• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৭

নতুন অধিনায়কদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : বিশ্ব ক্রিকেটে আগে যা হয়নি এবার সেটাই ঘটতে যাচ্ছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহনকারী সকল দলে নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে মাঠে নামবে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এমন ঘটনা আগে কখনোই ঘটেনি, যা এবার ঘটতে যাচ্ছে। ট্রফি সামনে রেখে সোফায় বসে আছেন বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসিস, এউইন মরগান, সরফরাজ আহমেদ, অ্যারন ফিঞ্চ ও মাশরাফি বিন মোর্তুজা। পাশে আর পেছনে দাঁড়ানো জেসন হোল্ডার, কেন উইলিয়ামসন, দিমুথ করুনারতেœ ও গুলবাদিন নাইব। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ১০ দেশের অধিনায়কের এই ছবিটি বেশ আইকনিক। চার বছরের ব্যবধানে দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তবে ২০১৯ সালের সেই অধিনায়কদের মধ্যে কেউই এবার দলকে নেতৃত্ব দিবেন না। এমন ঘটনা ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেটি। এই সময়ে সেসব অধিনায়কদের খেলা থেকে অবসর, দলের নেতৃত্ব কাঠামোতে পরিবর্তন আনার কারণেই এমনটি ঘটেছে।
 
অধিনায়ক হিসেবে একমাত্র টিকে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। তবে আইপিএলে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ খেলাও ভেস্তে গেছে তার। নিউজিল্যান্ড এখনও অধিনায়ক নির্বাচন করেনি। তবে উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে মাঝেমধ্যেই দলকে নেতৃত্ব দেয়া টম ল্যাথামকেই দেয়া হতে পারে দায়িত্ব। আফগানিস্তানের গুলবাদিন নাইব দলে আসা যাওয়ার মধ্যে আছেন তবে বর্তমানে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসমাতউল্লাহ শাহিদি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ, অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্যাট কামিন্স। এদিকে, মাশরাফির জায়গায় বাংলাদেশের দায়িত্বে আছেন তামিম ইকবাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়া মরগানের জায়গায় এখন ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব সামলাচ্ছেন জস বাটলার। ২০২১ সালের শেষদিকেই কোহলিকে সরিয়ে ভারতের ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে।
 
আর ২০২০ সালের মে মাস থেকে সরফরাজের জায়গায় ওয়ানডে অধিনায়কত্ব করছেন বাবর আজম। দশ দলের মূল বিশ্বকাপ আসরে এবার বাছাইপর্ব খেলে আসতে হবে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। নেতৃত্বে পরিবর্তন এনেছে এই দুই দেশও। শ্রীলঙ্কায় করুনারতেœর বদলে দায়িত্বে আছেন দাসুন শানাকা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজে জেসন হোল্ডারের জায়গায় কিয়েরন পোলার্ড ও নিকোলাস পুরানের পর বর্তমানে নেতৃত্বে আছেন শাই হোপ। এদিকে, এখনও মূল পর্ব নিশ্চিত করতে না পারা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান নেতৃত্বে আছেন টেম্বা বাভুমা। সবকিছু ঠিক থাকলে ভারতে আগামী ৫ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের গত ১২ আসরে যা ঘটেনি এবার তা-ই ঘটতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপে এবারই প্রথম নেই কোনো অধিনায়ক যিনি আগের আসরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। চার বছরের ব্যবধানে বদলে গেছে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশেগুলোর অধিনায়ক। সব কিছু ঠিক থাকলে এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হতে যাওয়া আসরে দেখা যাবে না ২০১৯ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া কোনো ক্রিকেটারকে! বিশ্বমঞ্চে এমন ঘটনা এবারই প্রথম।
 
আসছে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নেওয়া নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক ভারতসহ সাতটি দেশ। ইংল্যান্ডকে ২০১৯ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক এইউন মরগান খেলে ছেড়েছেন গত বছর। তাঁর জায়গায় এবার ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন জস বাটলার। গেল আসরের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড দলের নেতৃত্বেও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা বেশ জোরালো। নিয়মিত অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ভুগছেন হাঁটুর চোটে। বিশ্বকাপের আগে তাঁর সেরে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যে কারণে উইলিয়ামসনের পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পেতে পারেন টম লাথাম। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি কিউই ক্রিকেট বোর্ড। ২০২১ সালে ভারতের ওয়ানডে ফরম্যাটের নেতৃত্ব হারান বিরাট কোহলি। এর পর থেকেই অধিনায়কত্ব করে আসা রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে নামবে স্বাগতিকরা। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে থাকবেন পেস বোলার পাট কামিন্স। ২০১৯-এ নেতৃত্ব দেওয়া অ্যারন ফিঞ্চ বিদায় বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে।
 
গেল আসরে মাশরাফি বিন মর্তুজার অধীনে বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশের দায়িত্বে এবার তামিম ইকবাল। ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি মর্তুজার। বদল এসেছে পাকিস্তানেরও। সরফরাজ আহমেদের জায়গায় নেতৃত্ব দেবেন ২০২০ সাল থেকে অধিনায়কত্ব করা বাবর আজম। নানা ঘটনা, দুর্ঘটনায় একজন একজন করে নয়জনই কাটা পড়েছিলেন আগে। বাকি ছিলেন শুধু কেইন উইলিয়ামসন। এবার বাদ পড়লেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়কও। পায়ের চোটে কয়েক মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন উইলিয়ামসন। যার অর্থ হচ্ছে, ২০১৯ বিশ্বকাপের ১০ অধিনায়কের একজনও থাকছেন না এবারের আসরে। বছরের শেষ দিকে ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন ১০ ‘নতুন’ অধিনায়ক। বিশ্বকাপের আগের সব আসরেই এমন কেউ না কেউ ছিলেন, যাঁরা আগের আসরেও অধিনায়ক ছিলেন। গতবারের মতো এবারও বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে ১০ দল। এরই মধ্যে আটটি দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এই আট দলের কারোরই গতবারের অধিনায়কেরা নেতৃত্বে নেই। যেমন করে টিভি সেটের সামনেই দর্শক হয়ে থাকতে হবে নড়াইল এক্সপ্রেসকে। সে হিসেবে নতুন ইতিহাসের দোড়গোড়ায় দাড়িয়ে বাংলাদেশ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।