• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৪

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ কতটা কঠিন হবে

বিশেষ প্রতিবেদন : ফিরতি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন ইংল্যান্ডের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হলেও খেলা হবে ইংল্যিান্ডে। কন্ডিশন বিবেচনায় বাংলাদেশকে পরিস্কার ফেবারিট বলা যাচ্ছেনা। যদিও শক্তির বিচারে আইরিশরা লাল সবুজ দেশের চেয়ে পিছিয়েই থাকবে। কিন্তু ইংলিশ দেশটির পরিবেশ-পরিস্থিতিই দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে তামিম ইকবালের জন্য। সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ কতটা কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য। ইংলান্ডে যাবার পর ক্লান্তি কাটাতে চেমসফোর্ডে প্রথমদিন বিশ্রামে কাটিয়েছে ক্রিকেটাররা। কোনো প্র্যাকটিস শিডিউল ছিল না। মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানিয়েছেন, ‘এখানে আসার পর প্রথম দিন কোনো প্র্যাকটিস শিডিউল ছিল না। ঢাকা-লন্ডন হয়ে চেমসফোর্ড দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের ক্লান্তি ও অবসাদ কাটাতে পুরোদিন বিশ্রামেই কেটেছে ক্রিকেটারদের। পরদিন সকাল দশটা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত অনুশীলন করে দেল। ইংলিশ কাউন্টির নামী ও ঐতিহ্যবাহী দল এসেক্সের ‘দ্যা লেসে’ প্র্যাকটিস হয়। ৪ এপ্রিলও একই শিডিউল থাকবে।’ ৫ মে একমাত্র অনুশীলন ম্যাচ তামিম বাহিনীর। খেলা হবে ফেনার্স ক্যামব্রিজ মাঠে। ৬ মে বিশ্রাম।
 
সিরিজে এরপর ৭ ও ৮ মে পরপর দু’দিন অনুশীলন করে ৯ মে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টিম বাংলাদেশ। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এবং প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সাথে বৃহস্পতিবার একই ফ্লাইটে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন। সিলেটের ক্যাম্পটি দারুণ সহায়ক হবে মনে করেছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। সদ্যই ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। তবে ইংল্যান্ডের কন্ডিশন কঠিন হবে বলে মনে করছে টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডের তুলনায় শক্তি, সামর্থ্য, অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। ইউরোপের দলটির বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান হাতড়েও বেশ সুখস্মৃতি পাবে লাল-সবুজের দল। এরপরও আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আইরিশদের বিপক্ষে নিজেদের পিছিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। রাব্বির এমন মন্তব্যকে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই।
 
কারণ সিরিজটি অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের মাটিতে। যে কন্ডিশন বেশ পরিচিত আয়ারল্যান্ডের জন্য। নিয়মিত ইংলিশ কাউন্টিতে খেলে থাকেন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। মূলত এ বিষয়টি ভেবেই আইরিশদের এগিয়ে রাখছেন রাব্বি। মে মাসে আয়ারল্যান্ডে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় ইংল্যান্ডের কাউন্টি এসেক্স গ্রাউন্ড চেমসফোর্ডে সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে। ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে মিরাজ বলেন, ‘কিছু ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর আমরা ভালো ছন্দে আছি। অনেক দিন পর ইংল্যান্ড যাচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’ দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। মিরাজ আরো বলেন, ‘আসন্ন সিরিজের জন্য আমাদের প্রস্তুতির ধরনের প্রস্তুতির ধরনটা দুর্দান্ত ছিল। ইংলিশ উইকেট সম্পর্কে সিলেটের উইকেট আমাদের কিছুটা ধারণা দিয়েছে।’ আসন্ন সিরিজে নিজের লক্ষ্য নিয়েও কথা বলেছেন রাব্বি। রোববার রাতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশ দল। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চট্টলার এই ক্রিকেটার বলেন, ‘অবশ্যই ভালো খেলতে চাই। এ ছাড়া কোনো লক্ষ্য নেই।’
 
ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকা তারকা পেসার তাসকিন আহমদকে আয়ারল্যান্ড সিরিজে মিস করবেন রাব্বি, ‘শেষ দুই বছরে বাংলাদেশ দলের পেস অ্যাটাকের মূল অস্ত্র ছিল তাসকিন। তাই ওকে মিস করাইটাই স্বাভাবিক। যদিও এটা নতুন বোলারের জন্য বড় সুযোগ। দলে মৃত্যুঞ্জয় ডাক পেয়েছে। এটা ওর নিজের ক্যালিবার প্রমাণের বড় সুযোগ।’ এদিকে তিন ফরম্যাটের মধ্যে ওয়ানডে টাইগারদের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এ ফরম্যাটে সাফল্যের হারও বেশি। তারপরও আইরিশদের বিরুদ্ধে অনুশীলনে কোনোরকম ঘাটতি রাখেনি বাংলাদেশ। সামনেই ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে নিজেদের কম্বিনেশন ঠিক করাটাও জরুরি। সে কারণে সফরটি গুরুত্বপূর্ণ। এমন সিরিজে দলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দারুণ সুযোগ থাকে। হয়তো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট সেটা করবেও। তা ছাড়া আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এ সিরিজে চেমসফোর্ডে যে রকম উইকেটে খেলা হবে বিশ্বকাপেও অনেকটা একই রকম উইকেট থাকবে। তাই বাংলাদেশ বিশ্বকাপকে টার্গেট করেই এ সফরকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অনুশীলন করানো হয়েছে সিলেটে। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে মনে করেন, সিলেটের উইকেট নাকি অনেকটা ইংল্যান্ডের উইকেটের মতো। সে কারণেই সিলেটে অনুশীলন করেছেন টাইগাররা। সামনের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মাটিতে। চেনা কন্ডিশন। এ বিশ্বকাপকে যেন ‘পাখির চোখ’ করে রেখেছে টাইগাররা।
 
 
ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ ওয়ানডে দল
তামিম ইকবাল খান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
 
 
বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের সূচি
১ম ওয়ানডে-মে, চেমসফোর্ড
২য় ওয়ানডে- ১২ মে, চেমসফোর্ড
৩য় ওয়ানডে- ১৪ মে, চেমসফোর্ড
দেশকণ্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।