• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩৬

বাংলাদেশের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ যে অবস্থানে ছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজে এসে ঠিক একই অবস্থানে এবার ইংল্যান্ড। একদিবসীয় ক্রিকেটে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল হোয়াইটওয়াশ এড়াতে। তৃতীয় ম্যাচ জিতে লজ্জা থেকে বাচঁতে পেরেছিল তামিম ইকবালের দল। এবার ঠিক একই অবস্থানে রয়েছে ইংলিশরা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে এরই মধ্যে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে।
 
তৃতীয় ম্যাচটা জিততে পারলে অসাধারণ অর্জন হয়ে যাবে বাংলাদেশের। যশ বাটলারের দলকে হোয়াইটওয়াশ করার অনন্য কীর্তি অর্জন করবে লাল সবুজের দল। এমন পরিস্থিতিতে আজকে সিরিজের শেষ কুড়ি ওভারের ম্যাচে মাঠে নামছে দু’দল। সাকিব আল হাসানের দল চাইছে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটা জিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে অনেক অর্জনের সাথে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি জয়ে সাবেক দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজাকে টপকে গেলেন সাকিব। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেট হারায় সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। 
 
আর এই জয়ে মাশরাফিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠলেন সাকিব। মাশরাফির অধীনে ২৮ ম্যাচে ১০টি টি-টোয়েন্টি জয়, ১৭টি হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বাংলাদেশের। সাকিবের নেতৃত্বে ৩৩ ম্যাচে ১১ টি-টোয়েন্টি জয় ও ২২টি হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে সবচেয়ে বেশি জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। তার অধীনে ৪৩ ম্যাচে ১৬টিতে জয়, ২৬টি হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। লাকি গ্রাউন্ডে দুর্দান্ত বোলিং-ব্যাটিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরপুরকে বলা হয় তার লাকি গ্রাউন্ড। দেশের হয়ে অভিষেকেই ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই ডান হাতি অফ স্পিনার। সেটি ছিল ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, তবে ভেন্যু ছিল চট্টগ্রাম। পরের টেস্টেই ইংল্যান্ডকে হারানোর নায়ক তিনি। ম্যাচটা ছিল মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। মাঠটা লাকিগ্রাউন্ড হয়ে উঠেছে মিরাজের জন্য। টেস্টে দ্বিতীয়বার যে ম্যাচসেরা ছিলেন, ২০১৮ সালে উইন্ডিজকে হারিয়েছিলেন সেটাও এই মিরপুরে। ওয়ানডেতে ছয়বার ম্যাচসেরা হয়েছেন, তার অর্ধেকই এখানে। 
 
আর টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বার ম্যাচসেরা হলেন মিরাজ মিরপুরে। ৩৭ টেস্ট আর ৭০ ওয়ানডে খেলা হয়ে গেলেও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে জায়গা হয় না মিরাজের। টি-টোয়েন্টি একাদশে ফেরার ম্যাচটি রাঙালেন তিনি ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে। ২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত খেলেছিলেন ১৯ ম্যাচ। দেশের হয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বিশ্বকাপে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিডনিতে ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য। বিশ্বকাপে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন ওই এক ম্যাচেই। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও দুই ওভারের বেশি বোলিং পাননি। সেখানে অবশ্য পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না। তবে জায়গা নিয়মিত করতে পারেননি। এই ম্যাচের একাদশে মিরাজের জায়গা পাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা নিশ্চিতভাবেই মিরপুরের উইকেটের। সহায়ক উইকেট পেয়ে তিনি কাজে লাগান দারুণ বোলিংয়ে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনেন নবম ওভারে, দলের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে। 
 
দুই বাঁহাতি বেন ডাকেট ও মইন আলি তখন ক্রিজে। যে লক্ষ্যে মিরাজকে আনা, তা তিনি পূরণ করে দেন প্রথম ওভারেই। সুইপ খেলে মিড উইকেটে ধরা পড়েন মইন। পরে ওভারে তিনি রান দেন ৪। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে তিনি ধরেন জোড়া শিকার। দুটিই স্টাম্পিং। শুরুতে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে বিদায় করেন স্যাম কারানকে, পরে দুর্দান্ত ফ্লাইট, টার্ন ও বাউন্সের শিকার ক্রিস ওকস। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ক্রিস জর্ডানকে ফিরিয়ে পূরণ করেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অফ স্পিনে এর চেয়ে ভালো বোলিং আছে শুধু একটিই। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন।
 
বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি তে আটটি সিরিজ জয় করেছে। ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আটটি সিরিজে জয়লাভ করেছে। প্রথমটি ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে। সেবার আইরিশদের ৩-০ ব্যবধানে হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় সিরিজ ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করেছিল সাকিব বাহিনী। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ ও ২০২১ সালে। প্রথমটি দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০’তে হারায় বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয়বার ২-১ ব্যবধানে জয়। ২০২১ সালে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে অসিদের হারিয়েছিল। একই বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয়। আরব আমিরাতকে ২০২২ সালে দুই ম্যাচ সিরিজে ২-০তে জয় বাংলাদেশের। এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতোমধ্যে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়। এবার যে অর্জন রচিত হয়েছে সেটা নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে।
দেশকণ্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।