• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৪:৩১

ধর্ষণ মামলার আসামি ভুক্তভোগীকে বিয়ে ও সন্তানের দায়িত্ব নেয়ার শর্তে পেলেন জামিন

  • সারাদেশ       
  • ২৫ জুন, ২০২৩       
  • ৯০
  •       
  • ২৬-০৬-২০২৩, ০০:৪৫:৪২

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ভুক্তভোগীকে বিয়ে করা ও সন্তানের দায়িত্ব নেয়ার শর্তে জামিন পেয়েছেন ধর্ষণ মামলার আসামি মো. আল-আমিন (২৬)। ২৫ জুন রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মো. আল-মামুনের আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আদেশ দেন। ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী। মামলাটি তদন্ত করে গত ২৯ মে আল-আমিনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম। এর পর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এ পাঠানো হয়।

মামলা দায়েরের পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি। গত ১৮ জুন আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আসামিকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন তিনি। আদালত আসামিকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন। রোববার আল-আমিনকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রবিউল হোসাইন।

শুনানিতে রবিউল হোসাইন বলেন, আল-আমিন প্রায় ৯ মাস কারাগারে আছেন। বাদীপক্ষের সঙ্গে মৌখিক আপস হয়েছে। বাদীকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আল-আমিন। বাচ্চার পৈতৃক পরিচয়সহ সব ধরনের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক তিনি। বিয়ের বা অন্য যেকোনো শর্তে তার জামিন চাই। জামিন দিলে সকল শর্তে মেনে নিয়মিত আদালতে উপস্থিত থাকবেন আসামি। শুনানি শেষে আদালত বাদীকে বিয়ে করা ও সন্তানের দায়িত্বে নেওয়ার শর্তে আল-আমিনকে জামিন দেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট রবিউল হোসাইন। এদিন শুনানিকালে সন্তানকে নিয়ে আদালতে হাজির হন বাদী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, চার বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আল-আমিনের। আল-আমিন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। গত বছরের এপ্রিল মাসে বাদী তার বড় বোনের বাসা মতিঝিলের দক্ষিণ কমলাপুরে আসেন। ১২ এপ্রিল বেড়ানোর কথা বলে আল-আমিন তাকে একটি রুমে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে বাদী বিয়ের চাপ দিলে আল-আমিন টালবাহানা শুরু করেন। ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ের কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় আসতে বলেন। তিনি ঢাকায় এসে বোনের বাসায় ওঠেন। এদিকে, তার বোনের স্বামী অসুস্থ হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেই সুযোগে বাসায় এসে আল-আমিন তাকে ধর্ষণ করেন। তখন ভিকটিম ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভিকটিম বিয়ের কথা বললে আল-আমিন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তরুণীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন আল-আমিন।
আগামী ১৬ জুলাই আদালতে মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।