• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪৪

ঢাকায় বিশ্বকাপ ট্রফি যেভাবে দেখবেন দর্শকেরা

পথরেখা অনলাইন : ভারতের মাটিতে বিশ^কাপ ক্রিকেটের অপেক্ষায় এখন ক্রিকেটপ্রেমিরা। বাংলাদেশও এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। যদিও বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের লড়াইয়ে মাঠে নামবে। সেখানেই বিশ^সেরা আসরের জন্য প্রস্তুত করবে লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো দুই মাস বাকি রয়েছে। ভারতে চলতি বছরের ৫ অক্টোবর টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে বিশ্ব ভ্রমণে রয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি। সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাতে বাংলাদেশে এসেছে ট্রফিটি। ট্রফি নিয়ে আগত অতিথিদের সম্ভাষণ জানাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিসিবির একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে ৩ দিন থাকবে বিশ্বকাপের সুদৃশ্য ট্রফিটি। ৭ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট বাংলাদেশে ট্রফি থাকবে। এই তিন দিন বিশ্বকাপ ট্রফি কোন কোন স্থানে নেওয়া হবে সেই সূচি জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
 
বিসিবির সূচি অনুযায়ী, সোমবার বেলা ৩টায় পদ্মা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফটোশুট হবে। পদ্মা সেতুতে ফটোশুট করার বিষয়টি অবশ্য কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার আমরা কিছুটা চমকে দিতে চাই। আইসিসি সাধারণত সব দেশের আইকোনিক লোকেশনে ট্রফি রেখে ফটোসেশন করে থাকে। সে হিসেবে আমাদের দেশে পদ্মা সেতু হতে পারে আইকোনিক স্পট। এটা যেহেতু আমাদের গর্বের বিষয়। সেতুর ওপরে নয়, সেতুকে ব্যাকগ্রাউন্ড করে একটা জায়গা থেকে ছবিটা তোলা হবে। সেই ছবি আইসিসি পরে ব্যবহার করবে।’ ৮ আগস্ট মিরপুর স্টেডিয়ামে ট্রফিটি রাখা হবে। সেদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার।
 
এছাড়া দেখার সুযোগ পাবেন পুরুষ, নারী উভয় জাতীয় দলের খেলোয়াড়, বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটার, ক্রিকেটে অফিশিয়াল, আয়োজক এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফি থাকার শেষ দিন ৯ আগস্ট। সেদিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে বিসিবি। ক্রীড়াপ্রেমীরা ট্রফিটি দেখতে পারবেন বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে। সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে ছবি তোলার জন্য সমর্থকদের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রতি বিশ্বকাপের আগেই বিশ্বভ্রমণে বের হয় ট্রফি। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও। গত ২৭ জুন ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ট্রফি উন্মোচন করা হয়। তবে ট্রফির বিভিন্ন দেশে ঘোরা শুরু হয় ১৪ জুলাই থেকে। সব মিলিয়ে মোট ১৯টি দেশ ঘোরার কথা এই ট্রফির। বাংলাদেশ থেকে এটার পরের গন্তব্য কুয়েত।
 
বিশ্ব ভ্রমণ করছে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি। তারই ধারাবাহিকতায় এটি এই ট্রফি বাংলাদেশে এসেছে। শেষদিন ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য ট্রফি প্রদর্শন করা হবে। নির্দিষ্ট একটি দূরত্ব থেকে ভক্তরা এর সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন। এজন্য কোনো টিকিট লাগবে না। অধিক সংখ্যক মানুষকে ট্রফি দেখা ও ছবি তোলার সুযোগ করে দিতেই এই শপিং কমপ্লেক্সে ট্রফি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিসিবি। আইসিসির ক্যাম্পেইন হিসেবে বাংলাদেশের পদ্মাসেতুতে প্রথমে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন হবে বিশ্বকাপ ট্রফির। মাওয়া প্রান্তে  বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে প্রাথমিক সফর।
 
ভারত বিশ্বকাপের দামামা বাজা শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপের ট্রফি ট্যুর। ক্রিকেট কিংবা ফুটবল সব ধরনের খেলায়ই বিশ্বকাপের আগে ট্রফি বিশ্বভ্রমণে বের হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।