পথরেখা অনলাইন : বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলায় বাংলাদেশর কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে। র্যাংকিং ও শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকা মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলতে হবে জামাল ভুইয়ার দলকে। এছাড়া এশিয়ান গেমসে নারী ও পুরুষ দলের প্রতিপক্ষও নির্ধারিত হয়ে গেছে। নারী দল জাপান ও পুরুষ দল গ্রুপ পর্বে চীনের মতো প্রতিপক্ষকে পেয়েছে। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয়েছে দ্বীপদেশটি। বৃহস্পতিবার এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সদর দপ্তরে এই ড্র অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১২ ও ১৭ অক্টোবর হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে রাউন্ড-১-এর ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলে রাউন্ড-২-এ পৌঁছে যাবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। এশিয়া থেকে আসছে বিশ্বকাপে আটটি দল বাছাই থেকে সরাসরি এবং একটি দল প্লে-অফের মাধ্যমে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ পাবে। সব মিলিয়ে এই বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৪৮টি দল। মালদ্বীপ ফিফা র্যাংকিংয়ের ১৫৫তম স্থানে আছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৯। তবে সব শেষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারানোর সুখস্মৃতি আছে জামাল ভুঁইয়াদের। তাই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার দারুণ সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু তার আগের ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে হতাশই হতে হবে।
১২ অক্টোবর প্রথম লেগ হবে মালদ্বীপের মাঠে, এরপর ১৭ অক্টোবর ফিরতি লেগ হবে বাংলাদেশে। এশিয়ার ৪৬টি দেশ বাছাইয়ে অংশ নিচ্ছে। ২০ জুলাই সর্বশেষ ফিফা র্যাংকিংয়ে এশিয়ার সর্বনিম্ন ২০টি দল রাউন্ড-১-এ অংশগ্রহণ করছে। এই দশ ম্যাচের জয়ী দল বাকি ২৬ দলের সঙ্গে রাউন্ড-২-এ যোগ দেবে। ৩৬ দল নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ৯ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল তৃতীয় পর্বের জন্য উত্তীর্ণ হবে। তৃতীয় পর্বের ১৮ দল তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। এশিয়ার অবশিষ্ট দুই সরাসরি কোটা চতুর্থ রাউন্ডে নিষ্পত্তি হবে এবং আরেকটি কোটার জন্য আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ হবে। ‘ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২৬’ এর এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ পেয়েছে মালদ্বীপের মতো শক্ত কঠিন প্রতিপক্ষকে। দুই লেগ মিলিয়ে প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ জয় পেলে পৌঁছে যাবে ৩৬ দলের দ্বিতীয় রাউন্ডে। সেখানে প্রত্যেক গ্রুপে ৪টি করে দল নিয়ে মোট ৯টি গ্রুপ হবে।
আর সেক্ষেত্রে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে আরও ৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচগুলো হবে ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১১ জুন পর্যন্ত। মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রেকর্ড অবশ্য খারাপ নয়। সবশেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে তাদের ২-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালের মার্চে প্রীতি ম্যাচে তাদের কাছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা হেরেছিল ২-০ গোলে। তবে সবশেষ গেল মাসে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৩-১ ব্যবধানের দারুণ জয় পেয়েছিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। সেই আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে দারুণভাবে কাজে দিবে। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত দ্বীপ রাষ্ট্রটির বিপক্ষে মোট ১৬ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৭টিতে। ড্র ৩টিতে। আর হেরেছে ৬টিতে।
২০ জুলাই সর্বশেষ ফিফা র্যাংকিংয়ে এশিয়ার সর্বনিম্ন ২০টি দল রাউন্ড-১-এ অংশগ্রহণ করছে। এই দশ ম্যাচের জয়ী দল বাকি ২৬ দলের সঙ্গে রাউন্ড-২-এ যোগ দেবে। ৩৬ দল নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ৯ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল তৃতীয় পর্বের জন্য উত্তীর্ণ হবে। তৃতীয় পর্বের ১৮ দল তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। ২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে উত্তর আমেরিকার তিন দেশ কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয়। ২০২৬ বিশ্বকাপে ৪৮ দল অংশগ্রহণ করবে। এশিয়া অঞ্চল থেকে আটটি দল সরাসরি আরেকটি দল প্লে অফের মাধ্যমে সুযোগ পাবে। ৪৮ টি দল বিভিন্ন পর্যায়ের মাধ্যমে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। এশিয়ার ৪৫ দেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য এন্ট্রি করেছে। ২০ জুলাই সর্বশেষ ফিফা র্যাংকিংয়ে সর্বনিম্ন ১৮ টি দল রাউন্ড-১ এ অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ এশিয়ার সর্বনিন্ম ১৮ দলের মধ্যে রয়েছে।
পথরেখা/আসো