শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরুস্কার ‘অনুষ্ঠান উজ্জ্বল হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং উপস্থিতিতে। আব্দুস সাদেক ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেলেন। দশ জন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামালের ৭৪তম জন্ম বার্ষিক উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আব্দুস সাদেক নিজে মাঠে শুধু খেলে তার দায়িত্ব শেষ করেননি। তিনি তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানকে তুলে ধরেছিলেন পাকিস্তান হকি দলের সামনে এক সম-শক্তি হিসাবে। ১৯৭০ সনে হকিতে বিশ্ব জয় করে পাকিস্তান হকি দল এসেছিল পূর্ব পাকিস্তান হকি দলের সাথে প্রদর্শনী খেলতে ঢাকাতে। গ্যালারিতে অমি আমার বাবা শামসুদ্দিন চাকলাদার খেলাটা দেখেছিলাম। বাবা চল্লিশ দশকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি হকি ব্লু। বিশ্বজয়ী দলে বাংগালি কেউ নেই। কোন ক্রমে পাকিস্তান দল জিতেছিল আর সারা মাঠ কাঁপিয়ে হকিতেও যে বৈষম্য তা প্রমাণ করেছিলেন আব্দুস সাদেক ।
দেশ স্বাধীন। আব্দুস সাদেক হাল ধরলেন এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী ক্লাব আবাহনীর । হকি, ফুটবল দুটি খেলাতেই দক্ষ আব্দুস সাদেক আবারো ‘হিরো’। হকি খেলাটা এ দেশে খুব নাজুক, স্পন্সর পাওয়া না যাওয়াতে জমে না খেলা । তারপরও সাদেক মানেই হকির অক্সিজেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকে আলাদা চোখে দেখেন। অল্প ক’দিন আগে হকি বাঁচাতে এক কোটি টাকাও দিয়েছেন তবে এ টাকাটা অতি দ্রুতই নিঃশেষ। হকি তার মহিমা ফেরত আনতে চাইলে আব্দুস সাদেকের মতন ব্যক্তিত্ব দের হকিতে সামিল করার ব্যবস্থা করে দিন । আমরা গর্বিত হকির আব্দুস সাদেক সম্মানিত হয়েছেন, দরকার এই শ্রেষ্ঠকে ক্রীড়াঙ্গনে ব্যস্ত রাখার প্রচেষ্টা নেয়া।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ।
পথরেখা/আসো