• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০৮

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার

পথরেখা অনলাইন : প্রথম ম্যাচে জয়ের পর বুধবারই সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেটি করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। ভারতের বিপক্ষে বড় পরাজয় দিয়ে হতাশ করল স্বাগতিকরা। এই ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনল সফরকারীলা। বলা যায় বাংলাদেশের পুরনো রোগ, অন্যদিকে ভারতের সমতা। অথচ মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। লক্ষ্যটা চ্যালেঞ্জিং হলেও অসম্ভব ছিল না। তবে ঘুরেফিরে সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা। আবারো সেই পুরনো আক্ষেপের গল্পই যেন মঞ্চস্থ হলো। মিরপুরে আগের ম্যাচেই শক্তিশালী ভারতকে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এদিন জিতলেই দক্ষিণ এশিয়ার জায়ান্টদের বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়া হতো। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কণ্ঠেও ছিল ইতিহাস নতুন করে লেখার প্রত্যয়। তবে আবারো সেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেটির অপেক্ষা বাড়ল। হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই বাংলায় টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে হারমানপ্রীত কৌররা। এই রানই বাংলাদেশ দলের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়ে।
 
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে মোটে ১২০ রানে। অথচ ১০৪ রানে পতুর্থ উইকেট পতনের পর ১৬ রানের শেষ  ৭ উইকেটের পতন ঘটে। সম্মানজনক হারের প্রত্যাশা থাকলেও ১০৮ রানের বড় জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা আনে ভারত। অথচ আগের ম্যাচেই ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এবার সিরিজ জয়ের হাতছানি ছিল স্বাগতিকদের সামনে। ভারতের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেছেন জেমিমা রদ্রিগেজ। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদা আক্তার ও সুলতানা খাতুন। একটি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান। প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন পেসার মারুযফা আক্তার। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতীয় শিবিরে প্রথম আঘাত হানলেন।
 
শুরুতেই ফেরান ওপেনার প্রিয়া পুনিয়াকে (৭)। মারুফার দারুণ এক ডেলিভারি সরাসরি স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপর তিনে আসা স্বস্তিকা ভাটিয়াকে রান আউট করে ২৩ রানের জুটি ভাঙেন এই পেসার। বাংলাদেশ সফরে ব্যাট হাতে এখনো জ্বলে উঠতে পারছেন না ভারতের তারকা ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা। সাজঘরে ফিরলেন রাবেয়া খানের বলে বোল্ড হয়ে। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৫৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান। অন্যদিকে অধিনায়ক হারমানপ্রীত সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। ৮০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪৮ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনিও। বাংলাদেশি বোলারদের বেশ ভুগিয়েছেন জেমিমা রদ্রিগেজ। মিরপুরে বাহারি সব শটে স্কোরবোর্ডে রান জমা করতে থাকেন তিনি। যদিও সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকেও। রাবেয়া খাতুনের বলে আউট হওয়ার আগে ৭৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৮৬ রান করেন এই ব্যাটার।
 
শেষ দিকে পরপর বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় ভারত। তবে এরই মধ্যে মিরপুরে বেশ চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করাতে পেরেছে তারা। আগের ম্যাচে সাফল্য পেলেও কাঠগড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। জ্যোতি ছাড়া কেউই তেমন ছন্দে নেই। এর আগে ভারত নারী দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ নারী দল। তাই জ্যোতিদের সামনে এবার সুযোগ এসেছে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের। গত রোববার ভারত নারী দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৪০ রানে জয় পায় বাংলাদেশ নারী দল। তাতে প্রতিবেশীদের প্রথমবার ওয়ানডেতে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এমন জয়ের পর আরও একটা খুশির সংবাদ পেয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন জ্যোতি। তার এমন ইনিংসে দল জেতার পাশাপাশি উন্নতি হয়েছে তার ব্যাক্তিগত র‍্যাংকিংয়েও। এটা মাঠের ফলাফলের পুরস্কার বলা যেতে পারে।
 
আইসিসির নারী ক্রিকেটারদের ওয়ানডে ব্যাটিং র‌্যাংকিংয়ে চারধাপ এগিয়ে ৩১তম স্থানে ওঠে এসেছেন জ্যোতি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছেন অধিনায়ক। তার আগে একধাপ এগিয়ে ফারজানা হক পিংকি আছেন ৩০তম স্থানে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবার ওপরে আছেন এই ওপেনারই। এদিকে বল হাতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন মারুফা আক্তার। তাতে বাংলাদেশের উদীয়মান এই পেসার প্রথমবার সেরা একশতে জায়গা পেয়েছেন। তিনি এগিয়েছেন ৩৩ ধাপ। এছাড়া সুলতানা খাতুন ২৫ ধাপ এগিয়ে ৭৮তম স্থানে আছেন। বোলিংয়ে এখনো বাংলাদেশের সেরা অবস্থানে আছেন সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন। ২১তম স্থানে রয়েছেন তিনি। ছয় ধাপ এগিয়ে নাহিদার অবস্থান ২৪তম স্থানে। এখন তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি সিরিজের ফাইনাল ম্যাচ হিসেবে পরিগনিত হয়েছে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।