• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৩

শেরপুরে চলতি বছর পূর্ব কুমরী কমিউনিটি ক্লিনিকে ৪৮টি নরমাল ডেলিভারী হয়েছে

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের পূর্বকুমরী কমিউনিটি ক্লিনিক চলতি বছর ৪৮টি গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারী করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শেরপুর সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত পূর্ব কুমরী কমিউনিটি ক্লিনিকের যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়া সত্ত্বেও ক্লিনিকটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আজ  সোমবার সকাল১০টায় ক্লিনিকেগিয়ে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইসসিপি) মো: মোজাম্মেল হক এর সাথে কথা বলে জানা যান, এ ক্লিনিক থেকে বছরে প্রায় ১২ হাজার লোক স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকে। রোগীদের মধ্যে ২৭ ধরণের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। ক্লিনিকটি জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে প্রতি মাসে ৯/১০টি গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারী করানো হয়। এটি বাজিতখিলা ইউনিয়নের এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পরিবার কল্যাণ সহকারী ছালমা খাতুন জানান, আমি প্রতি মাসে ৮-১০টি রোগীর নরমাল ডেলিভারী করছি। শুধু তাই নয় যেহেতু আমার বাড়ি ক্লিনিক সংলগ্ন, তাই ২৪ ঘন্টায় রোগীরা সেবা পেয়ে থাকে। সিএইচসিপি আরও জানান, ক্লিনিকটির সীমানা প্রাচীর না থাকার ফলে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।

পূর্বকূমরী ইউপি মেম্বার ও কমিউনিটি ক্লিনিক সভাপতি সামছুল হক জানান, আমাদের এ ক্লিনিকটি শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় অর্ধাশতাধিক রোগী সেবা নিয়ে থাকে। এর কারণ হচ্ছে এ ক্লিনিকটি পরিচালনা করার জন্য ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিউনিটি গ্রুপ একটি কমিটি রয়েছে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নিয়ে প্রতি মাসে এক বার করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মাসিক সমন্বয় সভা করে থাকি। জননেত্রী শেখ হাসিনার ১০টি উদ্যোগের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক একটি অন্যতম। আমরা শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ক্লিনিক হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছি।সুবিধাভোগী  নাইফুল খাতুন বলেন,৬ মাস আগে আমার প্রসব ব্যথা শুরু হলে তাৎক্ষণিক রাতের বেলায় আমার পরিবার এ ক্লিনিকে নিয়ে আসে এবং আমাকে পরিবার কল্যাণ সহকারী ছালমা খাতুন নরমাল ডেলিভারী করিয়ে দেয়। এতে করে আমার কোন টাকা পয়সা লাগে নাই। এ ক্লনিক চালু হওয়ার ফলে আমাদের কয়েকটি গ্রামের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হয়েছে।

পূর্বকুমরীর একজন কৃষক রাশেদ খান জানান, এ ক্লিনিক থেকে আমরা যেভাবে সেবা পাচ্ছি তাতে আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হয় না।শেরপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো: মোবারক হোসেন বলেন, শেরপুর সদর উপজেলায় ৫৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে পূর্বকুমরীর ক্লিনিকটি অন্যতম। যার ফলে এ ক্লিনিকটি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে ক্লিনিকগুলোতে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি শক্তিশালী সেখানে মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারছে। প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম একটি উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিককে আরও এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।