• মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
    ২৪ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:০৯

বারান্দা থেকে ফেলে শিশুকে হত্যা: প্রতিবেশীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

  • সারাদেশ       
  • ২২ জুন, ২০২৩       
  • ১১৬
  •       
  • ২২-০৬-২০২৩, ২১:৫৮:২৬

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় দুই বছর বয়সী এক শিশুকে তিনতলার বারান্দা থেকে ফেলে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি জান্নাতুল ওয়াইশ ওরফে নাহিদকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২২ জুন বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আমৃত্যু কারাদণ্ডেরর পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা আসামি নাহিদকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী শিশুটির বাবা মো. ইদ্রিস। তিনি বলেন, আমার ছোট মেয়েটাকে তিনতলা থেকে ফেলে হত্যা করেছে। তার সাজা হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড। আমরা তার ফাঁসি চাই। এ রায় আমরা মানি না। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আপিল করব। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির মা।

গেন্ডারিয়া দীননাথ সেন সড়কে চারতলা বাড়ির পাশে টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকত আয়েশা। ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি বিকেলে বাসায় গ্যাস না থাকায় আয়েশার মা পাশের বাসায় রান্না করতে যান। তখন আয়েশা রুমেই ছিল। পরে আয়েশার মা রুমে ফিরে আয়েশাকে দেখতে পাননি। সন্ধ্যার পর আশপাশের মানুষের চেঁচামেচি শুনে তিনি ছুটে যান বাসার পাশের গলিতে। সেখানে গিয়ে দেখেন, ময়লার ট্রলির পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তার মেয়ে। দ্রুত আয়েশাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় আয়েশাকে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

৭ জানুয়ারি শিশুটির বাবা মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে গেন্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, নাহিদ শিশুটিকে ধর্ষণের পর তিনতলা থেকে নিচে ফেলে হত্যা করেছে। মামলা দায়েরের পর নাহিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে নাহিদ কারাগারেই আছে। এদিকে, নাহিদের মেয়ে ফাতিহা খান বুশরা বাবার বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দেয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর পিবিআই’র উপ-পরিদর্শক সাদেকুর রহমান নাহিদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দুই বছরের শিশু আয়েশাকে পরিকল্পিতভাবে তিনতলার বারান্দা থেকে ফেলে হত্যা করে নাহিদ। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৩ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামির পক্ষে ছয়জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।