• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১৩ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৬:০২

তরুণদের বাঁচাতে নাটক চলচ্চিত্রে ধূমপানের দৃশ্য বন্ধের আহবান

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : টেলিভিশন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত নাটক, চলচ্চিত্র, ওয়েবসিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোকে দিয়ে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন বন্ধের আহবান জানিয়েছে ধুমপান বিরোধী সংগঠন মানস। মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী আজ এক বিবৃতিতে বলেন, টেলিভিশন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত নাটক, চলচ্চিত্র, ওয়েবসিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোকে দিয়ে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে প্ররোচিত করছে। এতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের লঙ্ঘণ হচ্ছে, যা প্রধানমন্ত্রী’র ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ ঘোষণার সাথে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদেরকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।

ড. চৌধুরী বলেন, সুস্থ বিনোদনের অন্যতম চলচ্চিত্র, নাটক, ওয়েবসিরিজে নেতিবাচক দৃশ্য প্রচার (বিশেষত: ধূমপানের দৃশ্য) পরিহার করা উচিৎ। কারণ, মানুষ এগুলো অনুসরণ করে এবং বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। সুতরাং, রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নির্মাতা, শিল্পী ও কলা-কূশলীদেরকে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রচার করা অত্যন্ত জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, বিধি লঙ্ঘণ করে ইতোপূর্বে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, নাটক ও প্রামাণ্যচিত্র সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নতুন করে নির্মিত ছাড়পত্র না দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।

প্রসঙ্গত  উল্লেখ্য  জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে তামাকের আগ্রাসন রোধে ২০০৫ সালে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও ২০০৬ সালে সংশ্লিষ্ট বিধি প্রণয়ন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ (২০১৩ সালে সংশোধিত) ধারা-৫ (ঙ) অনুসারে, বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত বা লভ্য ও প্রচারিত, বিদেশে প্রস্তুতকৃত কোন সিনেমা, নাটক বা প্রামান্যচিত্রে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট, মঞ্চ অনুষ্ঠান বা অন্য কোন গণমাধ্যমে প্রচার, প্রদর্শন বা বর্ণনা করিবেন না বা করাইবেন না-  মর্মে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও সাম্প্রতিককালে নির্মিত ও প্রচারিত বিভিন্ন চলচ্চিত্র, নাটক, ওয়েবসিরিজে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘এক রাতের গল্প’ সিনেমার পোস্টারে এবং ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার টিজারে জনপ্রিয় অভিনেতাদের মাধ্যমে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন করা হয়েছে, যা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ। আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা ও বিধি তোয়াক্কা না করেই অনেক নির্মাতা চলচ্চিত্র/নাটক নির্মাণ ও সম্প্রচার করছেন, যা আমাদের তরুণ সমাজকে মাদকাসক্তির শিকার বানাচ্ছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।