• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩০
সাকিব-হৃদয়ের ব্যাটে ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর

রেকর্ডময় ম্যাচে বড় জয় বাংলাদেশের

আরিফ সোহেল : এক ম্যাচে ৪টি অনন্য-অসাধারণ রেকর্ড; এ যেন ক্রিকেটের একটি বিরল দিন। অগ্নিঝরা মাসের ১৮ মার্চ রেকর্ডঠাসা এক বিস্ময়কর ম্যাচ দেখল বাংলাদেশ। এমন ভালো দিনের আশায় ক্রিকেটে অনেক দিনই কেটে যায়। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই তেমন এক গৌরবময় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
 
নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছিল ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান। ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। ২০১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নটিংহ্যামে ৩৩৩ রান ছিল এতদিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। জবাব দিতে নামা সফরকারীদের মাত্র ১৫৫ রানে; তাও৩০.৫ ওভারেই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। রেকর্ড রানের ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৮৩ রানের রেকর্ড জয় তুলে নিয়েছেন সাকিব-হৃদয়-মুশফিক-ইবাদত-নাসুম-তাককিনরা। এর আগে রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ১৬৯ রানের। ২০২০ সালে এই সিলেটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এসেছিল সেই জয়। 
 
বিশাল রানের বোঝা মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা মন্দ ছিল না সফরকারী আয়ারল্যান্ডের। এর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন জর্জ ডকরেল ৪৫। এছাড়া স্টিফেন ডেহেনে ৩৪ এবং পল স্টিল ২২ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে দুরন্ত বোলি করেছেন ইবাদত হোসেন ৪/৪২। এছাড়া স্পিনার নাসুম ৩/৪৩, তাসকিন ২/১৫ এবং সাকিব ১/২৩ তুলে নিয়ে সফরকারীদের বড় হারের পথ নিশ্চিত করেন। এই ম্যাচে মুশফিকুর রহীম ৬টি ক্যাচ নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। উইকেটের পেছনে এর আগে ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে মুশফিক নিয়েছিলেন ৫টি ক্যাচ। ১৮ মার্চ ৬টি গড়লেন বিশ্ব রেকর্ডও।
 
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল (৩)। আরেক ওপেনার লিটন দাস উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। দারুণ তিনটি শটও দেখা যায় তার ব্যাটে। তবে ব্যক্তিগত ২৬ রানে ক্যাম্ফারের বল বুঝতে না পেরে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত বড় স্কোর গড়তে পারেননি। ৩৪ বলে ২৫ রান করে ম্যাকব্রেইনের বলে বোল্ড হয়ে যান।
 
সাকিবের পর হৃদয়- দুজনই ৯০ রান পেরোলেও সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না। একাধিক ব্যাটসম্যান ৯০ পেরিয়েও সেঞ্চুরির দেখা পাননি, এক ম্যাচে বাংলাদেশের এমন ঘটনা এই প্রথম। অভিষেক ম্যাচে এর আগে ৫ ব্যাটার নব্বয়ের ঘরে আউট হয়েছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে তৌহিদ হৃদয়; আউট হয়েছেন ৯২ রানে। ২০০৬ সালে এউইন মরগান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন।
 
৮১ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। ৬৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। এরপর হাত খুলে মারতে থাকেন। এই ম্যাচেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ২২৭ ওয়ানডের ২১৫ ইনিংসে ৬৯৭৬ রান করেছিলেন সাকিব। ২৪ রান দূরে থেকে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামেন তিনি। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে ৭ হাজার রান পূর্ণ করেন সাকিব। এই ফরম্যাটে ৩শ উইকেটও আছে এই অলরাউন্ডারের। ২০০৬ সালের আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় সাকিবের। ইতোমধ্যে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৫২টি হাফ-সেঞ্চুরির মালিক তিনি। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান স্পর্শ করেন তামিম। ২৩৫ ম্যাচের ২৩৩ ইনিংসে ৮১৪৬ রান আছে তামিমের।
 
অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়ও ৫৫ বলে তুলে নেন ফিফটি। ৩৫তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দুইশ ছাড়ায়। সবাই যখন সাকিবের সেঞ্চুরির অপেক্ষা করছে, ঠিক তখনই ছন্দপতন। হুমের করা অফস্টাম্পের অনেক বাইরের একটা বলকে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মারতে গিয়ে মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন সাকিব। তার ৮৯ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারি।
 
এরই সঙ্গে অবসান ঘটে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার ১২৫ বলে ১৩৫ রানের চতুর্থ উইকেট জুটির। তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গী হন মুশফিক। ৬ বছর পর ছয়ে নামা মুশফিক শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। তার ২৬ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংসটি থামে ক্যাচ গ্রাহাম হুমের বলে দিয়ে। একই ওভারে পঞ্চম বলে হুম বোল্ড করে দেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাক তৌহিদ হৃদয়কে। ৮৫ বলে ৮ চার ২ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে ফিরেন অভিষিক্ত এই তরুণ। ৪৭তম ওভারে দলের স্কোর তিনশ ছাড়ায়। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।