• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩৭
এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ঢাকা সফর

আমরা নেচে কুদে সারা

মেজর (অব) চাকলাদার : আমাদের ফুটবল তারকারা মার্টিনেজের সান্নিধ্য পায় নাই তবে ক্রিকেট তারকার বউ বাচ্চারাও তাকে নিয়ে সময় ব্যয় করেছে। আতিথেয়তা দেওয়া নেক্সটভেন্চার্স অতি স্বল্প পছন্দের ব্যক্তিকে তাদের পরিবার সহ মার্টিনেজের সাথে দেখা করার সুযোগ করে দেয়। মনে রাখতেগবেআমরা একটা স্বাধীন দেশ এখানে তার সময় পাওয়া গেল মাত্র ১১ ঘণ্টা, তার মধ্যে বহু দূর থেকে আসা ভদ্রলোক ওয়েষ্ট ইন হোটেলেই বিশ্রাম ব্যয় করেন কারণ কোলকাতা তে তার দুই দিনে পুলিশ বনাম মোহন বাগানের খেলা দেখতে হবে, ১১ জন নামী খেলোয়াড়কে পুরস্তকৃ করতে হবে, দুটো ক্লাব প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করতে হবে, কি দেখলাম তাইলে? আমাদের যারা পরিকল্পনাকারি তারা মারিটিনেজকে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, কি ভাবে তাকে ক্রীড়া পাগলদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে তা নিয়ে আদৌ মগজ ব্যয় করে নি। এই মারিটিনেজ  বিশ্বজয়ী হয়ে পুরুস্কার নেবার সময় অশ্লীল ভাবে তার বুট কোমড়ের নীচে রেখে ছিল, বড় প্লেয়ার হলেও তার কখন কিরকম আচরণ করতে হবে সে জ্ঞানগম্মি কমই বুঝিয়ে ছিল তবে আমরা আবেগ প্রবন তাই হুজুগটাই আসল। জনপ্রিয় ফুটবল এদেশে, তবে মারিটিনেজকে সম্ভাষণে এয়ারপোর্ট থেকেই অবজ্ঞা করা হয় ফুটবল পাগল জনতাকে। আতিথেয়তারা ভালই জানে ভবিষ্যতের ব্যবসা সচলে সাধারণ জনগণ থেকে সরকারের কাছের লোকদেরই প্রয়োজন বেশী।
 
আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার বহু ব্যস্ততার মাঝেও মার্টিনেজ কে সময় দিয়েছেন, তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্রীড়ার প্রতি তার কত আবেগ। বলতে বাঁধা নেই কিছু কাল আগে তিনি মূমুর্ষ হকিকে বাঁচা তে এক কোটি টাকা নিজ তহবিল থেকে দিয়েছিলেন।
 
আমাদের সব কিছুতেই তাড়াহুরা, এই মার্টিনেজ  এ দেশ কি দেখলেন ? এয়ারপোর্ট থেকে কালে কাচে আবৃত হয়ে হোটেল, ঘুম থেকে উঠে আবার এয়ারপোর্ট, মোট সময় ১১ ঘন্টা । ঈদ আমেজ হয়ে গেছে তাই হোটেল থেকে এয়ারপোর্ট সব মিলিয়ে দুই ঘন্টা রাস্তাতে । আমাদের জনগন ওঁকে দেখল না তবে মার্টিনেজ বার বার বল্ল ফুটবল পাগল জাতি। কিবং প্রকারে বুঝিল?
নজরুল লিখে ছিলেন —
 
জীবনে যাদের হররোজ রোজা 
ক্ষুধায় আসেনা নিদ 
আধমরা সেই কৃষকের ঘরে
এসেছে আজ ঈদ।
 
আমাদের সাধারন ক্রীড়া পাগলদের কাছে মার্টিনেজ তেমনি হঠাৎ পাওয়া ,তবে না দেখা  সন্ধ্যা আড্ডার এক খোরাক ।
ঐ কথা— ‘আমারি বধুয়া আন বাড়ি যায় আমারি আঙ্গিনা দিয়া।’ ভারত বর্ষ নিয়ে প্রথম জ্ঞান দিলাম আমরা আর লাভ পাইল কোলকাতা? তাজ্জব কি বাত। তবে এটাই বাস্তব ।
 
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।