• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪২

জিতলেই সিরিজে বাংলাদেশের

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন :  ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও এবার আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারতে চাইছেনা বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। ১২ মার্চ দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প নেই ইংলিশদের সামনে, অন্ততপক্ষে সিরিজে ফিরতে হলে। বলা যায় পয়া ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর স্টেডিয়াম থেকে ওয়ডানডের পর টি-টোয়েন্টি জয়ের আত্ববিশ্বাস নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল। 
 
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারে বাংলাদেশ, ওয়ানডে সিরিজ শেষেও এই কথা বললে কি কারও বিশ্বাস হতো? উত্তরটা আসত সম্ভবত না। একটি জয় যেন পুরো আলোচনাই বদলে দিয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কথাও ভাবছে বাংলাদেশ। শক্তি-সামর্থ্যে ইংল্যান্ড কতটা শক্তিশালী, সিরিজে ফিরে আসার সামর্থ্য তাদের কতটা আছে, তা নতুন করে আর না বললেও চলছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে জেতার পর বাংলাদেশরই বা এই সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু? 
 
সেখানে অতীত পরিসংখ্যানই বা কী বলছে? বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে ২০০৬ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে দুই কিংবা ততোধিক ম্যাচের সিরিজ খেলতে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও প্রায় ৬ বছর। ২০১২ সালে প্রথমবার দুই কিংবা ততোধিক ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংল্যান্ড সিরিজের আগপর্যন্ত বাংলাদেশ দুই বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজ খেলেছে ২৬টি। সেখানে সিরিজে প্রথম ম্যাচে জয় এসেছে এমন সিরিজের সংখ্যা ১০টি। এই ১০টিতে সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে তাকানো যাক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালের সেই সিরিজে প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ফিফটি আর ইলিয়াস সানির ৫ উইকেটে ৭১ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এরপর সিরিজে দুই ম্যাচে আইরিশরা লড়াই করলেও জিতেছিল বাংলাদেশই। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ১ রানে আর তৃতীয় ম্যাচে জয় ইনিংসের শেষ বলে ২ উইকেট হাতে রেখে। 
 
এরপর বাংলাদেশ ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবালের ৬৯ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১ উইকেটে হারায় নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েও টানা দুটি সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ। এই দুই সিরিজই বাংলাদেশ খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে হওয়া দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ ব্যবধানে ড্র করার পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে হওয়া ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও শেষ হয় ২-২ সমতায়। ৪ ম্যাচের এই সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। লাল সবুজ দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে স্বাগতিকদের হারায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে ব্যাটিং ধসের জন্য সিরিজ খোঁয়ায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এরপর ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ২৩ রানে। 
তাতে অবশ্য ভারত সিরিজের পুনরাবৃত্তি জিম্বাবুয়ে সিরিজে আর হয়নি। সেই সিরিজের সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশ জেতে ৫ উইকেটে। একই বছর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে আতিথ্য দেয় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ও নিউজিল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই সিরিজ জেতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আর কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪ ম্যাচ। এরপর মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের পরীক্ষা দিয়েছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে প্রথম ম্যাচে পাওয়া জয়কে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬১ রানে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে ৮ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের আগে আরব-আমিরাতের সঙ্গে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। আইসিসির সহযোগী এ দেশটিকে ২-০ ব্যবধানে হারাতে বেশি বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশকে। সব মিলিয়ে এই ১০টি সিরিজের মধ্যে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৫টিতে। হেরেছে ১টি। বাকি ৪ সিরিজের ফলাফল ড্র। ড্র হওয়া সিরিজগুলোর মধ্যে ৩টি সিরিজ ছিল ২ ম্যাচের আর একটি ৪ ম্যাচে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ ৩ ম্যাচের। 
 
এবার প্রথম ম্যাচে জিতে এগিয়ে যাওয়া সিরিজগুলোর পরিসংখ্যান বাংলাদেশের পক্ষে গেলেও এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই। আর ক্রিকেটে পরিসংখ্যানের প্রভাব তো ম্যাচে প্রথম বল গড়ানোর আগ পর্যন্ত! এদিকে প্রথম ম্যাচ খেলে ঢাকায় ফিরে খুব বেশি অনুশীলন করেনি দু’দল। হারলেও বেশি নির্ভার থেকেছে সফরকারীরা। ব্যাটাররা ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে দল জিতিয়েছেন, সবাই কমবেশি অবদান রেখেছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন। ৮ বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার আর অভিষেক হওয়া তৌহিদ হৃদয়ও স্বচ্ছন্দ্য ও সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। ব্যাট হাতে শেষটা করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। ব্যাটারদের এই গোছানো পারফরম্যান্সে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের বোলিংটা খানিক ঢাকা পড়েছে। কিন্তু হাসান ডেথ ওভারে চমৎকার দুটি ওভার না করলে (দুই ওভারে ১ আর ৪ রান) আর জস বাটলার ও সাম কারানকে আউট করতে না পারলে ইংলিশদের সংপ্রহটা বড় হতো নিঃসন্দেহে। এ তরুণ এমনিতেই একটু চুপচপ থাকেন। মিডিয়ায় আসেন কম। 
তাই তার কথা ভক্ত ও সমর্থকদের শোনার সুযোগও হয় কম। শেষ ওয়ানডেতে ৫০ রানের স্বস্তির ও কৃতিত্বপূর্ণ জয়ের পর বৃহস্পতিবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ জয় পেয়েছে টিম বাংলাদেশ। ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করে টিম বাংলাদেশ। এদিকে মিরপুরে ২০০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশের ম্যাচ। এছাড়া গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড- ১৫০০ টাকা, ভিআইপি স্ট্যান্ড- ১০০০ টাকা, ক্লাব হাউজ- ৫০০ টাকা, নর্থ/সাউথ স্ট্যান্ড- ৩০০ টাকা, ইস্টার্ন স্ট্যান্ড- ২০০ টাকা রাখা হয়েছে। মিরপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বেলা তিনটায়।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।