবড়ে যাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু উল্টো খুশি বাটলার, ‘সত্যি বলতে, আমরা এমনটাই চাই। এমন কঠিন কন্ডিশনে খেলার চ্যালেঞ্জ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হওয়ার সুযোগও।’ 
 
জস বাটলারের সেই ‘ভবিষ্যৎ’ মানে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, যেটি অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। ‘অবশ্যই বাংলাদেশকে তাদের ঘরের মাঠে হারানো কঠিন। ভারতেও একই রকম। তাই বিশ্বকাপের আগে এমন একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া দরকার। এতে বুঝতে পারব, অনভ্যস্ত কন্ডিশনে আমরা দল হিসেবে কতটা ভালো। ভারতের কন্ডিশনের খুব কাছাকাছি এখানকার কন্ডিশন। সেপ্টেম্বরের আগে আমাদের আর কোনো ওয়ানডে নেই। তাই এই সিরিজটা আমাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জের হবে।’ ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পরই খোলনলচে বদলে যায় ইংলিশ ক্রিকেটের। অস্ট্রেলিয়া নয়, আগ্রাসী ক্রিকেটের প্রতিচ্ছবি এখন ইংল্যান্ড। এমন আগ্রাসন বৈশ্বিক ক্রিকেট আগে কখনো দেখেনি, বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে। সাদা বলের দর্শনেও পরিবর্তনের ছবি তুলে ধরেছেন জস বাটলার, ‘সব সময়ই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করি। অনেকে ভাবে আমরা বুঝি প্রতি ম্যাচেই চার শ লক্ষ্য নিয়ে নামি। আমাদের লক্ষ্য থাকে নির্দিষ্ট দিনে সর্বোচ্চ রানটা করতে। কোনো উইকেটে যদি ১০০ রান থাকে, তবে আমরা সেটাই করার চেষ্টা করব, ৮০ রান নয়।’ বাটলারের টি-টোয়েন্টি ভাবনাতেও পরিবর্তন এসেছে। 
 
যেমন, আগে তিনি রান তাড়ায় ওভারপিছু কত রান দরকার—সেই অঙ্ক করতেন। কিন্তু সেটি বদলে দিয়েছেন এক ক্যারিবীয়, ‘একবার ড্যারেন ব্রাভো বলেছিল যে, টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করতে নামার সময় ওরা হিসাব করে ঠিক কয়টা ছক্কা মারা লাগবে। আমি এভাবে কখনো ভাবিনি, সব সময় ওভারপ্রতি রানে চোখ রাখতাম। মনে আছে, ড্যারেন বার্তা পাঠাচ্ছে যে, ইনিংসের শেষ ছয়-সাত ওভারে পাঁচটা ছক্কা মারলেই জয় নিশ্চিত।’ ‘বাটলার কম্পানি’ ছক্কা মারতে চাইবে বাংলাদেশেও! দুশ্চিন্তা যা নিয়ে সেই গ্রুপিং হাথুরুকে দিয়ে থামাবেন বিসিবি সভাপতি। দেশের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরেই বলাবলি হচ্ছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে ’গ্রুপিং’ চলছে! অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়ায় এই কথাটি বলাবলি হচ্ছে। বরাবরই ক্রিকেটাররা বা বিসিবি থেকে যেটি নাকচ করা হয়েছে। তবে এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে ’গ্রুপিং’ নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যদিও পরে নিজে দেখেননি সাকিব-তামিমের গ্রুপিং শুনেছেন বলে ইউটার্ন নিয়েছেন তিনি।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।