• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৬

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ড্র করল বাংলাদেশ

পথরেখা অনলাইন : শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারত নারী দলের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। এমন সমীকরণের সামনে মারুফা আক্তারের ওপরই ভরসা রাখেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। এই পেসারের করা ওভারের প্রথম দুই বলে একবার করে প্রান্ত বদল করেন দুই ব্যাটার। স্কোরলাইন সমান হওয়ার পর ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেন্থে করেছিলেন মারুফা। সেখানে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পরেন মেঘনা। তাতে ম্যাচ ড্র হয় এবং ১-১ এর সমতায় সিরিজও ড্র হয়েছে। ফলে প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজ না হারার কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শনিবার (২২ জুলাই) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ফারজানার সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান তুলতে পারে ভারত। 
 
২২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১ রানে প্রথম এবং ৩২ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট হারায়  ভারত। এরপর ওপেনার স্মৃতি মান্দানার সঙ্গে চারে নামা হারলিন দেওল ১৩৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। স্মৃতি ফিরে যান ৫৯ রান করে। দেওল ফেরেন ১০৮ বলে নয় চারের শটে ৭৭ রান করেন। মিডল অর্ডারের দেওল দলীয় ১৯১ রানে সাজঘরে ফিরে যান। জিততে ভারতের তখন ৮.৪ ওভারে দরকার মাত্র ৩৫ রান। সেখান থেকে দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখান বাংলাদেশের মেয়েরা। ২১৭ রানের মধ্যে তুলে নেন ভারতের ৯ উইকেট। নাহিদা ও রাবেয়া একে একে সাজঘরে ফেরান আমনজোত, স্নেহা ও দেবিকাকে। ম্যাচের পাল্লা তখন দুই পক্ষে ফিফটি-ফিফটি। শেষও হয়েছে ফিফটি-ফিফটিতে। যদিও শেষ ব্যাটার মেঘনা সিং একটা চার মেরে দলকে জয়ের কাছে এনেছিলেন। কিন্তু এক রান দূরত্বে থাকতে তাকে আউট করে দেন দেশের উদীয়মান পেসার মারুফা আক্তার। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে ৩৩ রান করা জেমিমাহ রদ্রিগেজ দেখেছেন দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়।
 
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬০ বল খেলে ১০৭ রান করেন ফারজানা। তার ব্যাট থেকে সাতটি চারের শট আসে। ছিল না কোন ছক্কা। বাকি রান তিনি ডাবল-সিঙ্গেলে নিয়েছেন। অর্থাৎ তার সেঞ্চুরি যতটা না চার-ছক্কার গল্প তার চেয়ে বেশি দৃঢ়তা-লড়াই আর পরিশ্রমের। ফারজানার সঙ্গে ওপেনার শামীমা সুলতানা ৯৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। এই ওপেনার খেলেন ৭৮ বলে পাঁচ চারের শটে ৫৩ রান। এছাড়া তিনে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচে নামা সোবহানা মুস্তারি ২২ বলে ২৩ রান করেন।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।