• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৪২

ভবিষ্যতের তারকা তৈরিতে এইচপির ক্যাম্প

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : জাতীয় দলের পাইপলাইনের জন্য হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট নিয়ে ক্রিকেটে বড় ধরনের স্বপ্ন সবসময়ই দেখছে বাংলাদেশ। তবে প্রত্যাশার ধারেকাছেও যেতে পারছেনা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এই ইউনিটকে। এবার আবারও জাতীয় দলের জন্য মানসম্পন্ন খেলোয়াড় তৈরি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি একটা অবকাঠামো উন্নয়ন চান বিসিবি পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়। বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতির জায়গা এইচপি। এরই মধ্যে বেশ কিছু ক্রিকেটার এইচপি থেকে জাতীয় দলে ভালো করছেন। ক্রিকেটাররা এই প্রোগ্রাম থেকে জাতীয় দলে খেলার ফিটনেস, মানসিক প্রস্তুতি ও টেকনিক্যাল বিষয়ে ধারণা পান। সেজন্য সুযোগ-সুবিধা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন এইচপির চেয়ারম্যান দুর্জয়। ক্যাম্প শুরুর আগে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবকাঠামোতে কিছু গ্যাপ আছে। যেমন- গ্রাউন্ডস, ইনডোর, জিম। বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়। এইচপির প্রোগ্রামও বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়। আমাদের আরও কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে।’ এইচপির গুরুত্ব তুলে ধরে সাবেক অধিনায়ক দুর্জয় বলেন, ‘একজন কোচের অধীনে বেশিদিন থাকলে ক্রিকেটারদের বোঝাপড়া ভালো হয়। খেলোয়াড়দের সম্পর্কে কোচের ধারণা ভালো হয়।  বোঝাপড়া ভালো হয়। যে কারণে দুই বছরের জন্য ডেভিড হেম্পের সাথে চুক্তি করেছি।’
 
সে হিসেবে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক আকবর আলীদের জন্য শেষ সুযোগই বলা যায়। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপজয়ীদের নিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণের যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ছিল বিসিবির, তাতে বাদ সাধে করোনা মহামারীজনিত বৈশ্বিক পরিস্থিতি। অন্য অনেক কিছুর মতোই বিসিবির হাই পারফরম্যান্স দলের প্রশিক্ষণ ও বিদেশ সফরসহ অনেক কিছুতেই হয়েছে কাটছাঁট। এর মধ্যে আরও একটি যুব বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ, তাতে অবশ্য আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। মিরপুরের বিসিবি অ্যাকাডেমিতে শুরু হয়েছে এইচপি দলের ক্যাম্প, লক্ষ্য ইমার্জিং এশিয়া কাপ। এশিয়ার টেস্ট মর্যাদার ৫ দলের সঙ্গে প্রিমিয়ার কাপের ৩ দল নেপাল, ওমান ও আরব আমিরাতকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় জুলাইয়ে এই আয়োজন। প্রস্তুতি ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে ২০২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের আকবর আলী, রাকিবুল হাসানদের বেশিরভাগকেই, সঙ্গে আরও তরুণও আছেন। দেওয়া হচ্ছে ২ বছরের জন্য নির্দিষ্ট কোচ এবং মনোবিদও। এইচপি বিভাগের পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের আশা, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামীতে মানসম্মত ক্রিকেটার পাবে জাতীয় দল।
 
২০২১ সালের আগস্টে এইচপির ক্যাম্পে ছিলেন আকবর, ২০২২ সালে রাজশাহীতে বাংলাদেশ টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা এইচপি দলেও ছিলেন এই উইকেটরক্ষক। আছেন এবারের এইচপি দলেও। তার সঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী শামীম হোসেন, মাহমুদুল হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ নিয়েও ফিরে এসেছেন এইচপি দলে। জাতীয় দলের বাইরে থাকা উদীয়মান অনেক ক্রিকেটার এখন সিলেটে ‘এ’ দলের হয়ে খেলছেন ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে। সদ্যই এইচপির কোচ হিসেবে বিসিবিতে যোগ দেওয়া বারমুডার সাবেক ক্রিকেটার ডেভিড হেম্প মনে করেন, অনেকেরই ক্রিকেটার হিসেবে পুরোপুরি নিজেকে মেলে ধরতে একটু সময় লাগে এবং সিঁড়ির ধাপে ধাপে এগোতে এগোতে একটা জায়গায় অনেকে আটকেও যায়, ‘কখনো কখনো এমনটা হয়। যে কোনো পেশাদার দলে বা কোনো সফরের জন্য চুক্তিতে থাকলে, কেউ পারফরম না করলে বাদ পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচকরা ঠিক করবেন কারা তাদের প্রতিভাকে পারফরম্যান্সে অনুবাদ করতে পারছে, যারা পারছে না তারা বাদ পড়বে। অনেক সময় সেই প্রত্যাশা পূরণে তিন চার বছর লেগে যায়। আমাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে যা করা সম্ভব সবই করতে হবে যাতে খেলোয়াড়রা এগিয়ে যায়, দেখতে হবে ওরা কীভাবে আমাদের কাজে সাড়া দেয়। তাদেরও নির্বাচিত হওয়ার মতো পারফর্ম করতে হবে।’
 
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর জাতীয় দলের নিচে এইচপি, বাংলাদেশ টাইগারস, ‘এ’ দল-সহ অনেকগুলো স্থর। কোনটার কাজ কী এবং সবগুলোর মধ্যে সমন্বয় আছে কি না জানতে চাইলে হেম্পের উত্তর, ‘অনেক জায়গাতেই অনেক ক্রসওভার আছে, এই দলের মধ্যেই অনেকে ওপরের স্থরেও খেলেছে। ‘এ’ দলের সঙ্গে ছয়-সাত জন আছে। মূল বিভাজক হচ্ছে বয়স। আমাদের দলটা সবচেয়ে কমবয়সীদের নিয়ে গড়া, আমাদের কাজ হবে এখান থেকে তাদের ওপরের স্থরে পাঠানো। জাতীয় দলটা তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে ভরে দেওয়া না গেলেও যেন নির্বাচকরা এখানেও তাকান।’ এইচপি দলকে এবারে দীর্ঘমেয়াদে কোচের পাশাপাশি একজন মনোবিদও দেওয়া হয়েছে। কানাডিয়ান নাগরিক ডক্টর ডেভিড স্কট দলের সঙ্গে যোগ দেবেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির শেষ ভাগে। তার সঙ্গে বিসিবির চুক্তি দুই বছরের। ভারতের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে বৃত্তি হিসেবে তরুণ ক্রিকেটারদের পাঠানো হয় অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার অব এক্সেলেন্সে, বোর্ডার-গাভাস্কার বৃত্তিতে যেভাবে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, শিখর ধাওয়ান, চেতেশ্বর পূজারারা। বিসিবির অ্যাকাডেমির কাজ অনেক দিন ধরেই কেবল আবাসস্থল, এইচপির হাত ধরে সেটা কিছুটা অ্যাকাডেমির চেহারা পায়। ভারতকে হারিয়ে আসা দলটার শরিফুল ইসলাম আর তৌহিদ হৃদয়ই এখন জাতীয় দলের আশপাশে, কেউ কেউ সুযোগ পেয়েও খুইয়েছেন কেউবা সুযোগের অপেক্ষায়।
 
এইচপি দল : তানজিদ হাসান, মোহাম্মদ পারভেজ হোসেন ইমন, শামিম হোসাইন পাটোয়ারি, শাহাদাৎ হোসেন দীপু, মাহমুদুল হাসান জয়, আইচ মোল্লা, অমিত হাসান, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, রকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ, রিশাদ হোসাইন, আরিদুল ইসলাম আকাশ, নাঈম আহমেদ, টিপু সুলতান, নাঈম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা, আশিকুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ মুশফিক হাসান, রিপন মন্ডল, মোহাম্মদ মৃতুঞ্জয় চৌধুরী নিপুন, আসাদুল্লাহ গালিব আকবর আলী, প্রিতম কুমার।
দেশকন্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।