• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৫

রোজায় ব্লাড সুগার পরীক্ষা করবেন কখন?

দেশকন্ঠ ডেস্ক : ডায়াবেটিক রোগীর সুস্থতার চাবিকাঠি হলো নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, সময়মত ওষুধ সেবন এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন। লক্ষ্য একটাই- যাতে রক্তের শর্করা থাকে নিরাপদ মাত্রায়।এজন্য ডায়াবেটিস হলে নিয়মিত ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী খাবার ও ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। রোজার মাসে যেহেতু আমাদের খাদ্যগ্রহণের সময় ও খাবারের ধরণ পাল্টে যায়, এসময় ডায়াবেটিক অনেক রোগীরা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়েন তাদের ব্লাড সুগার পরীক্ষা নিয়ে। এটি সবাই জানেন, রক্ত পরীক্ষায় রোজা ভেঙে যায় না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পরীক্ষা কখন করবেন এবং পরীক্ষায় শর্করার মাত্রা কেমন আসা উচিত?  

রমজানে খাবার খাওয়ার সময় পরিবর্তিত হয়। পরিবর্তিত হয় ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণের সময় ও মাত্রা। আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যতালিকা এবং ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে নেয়া উচিত। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনবারের ওষুধ এক বা দুবারে পরিবর্তন করে নিন। এরপর কয়েকটি রোজা পার হয়ে গেলে ব্লাড সুগার টেস্ট করে ওষুধের ডোজ ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। রোজার সময় কয়েকবার করে রক্তের শর্করা মেপে দেখা দরকার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে সেহরির দুই ঘণ্টা পর এবং ইফতারের এক ঘণ্টা আগে। এছাড়াও অন্য সময় প্রয়োজনবোধে পরীক্ষা করা যেতে পারে।ডায়াবেটিক রোগীদের ব্লাড সুগার অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া (হাইপারগ্লাইসেমিয়া) এবং কমে যাওয়া (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) দুটোরই ঝুঁকি থাকে যা রোজা অবস্থায় আরো বেশি। তাই অসুস্থ বোধ করলে সাথে সাথে ব্লাড সুগার মাপুন।

যেকোনো সময় রক্তে শর্করার মাত্রা ৩.৩ মিলিমোল/লিটার (৬০ মি.গ্রা/ডে.লি) এর কম হলে তা আশংকাজনক। আর সেহরীর পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই মাত্রা ৩.৯ মিলিমোল/লিটার (৭০ মি.গ্রা/ডে.লি) এর কম হলেই তা হাইপোগ্লাইসেমিয়া নির্দেশ করে। অন্যদিকে রক্তের শর্করা ১৬.৭ মিলিমোল/লিটার (৩০০ মি.গ্রা/ডে.লি) এর বেশি হওয়ার অর্থ হাইপারগ্লাইসেমিয়া। হাইপো বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া যাই হোক না কেন এক্ষেত্রে রোজা রাখা নিরাপদ হবে না।আসলে ডায়াবেটিস স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো বাধা নয়। শুধু প্রয়োজন বাড়তি সাবধানতা। রোজার সময় রক্তের সুগার পরীক্ষা সেই সাবধানতারই অংশ মাত্র।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।