• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৩৫

ডেঙ্গুর হটস্পট এখন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ডেঙ্গুর সবচেয়ে বড় হটস্পট এখন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। চলতি বছরেই আক্রান্ত ১ হাজার ৬৬ জন রোহিঙ্গা, যা দেশের অন্য এলাকার মোট রোগীর কাছাকাছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাদে সারাদেশে আক্রান্ত এক হাজার ৫শ’৩৩ জন। রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বেশ চ্যালেঞ্জিং- বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

চলতি মাসে রোহিঙ্গা ছাড়াই সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী, মারা গেছে ২ জন। যা এ বছরের সর্বোচ্চ।রোববার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিসহ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যা পরিস্থিতি, তাতে সেখানে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা ‘কঠিন’।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে গতবছরও প্রায় ১৭ হাজার রোগী শনাক্ত হয়। সচেতনতার অভাব, ক্যাম্পে পানির উৎস সীমিত হওয়ায় পানি জমিয়ে রাখাসহ নানা কারণকে গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বলছে, প্রাক মৌসুমেই এসব মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধংস করা না গেলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে উঠতে পারে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, “কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। সেখানকার স্থানীয় মানুষদের মধ্যে ছড়ানো এই সংখ্যাটাও উপেক্ষা করার মত নয়।”“রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের কালচার আলাদা হওয়ায় এ ব্যাপারে কাজও সেভাবে করা যায় না। তারা একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকেন, সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও অনেক নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়।” বলেন তিনি।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যেসব জায়গায় লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে তা ম্যাপিং করে সিটি করপোরেশনগুলোর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করপোরেশনকে আরো কার্যকরী উদ্যোগের তাগিদ দেন কর্মকর্তারা। বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রমণ পরীক্ষায় ৫০০ টাকার বেশি নেয়া যাবে না এবং সরকারি হাসপাতালে এই খরচ ১০০ টাকা বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।