• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৮

৫০-এ শচীন টেন্ডুলকারের যত বড় অর্জন

বিশেষ প্রতিবেদন : ২৪ এপ্রিল বিশ্ব ক্রিকেটে বিশেষ একটা দিল। এদিন পৃথিবীতে এসেছিলেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। এই মানুষটির জন্য দুই যুগ ধরে নিজেদের সমর্থন উজাড় করে দিয়েছে ভারত। শুধু ভারতই নয়, এই ক্রিকেট মহানায়কের সমর্থক রয়েছে পুরো বিশ্বব্যাপী। ৫০ বছরে পা রাখেলেন  তিনি। ১৯৭৩ সালের এই দিনে মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ শচীন। তবে সেই কোঁকড়ানো চুলের ছেলেটা যে 'ক্রিকেটের ঈশ্বর' হয়ে উঠবেন, তা হয়ত অনেকেই ভাবেননি। কিন্তু যেমন প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম, নাছোড়বান্দা মনোভাবে ভর করে ২৪ বছর বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করেছেন। দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পরই বিশ্বকাপে এসে খেলেছেন। পেয়েছেন অনেক প্রশংসা। ভারতের একটি পত্রিকাতে প্রকাশ হওয়া এই মহাতারকার জন্মদিনে একনজরে দেখে নিন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার তৈরি করে যাওয়া কয়েকটি রেকর্ড।
 
সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড
২৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মোট ৬৬৪ টি ম্যাচ খেলেছেন শচীন। বিশ্বের কোনো ক্রিকেটার এত সংখ্যক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। শুধুমাত্র ২০০ টি টেস্ট ম্যাচই খেলেছেন শচীন। সেই রেকর্ডও কারো নেই। সেইসঙ্গে ৪৬৩ টি একদিনের ম্যাচ এবং একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এখন যারা খেলছেন, তারা কেউ শচীনের ধারেকাছেও নেই। এখনকার ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বপ্রথম আছেন বিরাট কোহলি। তিনি ৪৯৭ টি ম্যাচে খেলেছেন।
 
একটানা আন্তর্জাতিক ম্যাচ
বিশ্ব ক্রিকেটে লাগাতার ২৩৯ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন শচীন। ১৯৯০ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ১৯৯৮ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত একটি ম্যাচেও শচিন ছাড়া মাঠে নামেনি ভারত।
 
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক রান
৬৬৪ টি ম্যাচে (৭৮২) মোট ৩৪,৩৫৭ রান করেছেন শচীন। গড় ৪৮.৫২। বল খেলেছেন ৫০,০০০-র বেশি। মোট ১০০ টি শতরান করেছেন। অর্ধশতরানের সংখ্যা ২৬৪। ৩৪ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। শচীনের পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক রানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি করেছেন ২৮,০১৮ রান। এখন যারা খেলেন, তাদের মধ্যে বিরাট সকলের ওপরে আছেন। সার্বিক তালিকায় সাত নম্বরে আছেন বিরাট (২৫,৩২২ রান)। অর্থাৎ শচীনের রেকর্ড যে বহু দশক অটুট থাকবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ক্রিকেট মহলের।
 
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক সেঞ্চুরি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে (টেস্ট, একদিনের ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) শতরানেরও 'শতরান' করেছেন শচীন। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টি সেঞ্চুরি করেছেন। যে তালিকায় দুই নম্বরে আছেন বিরাট (৭৫ টি শতরান)।
 
একদিনের ক্রিকেট এবং টেস্টে সর্বাধিক শতরান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে শতরানের তালিকায় শীর্ষে থাকার পাশাপাশি একদিনের ক্রিকেট এবং টেস্টেও সর্বাধিক সেঞ্চুরির তালিকার প্রথম নামটা হল শচীনের। ৪৬৩ টি একদিনের ম্যাচে (৪৫২) ৪৯ টি শতরান করেছেন। বিরাট কোহলি করেছেন ৪৬ টি শতরান (২৭৪ টি ম্যাচ)। টেস্টে ৫১ টি শতরান করেছেন শচীন। এখন যারা খেলেন, তাদের কেউ সেই তালিকার প্রথম দশে নেই। ১২ নম্বরে আছেন স্টিভেন স্মিথ। তার শতরানের সংখ্যা ৩০। ফলে কয়েক যুগ শচীনের রেকর্ড অক্ষুন্ন থাকবে।
 
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক অর্ধশতরান
শতরানের পর মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক অর্ধশতরানের রেকর্ডও শচীনের দখলে আছে। তিনি মোট ২৬৪ টি অর্ধশতরান করেছেন। এখনকার ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম পাঁচে একজনই আছেন, বিরাট কোহলি। তার অর্ধশতরানের সংখ্যা ২০৫।
 
এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সর্বাধিক সেঞ্চুরি
শচীনের ঝুলিতে সেই রেকর্ডও আছে। ১৯৯৮ সালে ৩৯ টি ম্যাচে ১২ টি শতরান হাঁকিয়েছিলেন শচীন। সঙ্গে আটটি অর্ধশতরান করেছিলেন। মোট করেছিলেন ২,৫৪১ রান। গড় ছিল ৬৮.৬৭। সর্বোচ্চ ১৭৭ রান করেছিলেন। ওই তালিকায় শচীনের পরে একই ক্যালেন্ডার বর্ষে ১১ টি শতরান করেছেন অনেকে, রিকি পন্টিং, বিরাট কোহলি (দু'বার- ২০১৮ সাল এবং ২০১৭ সাল)।
 
ক্যারিয়ারে সর্বাধিক ৯০-র ঘরে রান
'আনলাকি' ৯০ বলে যে বিষয়টা আছে, সেটার সবথেকে বেশি শিকার হয়েছেন শচীন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ২৮ বার ৯০-র ঘরে আউট হয়েছেন 'মাস্টার ব্লাস্টার'।
 
সর্বাধিক সিরিজ সেরার পুরস্কার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক সিরিজ সেরার পুরস্কারের তালিকায় যুগ্মভাবে শীর্ষে আছেন শচীন। মোট ২০ বার সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন (পাঁচবার টেস্টে, ১৫ বার একদিনের ক্রিকেটে)। বিরাটও ২০ বার সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন (তিনবার টেস্টে, ১০ বার একদিনের ক্রিকটে এবং সাতবার টি-টোয়েন্টিতে)। অর্থাৎ বিরাট যে শচীনকে ছুঁয়েছেন, সেটার পেছনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বড় অবদান আছে। ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ মাত্র একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
 
সর্বাধিক ম্যাচের সেরা পুরস্কার
২৪ বছরের ক্যারিয়ারে ৭৬ বার ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শচীন। তার পেছনেই আছেন বিরাট। ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট ম্যাচের সেরা পুরস্কার জিতেছেন ৬৩ বার।
 
ক্যারিয়ারে সর্বাধিক বাউন্ডারি (চার)
প্রায় ২৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে ৪,০৭৬-র বেশি চার মেরেছেন শচীন। যে তালিকায় শচীনের ধারেকাছে নেই কেউ। দ্বিতীয় স্থানে সাঙ্গাকারা আছেন। তার বাউন্ডারির সংখ্যা ৩,০১৫। বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরাটের বাউন্ডারির সংখ্যা ২,৫০৮।
দেশকণ্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।