• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:২৩

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মসজিদ নির্মাণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

পথরেখা প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার আগেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উক্ত হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মনজুর-ই-এলাহীর বিরুদ্ধে। 
 
সরেজমিনে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালের ভিতরে মসজিদ নির্মাণ হবে সরকারী খরচে। কিন্তু আমাদের টিএস স্যার আমাদের নিকট হতে নির্দিষ্ট হারে মসজিদের জন্য অর্থ ধার্য করেছে। তাছাড়া ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি (এমআর) দের নিকট হতেও প্রত্যেক কোম্পানী পঞ্চাশ হাজার হতে এক লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল স্থানীয় সাংসদ মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। 
 
চাকুরী হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী মসজিদের জন্য অর্থ দাবী এখন ওপেন-সিক্রেট ব্যাপার। কর্মচারীরা মনে করেন স্যার পদন্নোতি পেয়ে চলে যাবেন এর আগে মসজিদের নাম করে কিছু টাকা হাতিয়ে নিবেন। টিএস স্যারের কাছে কোন কাজের জন্য যে যায় তাদের কাছেই নির্ধারিত অর্থ দাবী করে বসেন।
 
অর্থ দাবী করার ব্যাপারে একাধিক ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি জানান, মসজিদের উন্নয়নের জন্য আমাদের ডেকে টাকা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমাদেরকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছে মজসিদ নির্মানের জন্য পঞ্চাশ হাজার হতে এক লক্ষ করে টাকা দিতে। নির্ধারিত পরিমান অর্থ না দেয়ার কারনে গত দুই মাস যাবৎ আমাদের হসপিটাল কমপ্লেক্সের ভিতরে যেতে দিচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি অভিযোগ করে বলেন, এত পরিমান অর্থ দেয়া কিভাবে সম্ভব। আমরা আমাদের অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। কোন প্রতিষ্ঠানই এত পরিমাণ অর্থ দিতে রাজি না।
 
কালীগঞ্জ উপজেলা শাথার ফার্মাসিস্ট রিপ্রেজেনটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া)’র সভাপতি মো. আমির হোসেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠো ফোনে বলেন, কালীগঞ্জ  স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ৭০ টি ঔষধ কোম্পানিকে মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ চেয়ে চিঠি দিয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান টাকা পরিশোধ করায় তারা হাসপাতাল ভিজিট করতে পারছে। টাকা না দেয়ায় অন্যদের হাসপাতালের গেইটের কাছে অবস্থান করতে হচ্ছে।
 
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মনজুর-এ-এলাহী এ বিষয়ে প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের মসজিদ নির্মাণে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য চিঠি দিয়েছি। তিনি আরোও জানান, ঔষধ কোম্পানী ডাক্তারদের পেছনে প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা খরচ করতে পারলে মসজিদে কেন দিতে পারবে না?  মসজিদ আল্লাহর ঘর। তাতে দান করলে ক্ষতি কি? তবে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের (এমআর) হাসপালালের ভিতরে আসতে দেইনি সত্য। 
 
এ বিষয়ে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান মুঠো ফোনে প্রতিনিধিকে জানান, যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি,বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে একাধিকবার মুঠো ফোনে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।