• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
    ৩০ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:১৭

নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব

  • জাতীয়       
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ১৪-১১-২০২৪, ১৬:৩১:৫৮

পথরেখা অনলাইন : দুই দশক আগে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনের কাজে গঠিত হয় বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তবে কিছুদিনের মধ্যেই র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠতে থাকে। মানবাধিকারকর্মী ও সমালোচকরাও এ বাহিনীকে ‘সরকারি ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবেও অভিহিত করেন। সর্বশেষ ২০২১ সালে বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ১৫ বছরে বিশেষায়িত এ বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সরকারের সমালোচকদের গুম এবং তাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ঘরে ঘরে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এত কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে বছরের পর বছর ধরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন র‌্যাব সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিল।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ দাবি আরো জোরালো হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে র‌্যাব তাদের নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে এবং বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নতুন আইনের খসড়া তৈরি করছে। বর্তমানে এ বাহিনীর জন্য আলাদা কোনো আইন নেই। এটি পরিচালিত হয় পুলিশ অধ্যাদেশ অনুসারে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, র‌্যাব বিলুপ্ত করা উচিত। কারণ এনকাউন্টার বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রয়োজন নেই। পুলিশের তিন থেকে চারটি বিভাগ আছে রয়েছে, শান্তি বজায় রাখতে তারা যথেষ্ট।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুমের ঘটনা তদন্তে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, নূর খান লিটন তার একজন সদস্য। তিনি বলেন, র‌্যাবের কর্মকাণ্ড কল্পনারও বাইরে। নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনার পর তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি থাকা উচিত নয়।

জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে এ বাহিনীর ১৫টি ব্যাটালিয়ন আছে, যা একজন মহাপরিচালকের অধীনে পরিচালিত হয়, যিনি অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, আমরা এ বাহিনীর নাম, নিয়ম ও পোশাক পরিবর্তনসহ সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছি। এরই মধ্যে বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তনের একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বাহিনীর জন্য নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে, যা খসড়া পর্যায়ে রয়েছে।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।