- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি যদি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসে ওরা এবার যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিবে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর চড়াও হওয়ার জন্য। আজকে অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে। আমার প্রশ্ন ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল সমালোচকদের ভূমিকা কি ছিল, তখন কি তারা গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলেছিল? বা প্রতিবাদ করেছিল? আমি সেটা জানতে চাই। ২২ মার্চ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওসমানী হল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৪, ২৫ (পূর্ব), ২৫ (পশ্চিম), ২৬, ২৭, ৩৫, ৩৬ ও ৯৯ নং ওয়ার্ডের ইউনিটসমূহের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান সম্মেলন উদ্বোধন করেন-শেখ ফজলে শামস্ পরশ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন। শেখ ফজলে শামস্ পরশ আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আজকের কর্মীরাই আমাদের আগামীর নেতৃত্ব। কাজেই, নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন কর্মীবাহিনী আমাদের আজকের প্রত্যাশা। রাজনীতিতে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নাই। আমাদের পরিশ্রমী কর্মী দরকার। ঘুমায়ে ঘুমায়ে পদ সর্বস্ব রাজনীতির দিন শেষ। এখন জেগে উঠার সময়। জনবিচ্ছিন্ন এবং নিষ্প্রভ কর্মীবাহিনী আমাদের কাম্য না। আমাদের কাম্য সেই কর্মীবাহিনী যারা নদীর মোহনা থেকে সাগর ডেকে এনে জনসমুদ্রতে রূপান্তরিত করবে।
তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ধিক্কার জানাই বিএনপি নামক ঐ তথাকথিত বিরোধী দলকে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের সাথে আঁতাত ও আপোস করে তাদের হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অপমান করেছিল। এই তাদের আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া। বিএনপি যদি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসে ওরা এবার যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিবে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর চড়াও হওয়ার জন্য। আজকে অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে। আমার প্রশ্ন ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল সমালোচকদের ভূমিকা কি ছিল, তখন কি তারা গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলেছিল? বা প্রতিবাদ করেছিল? আমি সেটা জানতে চাই। এমনকি ২০০১ সালেও ঐ জামাত-বিএনপি সরকার যখন সেই পাকিস্তানী কায়দায় যখন আমাদের হিন্দু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে তাদেরকে উৎখাত করেছিল, তখনো কি এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকের প্রশ্ন তুলেছিলেন?
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, যুবলীগ আজ অনেক পরিশুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সম্মেলন করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমরা এমন নেতৃত্ব চাই, যাদের বিরুদ্ধে কোন মাদকের অভিযোগ নেই। যারা ডাক দিলে নেতা-কর্মীতে ভরে যাবে। তেমন দক্ষ নেতৃত্ব আশা করছি। তেজগাঁও অঞ্চল আওয়ামী লীগের দুর্গ। বিএনপির ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘নির্বাচনে যাবেন না, আবার নির্বাচন করতেও দিবেন না।’ তাহলে কিভাবে ক্ষমতায় যেতে চান? আপনারা কি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চান? এ ধরণের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। সংবিধান মানবেন না, জনগণ মানবেন না, এভাবে আজগুবি কথা বলবেন না।
তিনি আরও বলেন, এই দেশকে আলোকিত রাখতে হলে, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। এদেশের জনগণ আর কোন দিন ভুল করবে না। তারা আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে জয় যুক্ত করবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘যদি আফ্রিকাকে উন্নত করতে চাও তাহলে বাংলাদেশকে অনুসরণ করো, শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করো।’ এটাই জননেত্রী শেখ হাসিনা, তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি সারা বিশ্বের নেতা।যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ছিল বিএনপির সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। তারা আমাদের যুবলীগের অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। যারা শীর্ষ সন্ত্রাসী লালন করে, যারা মানুষের ওপর জুলুম করে, সেই সন্ত্রাসীদের মুখে এখন মানবতার কথা শোনা যায়। এটা হাস্যকর ব্যাপার। মানবতা যদি থেকে থাকে সেটা আওয়ামী লীগের আছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার আছে।
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন, যারা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, দেশের মানুষকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে সেই জামাত-বিএনপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তারা যদি আন্দোলন সংগ্রামের নামে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন আর জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা