পথরেখা অনলাইন : পিঠের চোটে ভুগছেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল সেই গত বছর নভেম্বর থেকেই। বিপদ বাড়ছিল। তাই লন্ডন গিয়ে অস্ত্রোপচার করানোর কথা ছিল তার। তবে সেই পথে যাননি তামিম। ইনজেকশন নিয়েছেন এই ওপেনার। মঙ্গলবার এমআরআই করানোর পর তামিমের ইনজেকশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২৭ জুলাই ইনজেকশন নেন তামিম। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। কোমরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে তাকে।
জানা গেছে, তামিম ইকবালকে যে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত স্নায়ুকে নিস্তেজ করে রাখে। ২-৩ মাস থেকে শুরু করে ৪-৫ মাস পর্যন্ত এই ইনজেকশনের কার্যকারিতা থাকে। তবে এর আগেও ব্যথা চলে আসতে পারে। এর আগে এমন ইনজেকশন নিয়ে প্রায় তিন মাস নির্বিঘ্নে খেলতে পেরেছিলেন তামিম। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে শুরু এশিয়া কাপ। এরপর ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চলবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তামিমের ফিট থাকার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
ভারত সিরিজ থেকেই পিঠের চোট ভোগাচ্ছে তামিমকে। ওই সিরিজে খেলেননি একটি ম্যাচও। এরপর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ও ইংল্যান্ড সফরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। তবে ব্যথা অনুভব করায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে খেলেননি। সবশেষ আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলার পরই সেই নাটকীয় অবসর ও পরের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ফিরেছেন তিনি। বিশ্বকাপে তামিমের কাঁধেই দায়িত্ব রাখা হয়েছে। তাই তার সুস্থ্য হয়ে আসাটা খুবই জরুরী।
পথরেখা/আসো