• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:৩১

মাছের ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর না ক্ষতিকর?

দেশকন্ঠ ডেস্ক : মাছের ডিম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। শুধু স্বাদ নয়, মাছের ডিম পুষ্টিগুণেও সেরা। এতে রয়েছে নানা উপকারী উপাদান। বেশ কিছু রোগ দূর করতেও মাছের ডিমের তুলনা নেই। তবে এমন অনেকে আছেন যাদের মাছের ডিম খাওয়া উচিত নয়। ভারতীয় পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় গণমাধ্যম ‘এই সময়ের’ এক প্রতিবেদনে মাছের ডিমের নানা উপকারিতার কথা বলেছেন। মাছের ডিমে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতো নানা উপকারী উপাদান রয়েছে। এ কারণে মাছের ডিম খেলে অনেক ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে।

ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, নিয়মিত মাছের ডিম খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

১. এতে উপস্থিত ডিএইচএ উপাদান শিশুদের মস্তিস্ক বিকাশে সহায়তা করে
২. মাছের ডিমে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে
৩. এতে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ক্রনিক অসুখ কমায়
৪. মাছের ডিম খেলে হাড় ও দাঁত ভালো থাকে
৫. গবেষণায় দেখা গেছে, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী মাছের ডিম
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মাছের ডিমের কোনও জুড়ি নেই

পুষ্টিবিদ ঈশানী জানান,সব ভালোরই কিছু খারাপ দিক থাকে। মাছের ডিমও এর ব্যতিক্রম নয়। মাছের ডিম খাওয়ার কারণে কিছু অসুখও হতে পারে। ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাষায়,মাছের ডিম সোডিয়ামের ভাণ্ডার। এ কারণে এই ডিম নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া এতে অনেকটা পরিমাণে কোলেস্টেরল রয়েছে। সেই কোলেস্টেরল ক্ষতিকর এলডিএল বাড়াতে পারে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

কারা খাবেন, কারা খাবেন না

কোনও অসুখ না থাকলে নির্দ্বিধায় মাছের ডিম খেতে পারেন। এতে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে কারও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা হৃদরোগজনিত জটিলতা থাকলে অবশ্যই এই খাবার পরিমিত আকারে খেতে হবে। তা না হলে নানা ধরনের রোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে। তারা মাসে দু’বার মাছের ডিম খেতে পারেন। আর যাদের কোনও অসুখ নেই, তারাও সপ্তাহে দুইবারের বেশি মাছের ডিম খাবেন না।

রান্নায় বেশি তেল নয়​

সাধারণত মাছের ডিম ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তেলে ভেজে রান্না করা হয়। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, বেশি তেলে ভাজলে মাছের ডিম থেকে খুব একটা উপকার মেলে না। তাই এক্ষেত্রে কম তেলে মাছের ডিম ভাজতে হবে। ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, অনেক রোগীর মনেই প্রশ্ন থাকে, কোন ধরনের মাছের ডিম খাওয়া ভালো। এক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত, কোনও নির্দিষ্ট মাছ নয়, যে কোন মাছের ডিম খেতে পারেন। এমনকী সামুদ্রিক স্যামন ও টুনার মতো মাছের ডিম থেকেও উপকার পাবেন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।