• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৮
টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

রইল বাকি দক্ষিণ আফ্রিকা

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চক্র পূরণ হয়েছে আরও আগেই। এবার অপেক্ষা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের। বাকি দুই দলের মধ্যে গত পরশু ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সংখ্যাটা একে নামিয়ে এনেছে সাকিব আল হাসানের দল। এবার বাকি রইল কেবল দক্ষিন আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের হারাতে পারলেই চক্র পূরণ হয়ে যাবে। এদিকে পয়া ভেন্যু হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে জয়ের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আগামীকাল সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে সিরিজ হারলেও সেই কষ্টটা কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে মেটাতে চায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল। অনেক বছর থেকেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বাংলাদেশের জন্য অনেকটা গোলক ধাঁধার মতো। এই ফরম্যাটটায় এতদিনেও মানিয়ে উঠতে পারেনি টাইগাররা। তবে গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অনেকটা পালাবদলের মধ্যে গেছে বাংলাদেশ দল। তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে এই ফরম্যাটে দল সাজানো হয়েছে নতুনভাবে। প্রথম পরীক্ষায় সেই দলটা উতরে গেল দারুণভাবে। টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে বৃহস্পতিবার হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। 
 
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে টাইগাররা তুলে নিয়েছে ৬ উইকেটের দাপুটে জয়। ব্যাটিং কিংবা বোলিং, কোনো বিভাগেই দাঁড়াতেই পারেনি ইংলিশরা। গত বছর টি-টোয়েন্টিতে শিরোপা জয়ের পর এই প্রথম এই ফরম্যাটে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত আসরটির পর বাংলাদেশও এই প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিল। যেখানে শেষ হাসি বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই প্রথম জয় বাংলাদেশের। এই ফরম্যাটে মুখোমুখি লড়াইয়ে এখন সমানে সমান দুই দল। দুইবারের দেখায় একটি করে জয় বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের। এ ম্যাচে যেভাবে খেলেছে বাংলাদেশ, তাতে মনেই হয়নি নিজেদের সবচেয়ে দুর্বল ফরম্যাটে খেলছে তারা। বিশেষ করে এতদিন ব্যাটিংয়ের জন্যই টাইগারদের ভুগতে হয়েছে বেশি। এদিন সেই ব্যাটিং বিভাগ ইংলিশ বোলিংয়ের বিপক্ষে ছিল দুর্দান্ত। চট্টগ্রামে ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক মুহূর্তের জন্যও দলের ওপর চাপ জেঁকে বসতে দেননি নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়রা। শান্ত ৩০ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরা। তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৪ রান। 
 
এছাড়া দুই উদ্বোধনী ব্যাটার লিটন দাস ও রনি তালুকদার ইতিবাচক শুরু এনে দিয়েছিলেন দলকে। রনি ১৪ বলে ২১ ও লিটন ১০ বলে ১২ রান করেন। সাকিব আল হাসান তুলির শেষ আঁচড় দিয়ে নিশ্চিত করেছেন দলের জয়। ২৪ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সাকিব। এর আগে জস বাটলার ও ফিল সল্টের ব্যাটে দারুণ শুরু পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে টাইগাররা যেভাবে খেলায় ফিরে আসে সেটা ছিল ম্যাচের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিষয়। ম্যাচ শেষে পুরস্কার মঞ্চে সাকিব বললেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া ২০২৪ বিশ্বকাপের জন্য ভালো দল তৈরির ক্ষেত্রে এটি দারুণ শুরু।’ যখন বিশ্বকাপ শুরু হবে, ততদিনে নিজেরা ভালো দল হিসেবে তৈরি হয়ে যাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তাই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার শুরুই হলো বলা চলে। এখন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেই হলো। এই ম্যাচ জয় দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ ৫০টি ম্যাচ জয় করেছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ১৪৫টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে হেরেছে ৯২টি। পরিত্যক্ত হয়েছে ৩টি। 
 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয় করেছে বাংলাদেশ (১২টি)। সবচেয়ে বেশি হেরেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে (১৩টি)। ওয়ানডেতে প্রথম জয় পেতে ২৩ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। টেস্টে অপেক্ষাটা ছিল ৩৫ ম্যাচ পর্যন্ত। তবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে কোনো অপেক্ষাই করতে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৭ বছরের টি-টোয়েন্টি পথচলায় নিজেদের ১৪৫তম ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে একটি মাইলফলকও স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ দল, নিজেদের ইতিহাসে টি-টোয়েন্টিতে এসেছে ৫০তম জয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টি প্রথম, যেটা এসেছে দলটির বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই। জস বাটলারের দলকে হারিয়ে জয়ের চক্র পূরণের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জেতা দশম টি-টোয়েন্টি প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। আগেই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পরাশক্তিদের হারানোর স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে একটি দল এখনো বাকি আছে, দক্ষিণ আফ্রিকা। 
 
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত আটটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। জয় নেই একটিতেও। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সফলতা সর্বনিম্ন। একটিও জয় নেই হংকং আর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও। তবে দেশ দুটি আইসিসির পূর্ণ সদস্য নয়। নানা কারণে আইসিসির সহযোগী সদস্যদেশগুলোর বিপক্ষে খেলার সুযোগও মেলে কমই। এখন পর্যন্ত হংকংয়ের বিপক্ষে ১টি এবং স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় নেই বলে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, অন্তত হেরে যাওয়া ম্যাচের সংখ্যার দিক থেকে। সবচেয়ে বেশি হার পাকিস্তানের বিপক্ষে, যাদের বিপক্ষে জয় মাত্র ২টি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ম্যাচের প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তান আছে দুইয়ে। এবার নিশ্চয়ই আফ্রিকার দলটিকে পেলে জয় দিয়ে চক্রপূরণ করতে চাইবে বাংলাদেশ।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।