• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৪৮

অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করে আলো ছড়ালেন টাকার

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ফল অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে যোজন যোজন দুরত্বে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। বুধবার ২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যেখানে ধুকছিল সফরকারীরা। ইনিংস ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ- এমনটাই ধারণা ছিল। কিন্তু ক্রিকেটের পরতে পরতে যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করে তা প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল। নবীন আইরিশরা ইনিংস ব্যবধানে তো হারেইনি, উল্টো লিড নিয়ে টেস্ট নিয়ে গেছে চতুর্থদিনে। তৃতীয় দিন ৬ এপ্রিল উইকেট ব্যাটিং সহায়ক বাংলাদেশি বোলারদের বেশ ভোগাচ্ছেন আইরিশ ব্যাটাররা। অভিসিক্ত টাকারের সেঞ্চুরিতে উল্টে লিড নিয়েছে সফরকারীরা। 
 
তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশ ব্যাটাররা। ৫ এপ্রিল ১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে দলকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুললেন লরকান টাকার। অভিষেক ম্যাচটা রাঙালেন শতরানে (১০৮)। ফিফটি পূর্ণ করেছেন হ্যারি ট্যাক্টর (৫৬)। এছাড়া ব্যক্তিগত ৭১ রানে অপরাজিত আছেন ম্যাকব্রেইন। তাদের লড়াকু ব্যাটে ভর করে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে আইরিশদের সংগ্রহ ২৮৬ রান। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩১ রান। 
 
আগের দিন শেষ বেলায় ১৭ ওভার বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন ৯০ ওভার বোলিং করে স্বাগতিকরা নিতে পেরেছে কেবল কেবল ৪ উইকেট! আগের দিন ২ উইকেট নেওয়া তাইজুল এদিন শিকার করেন আরও ২টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পান যথাক্রমে এবাদত ও শরিফুল। ট্যাক্টর হাফ সেঞ্চুরি করে ফিরলেও আরেক প্রান্তে অবিচল আছেন টাকার। এই মিডল অর্ডার ব্যাটারও ব্যাক্তিগত হাঁফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে অ্যান্ডু ম্যাকব্রাইনকে সঙ্গে নিয়ে আবারও বড় জুটির গড়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এদিকে অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকানো টাকারকে অবশেষে ফেরালেন এবাদত হোসেন। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি, আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এমন কীর্তি দেখালেন লরকান টাকার। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। আইরিশ এই ব্যাটারের প্রতিরোধ ভাঙতে পারছিলেন না কেউই। অবশেষে স্বস্তি ফেরালেন এবাদত হোসেন। টাইগার গতিতারকার ওপর চড়াও হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিলেন টাকার। ১৬২ বলে আইরিশ এই ব্যাটার তার ১০৮ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ১৪টি বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়। লরকান টাকার আর অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের সপ্তম উইকেট জুটি ভাঙতে রীতিমত ঘামই ঝরেছে বাংলাদেশের। ১৭১ বল খেলে ১১১ রান যোগ করেন তারা।
 
অথচ জুটিটা ভাঙতে পারতো ৮৫ রানের মাথায়, আইরিশদের দলীয় সংগ্রহ তখন ২০৮। ইনিংসের ৭৮তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ পরাস্ত করেছিলেন ম্যাকব্রিনকে। ৩৪ রানে থাকা এই ব্যাটারের প্যাডে বল লাগলে আবেদনে আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু ম্যাকব্রিন সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার প্যাডে লাগার আগে হালকা করে ব্যাটে স্পর্শ করে গেছে। বেঁচে যান ম্যাকব্রিন। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলামের মায়াবী ঘূর্ণিজালে জড়িয়ে দ্বিতীয় দিন বিকেলেই ১৩ রানে ৪টি উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ১৫৫ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর কারণে আইরিশদের সামনে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কাই তৈরি হয়েছিলো সবচেয়ে বেশি। তবে এই পরিস্থিতি কিছুটা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা হ্যারি টেক্টর এবং জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮ টেস্ট খেলে আসা পিটার মুর। দিনের শুরুতে বাংলাদেশের বোলারদের চাপ সামলে ভালোভাবেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন এই দু’জন। কিন্তু তাদের ৩৮ রানের জুটিকে বেশিদূর এগুতে দেননি শরিফুল ইসলাম। পিটার মুরকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। ৭৮ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান পিটার মুর। এরপর ৭২ রানের জুটি গড়েন হ্যারি টেক্টর এবং লরকান টাকার।
 
এই ম্যাচে আউট দিলেন আম্পায়ার, তবু ভাঙলো না আইরিশদের বড় জুটি। লরকান টাকার আর অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের সপ্তম উইকেট জুটি ভাঙতে ঘাম ঝরছে বাংলাদেশের। এরই মধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন টাকার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন ম্যাকব্রিন। জুটি শতরান পেরিয়েছে। অথচ জুটিটা ভাঙতে পারতো ৮৫ রানের মাথায়, আইরিশদের দলীয় সংগ্রহ তখন ২০৮। ইনিংসের ৭৮তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ পরাস্ত করেছিলেন ম্যাকব্রিনকে। ৩৪ রানে থাকা এই ব্যাটারের প্যাডে বল লাগলে আবেদনে আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু ম্যাকব্রিন সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার প্যাডে লাগার আগে হালকা করে ব্যাটে স্পর্শ করে গেছে। ফলে জুটিটা ক্রমশও বড় হচ্ছে আইরিশদের।
দেশকণ্ঠ/রাসু
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।