• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩৭

এবার ক্রিকেটারদের মানসিক সমস্যা দূরীকরণের উদ্যোগ

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আবারও টেষ্ট ম্যাচে ফিরছে বাংলাদেশ দল। সেখানে ভাল করতে বিসিবি নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছে। ছুটি কাটিয়ে ফেরার সময় মনোবিদ অ্যালান ব্রাউনকে নিয়ে এসেছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ক্রিকেটারদের মনোজগৎ নিয়ে দুই সপ্তাহ কাজ করবেন ব্রাউন। বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শুরুর আগে আগে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের সঙ্গে মেন্টাল স্ট্রেংথ বিষয়ে এক ঘণ্টার একটি সেশন করেছেন তিনি। সশরীরে না থাকলেও ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভবিষ্যতে অনলাইনে কাজ করবেন ব্রাউন। এর মধ্যে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ সামনে রেখে একজন স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট ফিল জনসি চূড়ান্ত করেছে বোর্ড। এশিয়া কাপের আগে আগামী ১১ আগস্ট বাংলাদেশে আসার কথা তাঁর।
 
হাথুরুসিংহের প্রথম মেয়াদেও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। শুধু জাতীয় দল না, বিসিবির হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটেও যোগ দিয়েছেন একজন মনোবিদ। ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে আসার আগেই মনোবিদের শরণাপন্ন নিতে বিসিবির এই উদ্যোগ। স্পোর্টস সাইকোলজিস্টের সঙ্গে ব্রাউনের কাজের ধরন ভিন্ন। দুজনের কাজের পার্থক্য নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বলেছেন, স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট একজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের কাজ করে। অ্যালান ব্রাউনের কাজ হচ্ছে, একটা খেলোয়াড়ের দক্ষতাকে কীভাবে দলের সঙ্গে এক করা যায়। টাইগারদের মানসিক শক্তি বাড়ানোর কোচ হাথুরুর ডিমান্ড রয়েছে।
 
এর আগে শেরে বাংলায় প্রায় সপ্তাহখানেক ধরেই চলছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলন। তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামরা প্রায় প্রতিদিনই মাঠে আসেন এবং প্র্যাকটিস করছেন। তবে সেটা পুরোদস্তুর টিম বাংলাদেশের অফিসিয়াল প্র্যাকটিস সেশন নয়। ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনুশীলন। ধারণা করা হচ্ছে, দ্রুতই শুরু হবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন। সেটাই হবে আফগানিস্তানের সাথে টাইগরদের একমাত্র টেস্ট ম্যাচের সত্যিকার প্রস্তুতি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন চলছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসছে এ প্রশ্ন। তার একটাই জবাব, জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ছুটিতে ছিলেন। তাই আনুষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু হয়নি। ভেতরের খবর, গত শনিবার রাতে ঢাকা এসেছেন টিম বাংলাদেশের হেড কোচ হাথুরুসিংহে।
 
হাথুরুসিংহে একা নন। সাথে একজন মনোবীদও নিয়ে আসবেন বাংলাদেশের হেড কোচ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অ্যালান ব্রাউন ঠিক প্রথাগত মনোবীদ নন। তিনি মাইন্ড ট্রেনার। ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তি বাড়ানোর কাজ করে থাকেন তিনি। তাই তাকে মেন্টাল স্ট্রেন্থ ট্রেনারও বলা হয়ে থাকে। বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যালান ব্রাউনের আসার খবর জানানো হয়নি। অসি মেন্টাল স্ট্রেন্থ ট্রেনার অ্যালান ব্রাউন ২ সপ্তাহ বাংলাদেশের অবন্থান করবেন এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তি বাড়ানোর কাজ করবেন। এদিকে জ্যৈষ্ঠের খরতাপে ৫ পেসার কি বিশেষ বার্তা দিচ্ছে সেই প্রশ্ন মনে উকি-ঝুকি দিচ্ছে। আঙুলে চোট, ভালো হতে আরও সময় লাগবে। তাই নেই প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্থিতিতে আফগানিস্তানের সাথে টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। পারফরমার সাকিবের জায়গা পূরণ করবেন কে বা কারা? কারণ সাকিব তো একাই ‘দুজন’। সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলতেন, ‘টু ইন ওয়ান।’ বাংলাদেশে পারফরমার অলরাউন্ডার সাকিবের রিপ্লেসমেন্ট এমনিই নেই।
 
আর একজনের পক্ষে সাকিবকে অভাব ঘোচানো সম্ভবও না। সে কারণেই ভাবা হচ্ছিল, সাকিবের জায়গা ভরাট করতে একজন করে বাড়তি ব্যাটার ও বাঁহাতি স্পিনার নেওয়া হবে। কিন্তু জায়গামতো দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। মিডল অর্ডারে ব্যাকআপ ব্যাটার হিসেবে শাহাদাত হোসেন দিপুকে নেওয়া হলেও বাঁহাতি বহদূরে, বাড়তি কোনো স্পিনারই নেওয়া হয়নি। বরং ৫ পেসারের দলভুক্তি ঘটানো হয়েছে। তাসকিন, এবাদত, শরিফুল আর খালেদের সঙ্গে পঞ্চম পেসার হিসেবে ১৫ জনের দলে জায়গা পেয়েছেন ২০ বছরের তরুণ মুশফিক হাসান। সাকিবের বদলে বাড়তি বাঁহাতি স্পিনার না নিয়ে উল্টো বাড়তি পেসার দলে, জৈষ্ঠের খরতাপে ১৫ জনের দলে ৫ জন পেসার কি বিশেষ বার্তা দিচ্ছে? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন, প্রচন্ড গরম দেখেই বাড়তি পেসার নেওয়া। মানে পেসারদের ওপরে যাতে প্র্যাকটিস আর ম্যাচে কোথাও বাড়তি শারীরিক ধকল না যায় তাই একগাদা দ্রুতগতির বোলার রাখা। প্রধান নির্বাচক এর বাইরে আর কিছু না বললেও ৫ পেসারের অন্তর্ভুক্তিতে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ দলে অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ আর বাঁহাতি তাইজুল ইসলাম ছাড়া আর কোনো স্পিনার যেহেতু নেওয়া হয়নি, তার মানে শেরে বাংলায় স্পিনসহায়ক উইকেটে খেলতে চাচ্ছে না স্বাগতিকরা। তবে কি হোম অব ক্রিকেটে পেস বোলিং সহায় উইকেটে খেলা হবে?
 
তবে সেটাও বলা যাবে না। কেননা এই অসহনীয় গরমে লম্বা স্পেল তো অনেক দূরে, সেই ২০ গজের বেশি দৌড়ে টানা ৫ ওভার বোলিং করাও অনেক কঠিন। সব দেখে মনে হচ্ছে, হোম অব ক্রিকেটে আফগানদের সাথে টেস্টে মূলত ব্যাটিং উইকেট হতে পারে। একাদশে তাইজুল আর মিরাজের খেলা নিশ্চিত। সাথে তিন পেসার। ১৫ জনের স্কোয়াডে ৫ পেসারের অন্তর্ভূক্তি তো সে বার্তাই দিচ্ছে। তাই না? এখন সেটাই দেখার বিষয়।
দেশকন্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।