• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৫

মালি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফেরত আসবে ১৭০০ বাংলাদেশি

পথরেখা অনলাইন : মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বে থাকা ১ হাজার ৭০০ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফেরত আসবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে হওয়া রেজুলেশন অনুযায়ী মালি মিশন থেকে সব শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারের গৃহীত সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশিদেরও দেশে ফেরত আসতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এসব কথা বলেন। ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র বলেন, গত ৩০ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে রেজুলেশন ২৬৯০ পাস হয়। এ রেজুলেশনের মাধ্যমে কার্যত মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাতিল এবং মালি মিশন থেকে সব শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শান্তিরক্ষী মালি থেকে প্রত্যাহার করা হবে।
 
রফিকুল আলম বলেন, বর্তমানে সেনা ও পুলিশ বাহিনী মিলে প্রায় ১৭০০ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মালি মিশনে দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশের শান্তিরক্ষী মালি শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন। গৃহীত রেজুলেশন অনুযায়ী মালি মিশনে দায়িত্বরত সব শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করা হবে। মুখপাত্র জানান, ম্যান্ডেটের অধীন ভবিষ্যতে যে কোন শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি রয়েছে।
 
সুদান থেকে দেশে ফিরেছে ১০৬২ জন
যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬২ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছে। ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার সুদানে অবস্থানরত ১ হাজার ৬২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সুদান থেকে ফিরিয়ে এনেছে। প্রথম পর্যায়ে ৯০৩ জন বাংলাদেশিকে গত মে মাসে সরকারি খরচে সুদান থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ৮০ জন, ২ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের আরেকটি ফ্লাইটে ৫৯ এবং ৩ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে আরও ২০ বাংলাদেশি বাংলাদেশে আসেন।
 
বাংলাদেশে আশ্রিত হাজার খানেকের কিছু বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পাইলট প্রকল্পের অধীনে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করার প্রচেষ্টা রয়েছে সরকারের। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের কারণে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র রফিকুল আলম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য চীন ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। তবে প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে তার তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে এটি বিলম্বিত হচ্ছে।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।