• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:২৫

ভালো প্রশিক্ষণ দিতে পারলে বাইরেও কাজের সুযোগ পাবেন নার্সরা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যসেবায় নারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা দেন আর বাকি সেবা নার্সরাই দিয়ে থাকেন। তিনি নার্সিং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিদেশে গিয়েও কাজ করার সুযোগ রয়েছে তাদের। তাদের যদি আমরা ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারি তাহলেই তারা দেশের বাইরে গিয়েও কাজের সুযোগ পাবেন। ৩১ মার্চ শুক্রবার রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের অধীনে নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনার কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশে নার্সিং শিক্ষার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার আসন রয়েছে এবং সাড়ে তিনশোর বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করে এতে। বাংলাদেশে নার্সের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৪৫ হাজার নার্স কর্মরত আছেন।

বর্তমানে যে নার্সের সংখ্যা তার দ্বিগুণেরও বেশি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন চিকিৎসক থাকলে তিনজন নার্স প্রয়োজন। গত ১০ বছরে প্রায় ৩৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেবার মান বাড়াতে হলে নার্সের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। করোনায় নার্সদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময় অনেকে সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুও হয়েছে। এরপরও তারা সেবা দিয়ে গেছেন।চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুপুর ২টার পরে কোনো চিকিৎসক থাকেন না কিন্তু রোগী তখনও থাকে। জাহিদ মালেক আরও বলেন ‘সেকারণে হাসপাতালগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক চেম্বার কার্যক্রম শুরু করেছি। একজন চিকিৎসক বাইরে যে সময় দেন, সেটাই এখানে দেবেন। এতে করে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকে, তারাও সেবা নিতে পারবে।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ও বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধিভুক্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্নকারীদের ২৭তম কম্প্রিহেন্সিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষা ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে অংশগ্রহণ করেছে ৩টি কোর্সের ১১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী। নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, এনডিসি মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ।
দেশকন্ঠ /এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।