দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে রীতিমতো উড়ছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। টানা তিন ম্যাচ জয়ে সর্বোচ্চ ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা গ্রুপপর্ব শেষ করেছে। আগের দুই ম্যাচে দাপট দেখালেও, তৃতীয় ম্যাচ ছিল আর্জেন্টিনার একক আধিপত্য দেখানোর ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা জয় পেয়েছে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে। ফলে গ্রুপসেরা হয়েই আলবিসেলেস্তারা পরের রাউন্ডে পা রেখেছে। শুক্রবার (২৬ মে) রাতে স্যান জুয়ান স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা কিউই যুবাদের আতিথ্য দেয়। ম্যাচের মাত্র ১৪ মিনিটে সফরকারীদের জালে আঘাত করে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। ব্রায়ান আগুইরের ক্রস থেকে পাওয়া বলে মায়েস্ত্রো পুচ প্রথম ডেডলক ভাঙেন। এরপর লিড ব্যবধান দ্বিগুণ করতেও সময় নেয়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। মাত্র মিনিট তিনেক পরই লুকা রোমেরোর অসাধারণ পাস ধরে দলের দ্বিতীয় গোল করেন জিনো ইনফান্তিনো।
এরপর প্রথমার্ধে শেষ গোলটি করেন রোমেরো। ২৫ গজ দূর থেকে তার বুলটগতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন। তারকা এই ফরোয়ার্ডের সম্পর্কে তুমুল আলোচনার যে তিনি যোগ্য, যেন সেই প্রমাণই দিলেন এই গোলে। ফলে ৩-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। মূলত আর্জেন্টিনার মুহুমুর্হু আক্রমণের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। ফলে তারা ব্যবধান কমানো তো দূরে থাক, রক্ষণ সামলাতেই হিমশিম খেতে হয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও তাদের দুর্গে চ্যাম্পিয়নদের আঘাত। বিশ্বকাপের আয়োজকরা চতুর্থ গোল পেতে তাদের মাত্র ৪ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। ডি-বক্সে নিউজিল্যান্ড ফুটবলারের হাতে লাগলে ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে আগুইরে পেন সফল স্পট কিক নেন। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-০ তে।
স্বাভাবিকভাবে তখনই জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে লিওনেল মেসির উত্তরসূরীদের। তবে স্কোরলাইন আরও বড় হবে মনে হয়েছিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে কিউইদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন আলেজো ভেলিজ। বদলি নামা ম্যাক্সিমো পেরোনোর ক্রস ধরে দ্রুতগতির হেডে ভেলিজ জাল খুঁজে নেন। এরপর বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচই জয় পাওয়ায় আয়োজক দেশটি ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগেই পরের পর্বে উঠে গেল। তবে দেশের ২০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করেছে হাভিয়ের মাসচেরানোর দল। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে এই কীর্তি গড়ার সময় দলে ছিলেন দলটির বর্তমান কোচ মাসচেরানো, পাবলো জাবালেতা, কার্লোস তেভেজ এবং ফার্নান্দো কাভেনাঘি।
দেশকন্ঠ/অআ