- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : এনএএসইচ বা ন্যাশ হচ্ছে লিভারের একটি রোগ। এর পুরো নাম নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাটাইটিস। অনেকেই ফ্যাটি লিভার বা লিভারে চর্বি জমা সম্পর্কে জানলেও ন্যাশ সম্পর্কে জানেন না। ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে ন্যাশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফ্যাটি লিভার মানে হলো লিভারে চর্বি জমে যাওয়া এবং লিভার আকারে একটু বড় হয়ে যায়। একপর্যায়ে এ অবস্থা থেকে লিভারে প্রদাহ শুরু হয়, তখন তাকে ন্যাশ বলা হয়। ডায়াবেটিস, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও স্থূল লোকদের এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
এই রোগ শনাক্ত করা কঠিন এবং এর চিকিৎসা করা আরো কঠিন। ন্যাশ রোগীদের লিভারে প্রদাহ হয়, যা সিরোসিস নামে পরিচিত স্থায়ী ক্ষতের দিকে চালিত করে এবং লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। কিছু বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন যে, আর কয়েক বছরের মধ্যে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে ন্যাশ।
এই রোগ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষ না জানার কারণ হচ্ছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ন্যাশের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে না। অন্য কোনো কারণে পেটের আলট্রাসনোগ্রাম বা লিভারের কিছু পরীক্ষা করতে গিয়ে এটি ধরা পড়ে। উপসর্গ হিসেবে কখনো কখনো ওপর পেটের ডান দিকে হালকা ব্যথা বা চাপ অনুভূত হতে পারে, ভার লাগতে পারে। কিন্তু ন্যাশের প্রাথমিক উপসর্গ বিরল বলে এ রোগ শনাক্ত করতে খুব দেরি হয়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত লিভার বিকলের কারণ হয়ে উঠে।
তারপরও আপনার জন্য সুখবর রয়েছে! আপনি ওজন কমিয়ে এবং স্বাস্থ্যসম্মত ওজন ও ডায়েটের মাধ্যমে ন্যাশ প্রতিরোধ করতে পারেন। যদি আপনি ডায়াবেটিস রোগী হন ও স্থূলতা থাকে, তাহলে আপনি ন্যাশের উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন, কিন্তু ঘাবড়াবেন না- ডায়াবেটিস ডায়েট অনুসরণ করে আপনি ন্যাশের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা