• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৩

সম্পর্কের বন্ধনে গ্রাম ভ্রমণ

  • মত-দ্বিমত       
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ২২-১২-২০২৪, ২০:০৪:৪৫

ড. আলা উদ্দিন, পথরেখা  : বাংলাদেশে শীতকাল এমন একটি সময়, যখন শহরের মানুষ গ্রামে যাওয়ার জন্য তীব্র আকাক্সক্ষা অনুভব করে। বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও অন্যান্য শহরে পড়ুয়া শিশু-কিশোরদের পরীক্ষা শেষে, স্কুলের ছুটি, বাবা-মায়ের ছুটি বা অবসর এবং গ্রামের শীতল পরিবেশের প্রতি মনোযোগ, সবকিছু মিলিয়ে শহর থেকে গ্রামের পানে কয়েক দিনের যাত্রা একটি সাধারণ দৃশ্য। এই সময়ে, শহরের মানুষ একদিকে যেমন গৃহাকুলতা (নস্টালজিয়া) এবং সম্পর্কের পুনর্নির্মাণের সুযোগ পায়, তেমনি অন্যদিকে গ্রাম ও শহরের মধ্যে সম্পর্কের পরিবর্তিত চিত্রও দেখা যায়। একসময় যেসব গ্রাম ছিল শুদ্ধ গ্রামীণ জীবনধারায় ভরপুর, এখন তা শহরের আধুনিক প্রভাব ও সুবিধা গ্রহণ করে কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে, যা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

বহু দিন ধরে বছর শেষে শহরবাসী তাদের সন্তানদের নিয়ে গ্রামে যাওয়ার একটি বিশেষ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যা মূলত দুটি উদ্দেশ্য পূরণ করে। প্রথমত, এটি শহরের দ্রুতগতির জীবন এবং কংক্রিটের জঙ্গল থেকে একপ্রকার মুক্তি প্রদান করে। শহরে বেড়ে ওঠা মানুষের জন্য, গ্রামে যাওয়া মানে এক ধরনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটানো, যেখানে তারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে শীতের আমেজ উপভোগ করেন। দ্বিতীয়ত, গ্রামে শীতকালীন পরিবেশ, পিঠা-পুলি, মোয়া এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্য মনে করেন যে শহরের আধুনিক যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে গ্রামে প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় তাদের শিকড়ের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শহরের তড়িঘড়ি জীবনের মাঝে শিশুরা মাঝে মাঝে প্রকৃতি এবং গ্রামের জীবনধারা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই, শীতকালে গ্রামের পরিবেশে তাদের কিছু সময় কাটানো, যেখানে তারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গ্রামের চিরায়ত সংস্কৃতি দেখতে পায়, তাদের মানসিক বিকাশে সহায়ক হতে পারে।

শহরের শিশুরা গ্রামে আসলে প্রায়ই নতুন কিছু শিখে এবং গ্রামের ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতির সঙ্গে পরিচিত হয়। গ্রামের শীতল পরিবেশে তারা সাধারণত পিঠা-পুলি তৈরি এবং খাওয়া, নতুন ধরনের খেলাধুলা এবং ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, যা তাদের এক নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করে। গ্রামে তাদের সময় কাটানোর মাধ্যমে তারা শহরের জীবনের বাইরের এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ অনুভব করে। অনেক বছর আগে, শহরের মানুষও গ্রামে যাওয়াকে এক ধরনের অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে দেখত, আর এখন শহরের বাচ্চারা সে অভিজ্ঞতা থেকে বিশেষ কিছু শেখে।

সময় বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। এক সময় যেখানে গ্রাম ছিল নির্জন এবং সুনসান, সেখানে এখন গ্রাম শহরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে উঠেছে। সড়ক, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে গ্রাম সমৃদ্ধ হচ্ছে, যা পূর্বের চিরাচরিত গ্রাম্য পরিবেশকে পরিবর্তিত করছে। বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল নেটওয়ার্ক, এবং শহরের মতো সুপরিকল্পিত বাজার এবং দোকানপাটের উপস্থিতি গ্রামে আধুনিকতার ছাপ ফেলেছে, যা গ্রাম ও শহরের মধ্যে যে বিশাল পার্থক্য ছিল, তা ধীরে ধীরে মুছে ফেলছে।

বর্তমানে শহরের শিশুরা যখন গ্রামে আসে, তারা আর সেই চিরচেনা, নিস্তব্ধ গ্রাম্য জীবন অভিজ্ঞতা লাভ করে না, যেটি এক সময় তাদের কাছে ছিল এক ধরনের আর্কটিক ভ্রমণের মতো। আগে, সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসা, নদীর ধারে হেঁটে যাওয়া, গ্রামের প্রকৃতি এবং ঐতিহ্য ছিল গ্রামে যাওয়ার বিশেষ আকর্ষণ। কিন্তু এখন, গ্রামের পটভূমি বদলে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগের পর, সন্ধ্যায় আর সেই পুরনো নিস্তব্ধতা নেই, গ্রামের প্রতিটি কোণায় আলো জ্বলছে, মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হচ্ছে এবং গ্রামের বাজারগুলো শহরের বাজারের মতোই সুসজ্জিত ও ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এই পরিবর্তন শহরের শিশুরা গ্রামে যাওয়ার অভিজ্ঞতাকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ দিচ্ছে।

তবে এই আধুনিকীকরণ শহরে বেড়ে ওঠাদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করছে, যেখানে গ্রামও আধুনিক শহরের ছোঁয়া পাচ্ছে। শহরের নিরানন্দ এবং ব্যস্ত জীবনের বাইরে কিছু সময় কাটানোর সুযোগ থাকলেও, গ্রামে যাওয়ার সেই আগের মতো এক ধরনের সরলতা, শান্তি এবং নিসর্গের স্বাদ আর পাওয়া যায় না। তবে, গ্রাম-শহরের এই মেলবন্ধন বর্তমানে একটি নতুন চিত্র তৈরি করছে, যা বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছে আকর্ষণীয়।

গ্রাম-শহর নিরবচ্ছিন্নতায় গ্রাম ও শহরের মধ্যে যে সংযোগ ঘটছে, তা অনেকের কাছে অত্যন্ত উপভোগ্য। এক সময়, গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শহরের বাচ্চারা গ্রামের অন্ধকার রাতে কিছুটা ভয় পেত, কিন্তু বর্তমানে সেই ভয় আর নেই। আধুনিক সুবিধাগুলো গ্রামে পৌঁছানোর ফলে শহরের শিশুরা এখন গ্রামে এসে অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে বসবাস করতে পারে। তবে, এসব সুবিধা সত্ত্বেও তারা গ্রামীণ জীবনধারা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে আরও দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
শহরের শিশু-কিশোররা যখন গ্রামীণ পরিবেশে আসে, তখন তারা শহরের কোলাহল, ব্যস্ততা ও কংক্রিটের কাঠামোর বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জীবনধারা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়। গ্রামের খোলা প্রান্তর, সবুজ ফসলের খেত, পুকুরের শীতল জল এবং নির্মল বাতাস তাদের মানসিক প্রশান্তি দেয়। এখানে তারা গ্রাম্য উৎসব, পিঠা-পুলি, এবং গ্রাম্য ঐতিহ্যের সরলতা ও উষ্ণতা উপভোগ করতে পারে। বাপ-দাদার স্মৃতি, ধান মাড়াইয়ের শব্দ কিংবা পুকুর পাড়ে খেলাএই সমস্ত কিছু তাদের মনে গ্রামীণ জীবনের প্রতি এক নতুন আগ্রহ এবং শ্রদ্ধা জাগিয়ে তোলে। শহরের আধুনিক জীবনের প্রযুক্তি-নির্ভরতা এবং একাকীত্বের বাইরে, তারা গ্রামীণ জীবনের আন্তরিকতা এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মর্ম বুঝতে পারে। এই অভিজ্ঞতা শুধু তাদের বিনোদন নয়, বরং জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে ওঠে, যেখানে তারা বিভিন্ন জীবনধারা এবং সংস্কৃতির মূল্যায়ন করতে শেখে। এই গ্রাম-শহরের সংযোগ তাদের মনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করে এবং তাদের জীবনবোধকে সমৃদ্ধ করে। শহরের আধুনিকতা এবং গ্রামের ঐতিহ্যের মধ্যে তৈরি হওয়া এই সেতুবন্ধন তাদের জীবনে একটি ইতিবাচক এবং অনন্য অভিজ্ঞতা হিসেবে প্রতিফলিত হয়। এভাবে, গ্রাম-শহরের বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনধারা একে অপরকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক হয়।

গ্রাম ও শহরের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই সম্পর্কের স্থায়িত্ব। শীতকালীন গ্রাম সফর কিছু দিনের জন্য হলেও, যদি গ্রামের সঙ্গে সম্পর্কের এক মজবুত বন্ধন স্থাপন করা যায়, তবে এই সম্পর্কের বাস্তব মূল্য আরও বাড়তে পারে। যে পরিবারগুলো শীতকালে গ্রামে বেড়াতে যায়, তারা যদি বছরের অন্যান্য সময়েও গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে পারে, তবে এটি তাদের জন্য এক ধরনের আত্মিক তৃপ্তি ও সামাজিক সংযোগ সৃষ্টি করবে।

শুধু ছুটির দিনগুলোতে গ্রামে যাওয়া গ্রাম এবং শহরের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থায়ী করার জন্য যথেষ্ট নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যেখানে শহরের মানুষদের আরও গভীরভাবে গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এর জন্য শুধু উৎসব, প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় শীতের আমেজ উপভোগ বা ছুটি উপলক্ষে গ্রামে যাওয়া নয়, বরং তাদের সেখানে আরও বেশি সময় কাটানো প্রয়োজন, যাতে তারা গ্রামীণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জীবনের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটাতে পারে। গ্রামে অল্প সময়ের বসবাস শহরের মানুষকে তাদের শিকড়ের প্রতি সংযোগ স্থাপন করার সুযোগ দেয়।
গ্রামের মানুষ কিভাবে শীত কাটান তা জানা শহরে বেড়ে ওঠাদের জন্য প্রয়োজন। পাশাপাশি, এটি সম্পর্কের ভাঙন রোধ করে এবং সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। শহুরে মানুষ যদি নিয়মিত গ্রামে গিয়ে স্থানীয় লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন, তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে চেষ্টা করেন, নিজ নিজ অবস্থান ও সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রামের সমস্যাদি লাঘব করতে ও সামগ্রিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন এবং নিজ পরিচয়কে নতুনভাবে পুনর্গঠন করেন, এটি শুধু সম্পর্ক উন্নত করেই থেমে থাকবে না, বরং গ্রাম-শহরের মধ্যে একটি কাঙ্ক্ষিত ও টেকসই সংযোগ সৃষ্টি করবে।

গ্রামে থাকা আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বহাল করা, তাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করা, এমনকি গ্রামকে উন্নতির জন্য সাহায্য করা—এসবই গ্রামের সাথে সম্পর্ক স্থায়ী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যখন শহরের মানুষ গ্রামকে তাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করে, তখন সেই সম্পর্ক কেবল এক সাময়িক সফরের চেয়ে অনেক বেশি গভীর ও মূল্যবান হয়ে ওঠে। এর মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের সম্পর্ক আরও প্রাণবন্ত এবং স্থায়ী হয়ে ওঠে, যা শহরের বাচ্চাদের জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

যদিও শীতের সে আমেজ, গ্রাম-প্রকৃতির স্নিগ্ধতা, কিংবা মানবিক বন্ধন কোনটিই আর আগের মতো নেই; তবু প্রকৃতি ও গ্রামের কাছে যেতেই হয়, এই সবুজ বাংলায়! শীতকালে শহর থেকে গ্রামে যাওয়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি গৃহাকুল অভিজ্ঞতা, যা তাদের শিকড়ের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের সুযোগ দেয়। শহরের ব্যস্ততা ও কংক্রিটের জীবন থেকে বেরিয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়া, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি ভিন্ন ধরনের আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করে। যদিও গ্রাম ও শহরের মধ্যে পার্থক্য দিন দিন মুছে যাচ্ছে, তবুও এটি গ্রাম-শহর সম্পর্কের একটি নতুন রূপ ধারণ করছে, যেখানে শহরের আধুনিকতা এবং গ্রামের ঐতিহ্য এক সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। তবে, গ্রাম এবং শহরের সম্পর্ক যদি আন্তরিক ও স্থায়ী হয়, তবে এর প্রকৃত অর্থ ও স্বার্থকতা বৃদ্ধি পাবে এবং এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগের একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করবে।
লেখক : অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।